স্কুল জীবনের ছোট্ট একটি স্টোরি উপস্থাপন করছি আমি তৌহিদ। স্কুল জীবনের কথা বলতে গেলে অনেকে ঘটনাই মনে পড়ে যায়। চোখে বেসে উঠে সেই সোনালি অতীতের দিনগুলি। স্কুলে যখোন পড়াশোনা করতাম বেশির ভাগ সময়ই পিছনের বেঞ্চে বসতাম কারণ ছাত্র হিসাবে এতো টা ভালো ছিলাম না জীবন মানে কি সহজে বুজতাম ও না কখোন যে কি করে বসতাম নিজেও জানতাম না।
স্যার যখোন সবাই কে পড়া ধরতেন প্রায় সময় এই মাথা নইয়ে রাখতাম কিন্তু স্যার কেমন করেই যে বুজে ফেলতেন আমি পড়াটা শিখি নাই দুম করেই যখোন আমাকে পড়া ধরতেন তখনি আমি দাঁড়িয়ে যেতাম কিন্তু কিছু বলতে পাড়তাম না তখন স্যার রেগে গিয়ে কান ধরে বেঞ্চের উপরে দাঁড় করিয়ে রাখতেন। কিন্তু কান দাঁড়িয়ে থাকার মধ্যে ও কেমন যেন একটা আনন্দ ছিল। ছেলে মেয়েরা সবাই একসাথে ছিলাম ক্লাসে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা হবে প্রায় অনেক সবাই মিলে একসাথে বসে হই চই করতাম খেলাধুলা করতাম।
স্কুলের টিফিন এর সময় আমাদের স্কুলের সামনেই একটা ঝালমুড়ি ওয়ালা মামা ছিলো ওনার ঝালমুড়ি খুব মজা হতো টিফিনের সময় প্রায় স্কুলের সবাই গিয়ে ওখানে ভির করতো তখন আমরাও তিন ছিলাম তখোন একসাথে যেতাম আার প্রতিদিন আঁচার ঝালমুড়ি খেতাম মাঝে মাঝে দেখা যেতো যে টাকা না দিয়েই চলে আসতাম। ঝালমুড়ি ওয়ালা মামা যখোন হাট হাট কোনোদিন জিজ্ঞেস করতো টাকা দিবা না তখোন একটা কথাই বলতাম দিবো বাকী থাকলো পরের দিব নে। এভাবে চলতে থাকলো প্রতিদিন ঝালমুড়ি খাই স্কুলে গিয়ে ক্লাস না করলেও কোনোদিন ঝালমুড়ি খাওয়া মিস হয় নি।
এভাবে চলতে থাকে একের পর পর। ক্লাস করতাম কম পড়াশোনা ও পারতাম কম কিন্তু পরীক্ষা আসলে ভালো রেজাল্ট করতাম কারণ হাতের লিখা ছিলো খুব সুন্দর বানিয়ে বানিয়ে লিখতাম স্যার তো আার এতো ভালো করে খাতা পড়তেন না লিখা সুন্দর দেখেই ভালো নাম্বার দিয়ে দিতেন। দেখা যায় সারা বছর ক্লাস ফাঁকি পড়াশোনা ঠিক মতো না তাও পরীক্ষায় রেজাল্ট ভালো অনেক বন্ধুরা মনে করতো আমাকে স্যার সাজেশন দিয়ে দেয় কিন্তু আসলে তা।
আমার লিখা সুন্দর ছিলো বানিয়ে লিখতাম নাম্বার পেয়ে যেতাম। যাক এমন করে চলতে থাকলো একের পড় এক ক্লাস পাস করতে থাকলাম খুব ভালোই খাটতে ছিলো সময় গুলো। এখনো ওই সময় গুলোকে মিস করি স্কুল লাইফের মতো কোনো লাইফ না। জীবন মানেই স্কুল লাইফ টা সুন্দর করে কাটিয়ে উঠা। কতো বন্ধু বান্ধবী মজা আার আনন্দ ছিলো সেই জীবনে।
আমি আমার জীবনের সেরা দিনগুলোর মধ্যে স্কুল জীবনের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাকেই খুব মিস করি এখনো মনে করি আমার গল্প করতে ভালো লাগে কেমন যেনে একটা। ওখানে অনেক আবেগ স্মৃতি জমে আছে। প্রতিটি স্যার আার ম্যাম দের আন্তরিকতা আমাকে বারবার মুগ্ধ করে। আমি আমার জীবনে কখনো স্কুল জীবনের গল্প গুলো ভুলতে পাড়বো না যখনি মনে পড়ে যায় তখনি স্কুলের স্মৃতি গুলো চোখে পড়ে যায়। আহা! কি সুনালি দিন গুলোই ছিলো না।
খুব মিস করি আবার ফিরে যেতে চাই সেই স্কুল জীবনের স্মৃতিতে।