বন্ধুদের মাঝ থেকে শত্রু চেনার উপায় (যা জানা সবার জরুরী)
বন্ধুদের মাঝ থেকে শত্রু চেনার উপায় (যা জানা সবার জরুরী)
বন্ধু , শব্দটা কিন্তু আমাদের সবার জীবনে ব্যবহার হয় । এটা অতি পরিচিত একটা শব্দ ।
বলা হয় , “বন্ধু ছাড়া জীবন অসম্ভব ” জী ,কথাটা একেবারেই ঠিক । বন্ধু ছাড়া আমরা আমাদের জীবন কে কল্পনা ও করতেও পারিনা । কিন্তু সবার কি আর প্রকৃত বন্ধু কপালে জোটে ? না , জোটে না । যার কপালে ভালো বন্ধু আছে ,সে বড় ভাগ্যবান, বলে আমি মনে করবো ।
কিন্তু বন্ধুর বেশে যখন শত্রু থাকে তখন সেটা দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পোষার মতো একটা বিষয় হয়ে যায় । আর আমরা এই কথা টা বারবার বলে থাকি ,কথায় বলে থাকি ।
মানুষ যখন কাউকে সবচেয়ে বেশী বিশ্বাস করে আর সেই ব্যক্তি টি যদি বিশ্বাসঘাতগতা করে তাহলে তার মনের অবস্থা টা কি হয় ,একমাত্র সেই ব্যক্তি টিই জানে ।
“আমার মনে হয় ,একটা ভাল বন্ধু থাকলে আর কি লাগে? জীবন টা এতো সোজা হয় ,তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা । ”
যদিও কথাগুলো আমার নিজের ।
বন্ধু যখন স্বার্থ পর হয় ,তখন কিন্তু আপনার জীবনের বারোটা বাজিয়ে তারপর চলে যাবে । তাই আমি বলবো ,জীবনের বারোটা বাজানোর আগে তাদের চিনে ফেলি ,আর তাদেরকে আমাদের জীবন থেকে বের করে ফেলে দিই । দূষিত পানি কে মুক্ত করার মতো করে তাদেরকে একেবারেই জীবন থেকে বের করে ফেলে দেয় –
স্বার্থপর বন্ধু চেনার উপায় গুলো —
* প্রকৃত বন্ধু চেনা যায় বিপদের সময় । বিপদে যে আপনাকে সাহায্য করবে সেই তো আপনার বন্ধু । কিছু লোককে আপনারা দেখতে পারবেন আপনার বিপদের সময় পিছু টান দিয়ে বসে থাকবে । এরা বিভিন্ন ওযর পেশ করবে । এরা আপনার খোজ রাখেনা কখোনই । আর আপনার বিপদ দেখলে ১০ হাত সরে থাকতে পছন্দ করে । তাহলে আপনিও এই বন্ধু গুলোর থেকে ১০ গজ সরে থাকার চেষ্টা করুন । একটা স্বার্থপর লোক আপনার জীবনে না থাকলে আপনার জীবনে কিছুই হবে না , কিন্তু সে আপনার জীবনে থাকলে অনেক ক্ষতি আপনার হতে পারে ।
* কথা দিয়ে কথা না রাখা কে বলা হয় “মুনাফিক “। আর মুনাফিক কখোনও কারো বন্ধু হতে পারেনি । এরকম বৈশিষ্ট্য মানে “কথা দিয়ে কথা না রাখা কে ” কখনও ভালো বন্ধু বলা যায় না । এরা সবসময়ই কি করবে , মন জয় করার চেষ্টা করবে কিন্তু করবে না , তখন তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দিবে । এরকম হয়তো মানুষের একেক বার হয়ে থাকে । কিন্তু বার বার হয় কাদের ? আরো কি স্পষ্ট করে বলতে হবে ? ঠিক আছে, বলছি ,স্বার্থপর বন্ধু দের কাছেই বারবার এরকম হয় । তাই এদের থেকে নিজেকে বিরত রাখুন ,যতোদূর সম্ভব এড়িয়ে চলুন ।
*এধরণের বন্ধুরা সবসময়ই তাদের সময়গুলো নিয়ে সচেতন থাকে ,তারা তাদের বিষয়গুলো কে সবসময়ই প্রাধান্য দেয় । আপনার সময়ের দিকে , আপনার প্রয়োজনের দিকে তাদের কোনো খেয়াল নেই । তাহলে এরা স্বার্থপর।
*আপনি ভালো কোনো কাজ করলে , ভালো কিছু করতে চাইলে তারা সবসময়ই আনন্দের ভঙ্গি করবে ,কিন্তু মনে মনে তারাই হিংসে জ্বলে পুড়ে ছাই অংগার হয়ে যায় । কৃত্রিম ভাবে তাদের আপনার খুশী তে সামিল হয় ।
* আপনার ব্যক্তি গত কথা যদি তাকে বলেন ,তাহলে সেগুলো সে অন্যের কাছে বলে বেড়ায় এবং আপনার দুর্বলতা খুজতে থাকে। তারা বিপদের সময় আপনার দূর্বল জায়গাতেই আঘাত করবে । এটার অপেক্ষা তারা করে থাকে ।
*কিছু লক আছে যারা কথায় কথায় আপনার মন ভুলিয়ে দেবে ,বলা যায় এটা তাঁদের একটা গুন । কিন্তু সত্যি বলতে তারা শুধুই কথা দিয়ে চিড়া ভিজায় । কথা দিয়ে কি আর চিড়া ভিজা নো যায় ? এরাই সবচেয়ে বড় শত্রু । এদের চেয়ে ভালো শত্রু আর নাই । তাদের এদের থেকে উত্তম দূরত্ব বজায় রাখুন ।
সময় থাকতে কাল সাপের হাত থেকে রক্ষা হন । এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না । আশা করছি সকলের ভালো লেগেছে ।
আর আপনাদের কথা আমাদের জানান কমেন্টের মাধ্যমে। আপনার বন্ধুত্বের কথা আর আপনার অভিজ্ঞতার কথা।
বন্ধুর মুখোশে লুকিয়ে থাকা শত্রু চেনার ৫ উপায়,
স্বার্থপর বন্ধু চেনার ৬ টি উপায়,