তুমি এভাবেই থাকো যেন তুমি প্রবাসে।
মুমিনের জীবন কেমন হবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তুমি দুনিয়ায় থাকো বিন দেশের মতো অথবা প্রতিকজনের মতো 💘
মুসাফির পথ চলছে। কোথাও তার মন বসছে না।
কোথাও নিজের জন্য ঘর তৈরি করছে না।
কোন স্টেশনেই সে থামছে না।
সে গন্তব্য পানে ছুটে চলছে চলার পথে- এসে সবকিছুই দেখছে।
প্রতিটা স্টেশনেই সে পার হয়ে যাচ্ছে,
কিন্তু কোথাও তার মন বসছে না।
থেকে থেকে তার মনে পড়ছে ফেলে আসা বাড়ির কথা।
স্ত্রী-পুত্রের কথা।
মাথায় তার একটাই চিন্তা গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে।
সে কাজের জন্য ঘর থেকে বের হয়েছে।
কাজ শেষে আবার তাকে ঘরে ফিরতে হবে।
চড়ুই, শালিক, ময়না, কত ধরনের পাখি আছে, দিন ভর তারা ছুটতে থাকে এদিক-সেদিক।
খাবারের অন্বেষণের দিন শেষে,
সন্ধায় সে লতাপাতার ঝুপরিতে আশ্রয় নেয়।
সারাদিন কত বিরাট বিরাট অট্টালিকায় ছিল।
এক ইমারত থেকে আরেক ইমারতের ছুটে বেড়িয়েছে।
কত বড় বড় আমিরের চৌহদ্দিতে খাবার কুড়ি এসেছে। কিন্তু সেখানে মন বসেনি।
সন্ধ্যা হয়েছে,
সে ছন বোনের বাড়িতেই ফেরত এসেছে।
ছানা গুলোর কথা মনে পড়েছে, সাথী সঙ্গীকে মনে পড়েছে,,
তাই সন্ধ্যা নামতেই সোজা উড়াল দিয়ে চলে এসেছে নিজের নীড়ে।
মোমেনের অবস্থাও তাই দুনিয়াতে এসে কর্মব্যস্ত থাকে প্রয়োজনে সারাদিন ঘোরাফেরা করে।
কাজকর্ম করে দোকানপাট করে চাকরি বাকরি করে আট ঘণ্টা দশ ঘন্টা ডিউটি করে।
কিন্তু আসল গন্তব্য সে ভুলে বসে না।
কবরের অন্ধকার ঘরের কথা তার মনে থাকে।
সেখানে হাজার হাজার বছর শুয়ে থাকতে হবে।
সেখানে আলো জ্বালাবার ফিকির করে।
আখেরাতের কথা স্মরণ থাকে।
সেখানেই হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে।
যখন সন্ধ্যা নেমে এলো, জীবন বাতি নিভে এলো, সে গন্তব্যে পথ ধরে।
দুনিয়াতে থাকতেই সে গুছিয়ে নেয় খানেই আখেরাতের পাথিয়।
তো আসল বাড়ির ফিকির করা চাই।
সেখানে যে আসবাবপত্রের প্রয়োজন হবে সেগুলো জোগাড় করা চাই।।
দুনিয়ার হালত কি? শৈশবের জিনিসগুলো যৌবনে কাজে লাগে না।
যৌবনের সামান পত্র বার্ধক্যে কাজে দেয় না।
শৈশবের কাপড় গুলো কি যৌবনে পড়া যায়!
যৌবনের পোশাকগুলোকে বার্ধকে পড়লে
কেমন দেখায়!
এখনতো জামানা আরো অগ্রসর হয়েছে পশ্চিমা সভ্যতার বদান্যতায় এমন মসিবত হয়েছে।
দিনে দিনে মডেল ফ্যাশন পরিবর্তন হতে থাকছে।
দুদিন আগের জামা দুদিন পর পুরাতন হয়ে যায়।
আজ এক ফ্যাশনে জামা বানান,
কাল নতুন মডেল আসলো, নতুন এই জামাটায় এখন পুরাতন হয়ে গেল।
শুধু পুরাতন নয় একেবারে সেকেলে বনে যায়।
এখন গায়ে দিতেও লজ্জা বোধ হয়।
কোথাও কোনো অনুষ্ঠানে এমন পোশাক পড়ে গেলে নিজেকে ছোট মনে হতে থাকে।
বলুন একটা সংস্কৃতি যদি এতটা ক্ষণস্থায়ী এবং এতটা রুপবদলি হয়।
তাহলে এর চেয়ে আশ্চর্য আর কি হতে পারে?
আর এমন সব মডেল ফ্যাশন কে ঘিরে যার জীবন আবর্তিত হয় তার চেয়ে নিবোধ আর কাকে বলা যায়?
আসা করি কমেন্টে ভাল একটি উত্তর লেখে রাখবেন
আল্লাহ হাফেজ।
আসসালামু আলাইকুম