আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভাল আছেন। সবাইকে স্বাগতম grathor society তে। বর্তমান যুগ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির যুগ। এই যুগে মানুষ পৃথিবী ছাড়িয়ে যাচ্ছে চাঁদের দেশে। এটি একমাত্র সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির জন্য। প্রযুক্তির এই আমূল পরিবর্তন এনেছে কম্পিউটার বা মিনি কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন। বর্তমানে আমরা হাতে থাকা এ স্মার্টফোনটি দিয়ে সহজেই যেকোনো কাজ করতে পারি।
আজ আমরা এরকমই একটি স্মার্টফোন নিয়ে কথা বলবো যার নাম symphony z 33। আর এটি গর্বের সাথে বলতে হচ্ছে যে 8500 টাকায় এটিই হচ্ছে বেস্ট ফোন যা বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে। আমরা যারা এই বাজেটে ফোন কিনবো তারা নিশ্চয়ই মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। তাই আমাদের ফোন কিনার সময় সবকিছু বিবেচনা করতে হবে যেমন: ফোনটির ব্যাটারি ব্যাকআপ, বিগ ডিসপ্লে, ভালো ক্যামেরা, আউটলুক ডিজাইন ইত্যাদি ইত্যাদি।এক্ষেত্রে আমার নজরে যে ফোনটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সেটি হচ্ছে symphony z 33।
প্রথমে দেখা যাক ফোনটির আউটলুক ডিজাইন
বেস সুন্দর আউটলুক ডিজাইন দেয়া হয়েছে কোনটিতে। যা আমরা উপরে ছবিটা দেখতে পাচ্ছি। এই ফোনটি চারটি কালারে পাওয়া যায় Black, Green, Pink, Blue।বডির ডানপাশে ভলিউম এবং পাওয়ার বাটন এর সাথে রয়েছে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট বাটন ।মোবাইলটির নিচের দিকে থাকছে 3.5mm হেডফোন জ্যাক এবং এর সাথে থাকবে লাউডস্পিকার এর সুবিধা । তবে আমার মনে হয় স্পিকারটি ফোনের ব্যাক পার্ট এ দেওয়ার চাইতে সাইডে দিলে ভালো হতো। ফোনটিতে প্রোটেকশন আছে কিনা তার সম্পর্কে কোম্পানি কোন বর্ণনা দেয় নি। বডিতে দাগ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সকলে বেক কাভার ইউজ করবেন।
মেমোরি পারফরম্যান্স
ফোনটির মেমোরি পারফরম্যান্স বাজেট হিসেবে ঠিক রেন্জেই রয়েছে।একটিমাত্র ভেরিয়েন্ট টাইপে মোবাইলটিকে রিলিজ করা হয়েছে । ইন্টার্নাল মেমোরিতে 3 জিবি রেম এর পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে 32 জিবি রোম । হাই পারফরম্যান্সের অ্যাপস এবং সফটওয়্যার গুলো দারুন স্পিডে ব্যবহার করা যাবে ।Dedicated slot 128 জিবি পর্যন্ত বাড়িয়ে নেওয়া যাবে।প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্যাদি এবং ডকুমেন্ট পর্যাপ্ত আকারে সংগ্রহ করে রাখা যাবে ।
ফোনটির ডিসপ্লে কোয়ালিটি এবং অন্যান্য
ফোনটির ডিসপ্লে সাইজ:6.52 ইঞ্চি। এটি HD+ রেজুলেশনের এবং1600 x 720 pix। এটির পিপিআই হচ্ছে 263। ফোনটিতে রয়েছে IPS Touchscreen। ফোনটির টাচ রেসপন্স খুবই ভালো ছিল। ফোনটির ডাইমেনশন:164.4 x 75.7 x 8.63 millimeters। অর্থাৎ ফোনটি খুবই স্লিম হবে। ফোনটির ওজন খুবই হালকা যা মাত্র 190 গ্রাম। ফোনটিতে রয়েছে 5000mah এর ব্যাটারি। এর সাথে রয়েছে 10 watt ফাস্ট চার্জার। ফোনটির স্পেশাল হচ্ছে এর চিপসেট যা UNISOC T610। এটি একটি 12 ন্যানোমিটারের চিপসেট। এটি 1.8 GHz এর একটি Octa-core প্রসেসর।
বর্তমানে ফোনটির বাজার মূল্য 8990 টাকা। যা আপনি 8500 টাকায় বাজার থেকে কিনতে পারবেন।
ফোনটির ক্যামেরা
ফোনটির পিছনের ক্যামেরা হচ্ছে দুইটি।ওয়াইড ফাংশনে থাকছে 13 মেগাপিক্সেল এবং ম্যাক্রো ক্যামেরা ফাংশনে রয়েছে 2 মেগাপিক্সেল । ক্যামেরা গুলো দিয়ে স্কিন ফ্লাশ , অটোজুম , এইচডিআর , ডিএসএলআর সহকারে আরো অনেক মুডে ইমেজ তোলা যাবে । মোবাইলটি দিয়ে যেকোনো ভিডিও এইচডি মুভি 720 পিক্সেলে রেকর্ডিং এবং দেখা যাবে । সেলফি তোলার জন্য ফ্রন্ট ক্যামেরায় থাকছে 8 মেগাপিক্সেল এর একটি রেয়ার ক্যামেরা । এখন আমরা হয়তো অনেকেই মনে করতে পারি স্মার্টফোনটি একটুও নিম্ন সিমেন্টের মধ্যে থাকার কারণে এখানে হয়তো কিছুটা ভালো মানের ক্যামেরার ছোঁয়া পাওয়া যাবে না । এই স্মার্টফোনটির প্রাইমারি ক্যামেরাগুলো দিয়ে খুব সহজে ভালো মানের ইমেজ এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে পারবেন।
গেমিং পারফরম্যান্স
গেমিং পারফরমেন্সের জন্য এই মোবাইলটি হাই কোয়ালিটির ফিচার না দিতে পারলেও অনলাইন প্রথম সারির গেমগুলো মোটামুটি মিডিয়াম কোয়ালিটি ফিচার পাওয়া যাবে । ফ্রী ফায়ার এবং পাবজির মতো অনলাইন গেম গুলো উন্নত মানের গ্রাফিক্স এর সাথে খেলতে না পারলেও গেমিং প্রসেসর থাকার কারণে ভালোভাবেই গেম প্লে করা যাবে । গেমিং ব্যবহারে হ্যাং এর মুখোমুখি হতে হবে না বলে আশা করি ।
তো এই হচ্ছে আজকের গরিবের প্রিমিয়াম ফোনের সকল স্পেসিফিকেশন। আশা করি সকল কে সঠিক তথ্য দিতে পেরেছি। তবুও ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।