আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। পূর্বে আমি আমার একটি আর্টিকেল এ ফোনের ক্যামেরার ক্ষেত্রে অ্যাপাচার কি রকম হওয়া প্রয়োজন সেই সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত বলেছিলাম। আজকে আমি যে বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চলেছি সেই বিষয়টি হচ্ছে ক্যামেরার আই. এস. ও(ISO)।
অবশ্যই এটি ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন এর ব্যাপারে নয়। ক্যামেরার মধ্যে আমরা যে আই এস ও ব্যবহার করি সেই বিষয়ে আমি আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
আই এস ও কি?
আই এস ও হলো ক্যামেরার মধ্যে ব্রাইটনেস নির্ধারণ করার জন্য ব্যবহৃত একটি সেনসিটিভিটি নির্ভর সিস্টেম। আমাদের এন্ড্রয়েড ফোনে বাজে কোন প্রকার ক্যামেরা ফোনে আমরা এর ব্যবহার দেখতে পাই। যে কোন ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি তোলার জন্য এটি আমরা ব্যাপকহারে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আসলেই কি আমরা এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানি। ক্যামেরা অন্যান্য একক গুলোর মত আই এস ও কেও আমরা বিভিন্ন মানের সংখ্যা সাহায্যে পরিমাপ করে থাকি।
যেমন: ১০০,২০০,৪০০,৮০০ ইত্যাদি। প্রত্যেক ক্যামেরার ক্ষেত্রেই একটি নির্দিষ্ট মানের আই এস ও নির্ধারণ করা থাকে। একে আমরা সেই নির্দিষ্ট মানের চেয়ে বাড়াতে কিংবা কমাতে পারি। কিন্তু একটি ক্যামেরার সাহায্যে পারফেক্ট ছবি তোলার জন্য কি পরিমান আই এস ও হওয়া জরুরি সেই সম্পর্কে আমরা অনেকেই তেমন একটা ধারণা রাখি না।
একটি পারফেক্ট ছবি তোলার জন্য আই এস ও এর পরিমান:
যেকোনো ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার জন্য সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি ভূমিকা পালন করে সেটি হল পিক্সেল। এটি ক্যামেরার ক্ষুদ্রতম একক এবং একটি সুন্দর ছবি তোলার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা অপরিহার্য। এরপর ঐ জায়গা দখল করে অ্যাপাচার। পরবর্তীতে আসে আই এস ও এর ভূমিকা। আমরা আমাদের ক্যামেরার মধ্যে আই এস ও এর পরিমাণ আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বাড়াতে এবং কমাতে পারি। কিন্তু তাতে ছবিটি সুন্দর হবে কিনা সেটি আমাদের বোঝা খুবই জরুরী। আই এস ও কমালে এবং বাড়ালে ফোনের ক্যামেরার মধ্যে থাকা ছবির ব্রাইটনেস বাড়ে এবং কমে।
সাধারণ ভাবে আমরা একটি নরমাল কোয়ালিটির ক্যামেরায় আই এস ও এর রেঞ্জ ৫০ থেকে ১৬০০ অথবা ৩২০০ পর্যন্ত পেয়ে থাকি। দিনের বেলায় ছবি তোলার ক্ষেত্রে যদি আপনি ন্যাচারাল ছবিটিই পেতে চান তবে আই এস ও এরমান অটোমেটিক রাখলে ভালো। তাছাড়া যদি আপনি ব্রাইটনেস লেভেলে সন্তুষ্ট না হন তবে তা ৫০০ থেকে ১৬০০ এরমধ্যে রাখতে পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন আই এস ও এর মান যত বৃদ্ধি করবেন আপনার ক্যামেরায় তোলা ছবিটির নয়েজ ততবেশি বাড়তে থাকবে।
তার সাথে আপনি যদি ফ্ল্যাশ ব্যবহার করেন তবে তো আর কথাই নেই। যখন আপনার চারপাশে আলোর পরিমাণ কম তখন আপনার প্রয়োজন অনুসারে আই এস ও এর মান বাড়ানো উচিত। এছাড়া ছবি তোলার সময় যতসম্ভব নড়াচড়া কম করা উচিত যার ফলে ছবিটি সুন্দর হবে এবং নয়েজের প্রভাব তেমন একটা লক্ষ্যণীয় হবে না।
আর আপনি যদি দিনের বেলায়ও একটি ছবি তুলতে চান যেখানে আলোর চেয়ে অন্ধকারের পরিমাণ বেশি হবে তবে আই এস ও এর মান ১০০ এর নিচে নিয়ে যান। ৫০ থেকে ১০০ এর মাঝে রাখলেই আপনি মোটামুটি একটি অন্ধকার পরিবেশ পেতে সক্ষম হবেন আপনার ছবির জন্য। এছাড়া ছবির বিস্তৃতি ঘটনার জন্য আপনি এর সাথে অ্যাপাচারের ও পরিবর্তন করতে পারেন। আশা করি একটি ভালো ছবি তুলতে সক্ষম হবেন।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। ধন্যবাদ।