আসসালামুআলাইকুম। আাশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ২০২২ সালে আসা ক্রিকেটের কিছু নতুন নিয়ম সম্পর্কে। আশা করি সবাই ধর্য সহকারে আজকের আর্টিকেলটা মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন আর্টিকেলটা শুরু করা যাক।
মানকাডিং আউট
প্রায় ৭৫ বছর পর বৈধতা পেল মানকাডিং আউট। ১৯৪৭ সালে ভারত ও আস্ট্রেলিয়া টেস্টে ভানু মানকরের সমালচিত বিখ্যাত আউটকে রান আউটের বৈধতা দিয়েছে ম্যারিলিবন ক্রিকেট ক্লাব ( এম সি সি)। সেই সাথে সেই সাথে ডেথ বল আউটের পর স্ট্রাইকিং পজিশন ও আনফেয়ার ফিল্ডিংয়ে প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি দেওয়া নিয়ে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে ক্রিকেটের আইন প্রনয়ন কারী সংস্থাটি। ১ অক্টোবর থেকে এই আইন গুলো চালু করবে আই সি সি।
বোলার বল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, নন-স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যান স্ট্রাইক লাইন থেকে একটু সামনে এগিয়ে গেলেন। সুযোগ পেয়ে বোলার নন-স্ট্রাইকের উইকেট উড়িয়ে দিলেন।এ ধরণের পরিস্থিতিতে আউট দেওয়া হলেও এটি একটি বহু সমালচিত ও ক্রিকেট চেতনার পরিপন্থি একটি আউট ক্রিকেট বিশ্বের কাছে।
২০০৩ সালে মুলতান টেস্ট সিরিজ।
২০০৩ সালে পাকিস্তান সফরে মুলতান টেস্টে জয়ের দিকে বাংলাদেশ ছিল নিরঙ্কুশ ফেবারিট। সেদিন ওমরকলকে মানকডিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিক। ভদ্রতার পরিচয় দিয়ে রফিক মানকডিং করেননি। যে কারণে বাংলাদেশর কপালে জয়ের বদলে জুটেছিল ১ উইকেটের পরাজয়।
১৯৪৭ সালে মানকাডিং আউট।
১৯৪৭ সালে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া টেস্টে অজি ব্যাটসম্যান মিল ব্রাউনকে ঠিক এইভাবেই আউট করেছিলেন ভারতীয় বোলার ভানু মানকর। যার পরে চরম সমালচনার মুখে পড়ে মানকরের নামের সাথে মিলিয়ে এ ধরণের আউটের নাম রাখা হয় মানকাডিং আউট। এই মানকডিং আউটকে এবার বৈধতার স্বিকৃতি দিল এম সি সি। রান আউটের আওতায় আনা হলো মানকডিং আউটকে।
সেই সাথে এম সি সি পরিবর্তণ করেছে আরো কিছু নিয়ম।
ব্যাটার পজিশনের উপর দেওয়া হবে ওয়াইড বল।
ব্যাটারের পজিশনের পরিবর্তনের কারণে বোলার বিভ্রান্ত হয়ে ওয়াইড লাইন ক্রস করে ফেলে তাহলে সেটাকে আর ওয়াইড বল দেওয়া হবে না। ওয়াইড বল দেওয়া হবে ব্যটারের পজিশনের উপর নির্ভর করে।
নতুন ব্যাটসম্যান স্ট্রাইক পজিশন পাবেন।
ক্যাচ আউটের সময় নন-স্ট্রাইক পজিশনের ব্যটার যদি অর্ধেক ক্রিজ পার করে ফেলতেন তাহলে নন-স্টাইক পজিশনের ব্যটার স্ট্রাইক পজিশন পেতেন এতদিন। কিন্তু এখন নিয়মের পরিবর্তনে ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটসম্যানই স্টাইক পজিশন পাবেন।
আনফেয়ার ফিল্ডিংয়ে পেনাল্টি।
এদিকে ফিল্ডারদের আনফেয়ার ফিল্ডিং নিয়ে পেনাল্টির ঘোষণা করেছে এম সি সি। আগে ফিল্ডাররা কোন প্রকার সুবিধা নিলে একটি ডেথ বল ঘোষণা করা হতো। কিন্তু এখন প্রতিপক্ষের স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ করার নিয়ম করা হয়েছে।
বলে লালা লাগানো বল টেম্পারিংয়ের আওতায়।
বলে লালা লাগানোকে বল টেম্পারিংয়ের আওতায় এনেছে ম্যারিলিবন ক্রিকেট ক্লাব। তো প্রিয় পাঠক আজ এ পর্যন্তই ।সবাই কে বিদায় ।আর সবাই কে অসংখ্য ধন্যবাদ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন। আর একটা কথ না বললেই নয় আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে একটি সুন্দর মন্তব্য করে আমাদেরকে উৎসাহিত করুন। আসসলামুআলাইকুম।