আসসালামুআলাইকুম ! বন্ধুরা কেমন আছেন সকলে? আশা করছি সবাই বেশ ভালো আছেন। pubg & free fire গেম হ্যাক করার app & সাথে টিউটোরিয়াল – এই টাইটেল পড়ে আর্টিকেল এ ক্লিক করেছেন তারমানে নিশ্চই আপনার হ্যাকিং বিষয়ের উপর ইন্টারেস্ট রয়েছে। গেম হ্যাক করার সফটওয়্যার –
শুরুতে বলে নিচ্ছি যদিও টাইটেল এ বলা আছে যে পাবজী বা ফ্রি ফায়ার হ্যাক এর টিউটোরিয়াল তবে আজকে কোনো হ্যাকিং শেখানো হবে না। তবে যেহেতু আপনারা আর্টিকেলটা ক্লিক করে পড়তে চলে এসেছেন তাহলে এই আর্টিকেলটা পরে আপনি বেশ কিছু তথ্য অবশ্যই জানতে পারবেন। যেমন, আসলে কি Pubg কিংবা free fire হ্যাকিং সম্ভব? বা হ্যাকিং করা কি উচিত? তো এসব বিষয়গুলো আপনারা আজকের আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন।
pubg & free fire গেম হ্যাকিং সম্ভব?
নিঃসন্দেহে PUBG Mobile এবং Free fire এই দুটি গেম বেশ জনপ্রিয়। আমরা সবাই পারি এই গেম গুলো খেলে মজা নিতে। কিন্তু এক প্রকার মানুষ আছে যাদের মাথায় অনেক সকল হ্যাকিং এর চিন্তা চলে আসে। তারা ভাবে যদি Pubg/free fire হ্যাক করা যেত। আর এই চিন্তা মাথায় আসা মাত্রই তারা শুরু করে দেয় বিভিন্ন রিসার্চ দেখতে থাকে একটার পর একটা ভিডিও।
তাহলে ইউটিউব এর হ্যাকিং ভিডিও গুলো ফ্যাক?
হ্যাঁ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ধরনের ভিডিওগুলো ফেক ভিডিও হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু ভিডিও রয়েছে যেখানে হ্যাকাররা কিছু স্ক্রিপ্ট তৈরি করে দেয়, যেগুলো কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন যেগুলো প্লে স্টোরে থাকে না, এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা কিছু স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে হ্যাক কিছু ক্ষেত্রে সম্ভব।
কিন্তু প্রথম কথা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্ট কাজে লাগিয়ে হ্যাক এর ক্ষেত্রে আপনার ফোন রুট থাকতে হবে। আর একবার ফোন রুট করলে আপনাকে পড়তে হতে পারে চরম বিপদে। এবং আপনি যে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করবেন সেটি ও দেখা যাবে কিছুক্ষন পর ব্যান করে দেওয়া হবে। যেটা সচরাচর ঘটে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যান হয়ে যায় এই পদ্ধতিতে হ্যাক করা অ্যাকাউন্ট গুলো। এখন মূল কথা হচ্ছে আপনাদের বোকা হলে হবে না। দেখুন Pubg বা Freefire দুটি গেম কিন্তু বিশ্বব্যাপী অনেক জনপ্রিয়। এই গেমগুলো যারা তৈরি করেছে তারা অতটা বোকা নয় যে গেমগুলো সাধারণ কোনো ব্যক্তির দারা হ্যাক হবে। হ্যাক করা অবশ্যই যাবে, কারণ ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত যেকোনো জিনিস হ্যাক করা সম্ভব, তবে তার জন্য সে লেভেল এর হ্যাকার দরকার।
একমাত্র প্রফেশনাল এবং টেলেন্টেড ব্যক্তির দ্বারা হ্যাকিং সম্ভব যেটা আপনার আমার মত লোকেরা পারবে না। এছাড়াও কিছু ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে অ্যাকাউন্টের নাম্বার দিলে নাকি হ্যাক হয়ে যাবে এমনটা বলা হয় কিন্তু শেষে দেখা যায় কিছুই হয়না। এসব ওয়েবসাইটের মালিকরা কিছু পয়সা ইনকাম করার জন্য এই ধরনের কাজ বা ফাঁদ পেতে রাখে। যেকোনো স্ক্রিপ্ট, অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে ব্রাউজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত, এতে আপনার মোবাইলটি হ্যাক হয়ে যেতে পারে। যেটি নিশ্চয় আপনি চাইবেন না।
হ্যাকিং করা কি উচিৎ?
ইন্টারনেটের দুনিয়ায় হ্যাক করার অনেক উপায় হয়তো রয়েছে। তবে তাই বলে কি হ্যাক করা উচিত? এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে না। হ্যাকিং হচ্ছে অবৈধ। তবে এমনটা নয় যে হ্যাকিং অবৈধ। আপনি হ্যাকিং শিখতে পারেন তবে সেটা অবৈধ কাজ করার জন্য নয়, বৈধ কোনো কাজে সেটিকে ব্যবহার করা যেতে পারে। অবৈধভাবে হ্যাকিং করলে আপনার শাস্তি হতে পারে।
অবৈধ হ্যাকিং এর জন্য সাইবার ক্রাইম এর আন্ডারে আপনার বিভিন্ন শাস্তি হতে পারে, সুতরাং এই বিষয়ে সচেতন থাকবেন।