ক্রিকেটে টি২০ লীগের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চার ছক্কা ধুমধাক্কার ব্যাটিং ক্রিকেটপ্রেমীদের দেয় ব্যাপক বিনোদন। আইপিএল,বিপিএল,পিএসএল সহ বিশ্বের সব টি২০ লীগ ই ক্রিকেটপ্রেমীদের আকৃষ্ট করেছে। প্রতিটা লীগের দল মালিক গুলো কোটি কোটি টাকা খরচ করে খেলোয়াড় কিনে দল গঠন করে।
কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হয় মাত্র একটি দল। চ্যাম্পিয়ন দল বড় অংকের প্রাইজ মানি পেলেও সেটা দল গঠন করার টাকার সমপরিমাণ হয় না। আর বাকী দল চ্যাম্পিয়ন না হলেও দল মালিক গুলোর লস হয় না তেমন। ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক টি২০ লীগে দল কিনে মুলত ব্যবসা করার জন্য। বিশ্বের বড় বড় তারকা ক্রিকেটার কে কোটি কোটি টাকা দিয়ে কিনে নেয়।
এত টাকা খরচ করে তারা কিভাবে সেই টাকা উঠিয়ে ব্যবসা করে?
আজকের এই লেখায় আমরা সেই আলোচনা ই করবো।
মিডিয়া স্বত্ত্বঃ
মিডিয়া স্বত্ত্ব বিক্রি করে টি২০ লীগ থেকে বিশাল অংকে টাকা আয় করে থাকে। আইপিএলে ২০১৭ সালে বিসিসিআই মিডিয়া স্বত্ত্ব স্টার স্পোর্টস এর কাছে বিক্রি করে ছিলো ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশী! এই লাভের একটা অংশ আইপিএলে অংশ গ্রহণ করা দল গুলোর মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। আইপিএলের সবচেয়ে বড় আয় আসে মিডিয়া স্বত্ত্ব থেকেই।
স্পন্সরঃ
ফ্রাঞ্চাইজি লীগ মানেই টাকার খেলা। সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য বিনোদন হলেও দল মালিক গুলো এখানে আসে ব্যবসা করতে। এত কোটি কোটি টাকা খরচ করে সেই টাকা উঠিয়ে আবার লাভ ও করে৷ কিভাবে করে? মুলত দল গুলোর আয়ের মুল উৎস হলো স্পন্সর। বিভিন্ন নামীদামী কোম্পানির সাথে চুক্তি করে। সেই কোম্পানীর বিজ্ঞাপন খেলোয়াড়দের জার্সিতে ব্যবহার করে৷ জার্সির সামনের দিকে বিজ্ঞাপনের জন্য লগো দিলে টাকার পরিমাণ বেশী। জার্সির হাতায় লগো দিলে রেট এক রকম। পিছনে দিলে আরেক রকম। এছাড়া মাঠে বিভিন্ন ভাবে স্পন্সর দিয়ে সংশ্লিষ্ট দল এবং বোর্ড টাকা ইনকাম করে।
বিজ্ঞাপনঃ
বিশ্বের নামিদামী কোম্পানি গুলো তাদের পন্যের প্রচারের জন্য বড় অংকের টাকা বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। দল গুলো খেলোয়াড় দিয়ে বিজ্ঞাপন বানিয়ে আয় করে।
জার্সি বিক্রিঃ
টি২০ লীগের দল গুলো জার্সি বিক্রি করে টাকা আয় করে৷ দল গুলোর ফ্যান রা তাদের পছন্দের দলের জার্সি কিনে। ফ্র্যাঞ্জাইজি দল গুলো তাদের অফিসিয়াল জার্সি উন্মোচন করে। এবং হাজার হাজার পিচ জার্সি বিক্রি করে। এই জার্সি বিক্রি থেকে বিশাল একটা এমাউন্ট তুলে নেয়।
টিকেট বিক্রিঃ
আইপিলে হোম এন্ড এওয়ে ভিত্তি তে খেলা হয়। হোম ম্যাচে বিক্রি হওয়া টিকেট টাকা স্বাগতিক দল পায়। এই টিকেট বিক্রির একটা অংশও দলের মালিক রা পায়!
বোর্ড যা আয় করে সেই আয়ের একটা অংশ প্রতিটা দলের মধ্যে ভাগ হয় তবে যারা প্লে অফ, কোয়ালিফাই খেলার যোগ্যতা অর্জন করে তারা টাকা পায় বেশী। ফাইনালে যাওয়া দুই দল পায় আরো বেশী। চ্যাম্পিয়ন দল পায় সবচেয়ে বেশী। এছাড়া অনেক সময় ম্যাচ বা স্পষ্ট ফিক্সিং করে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে৷ তবে সেটা তে ধরা পড়লে দল ব্যান খেয়ে সাজা প্রাপ্ত হয়।