আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের সামনে নিয়ে এলাম হিমালয় ফেসওয়াস এর উপকারিতা, হিমালয় ফেসওয়াস এর দাম কত, হিমালয় নিম ফেসওয়াশ সম্পর্কে একটি ইসলামিক আর্টিকেল। আশা করি আপনাদের অনেক ভাল লাগবে।
আমরা প্রত্যেকেই নিজেরা নিজেদের প্রতি বেশি যত্নশীল থাকি। বিশেষ করে আমরা আমাদের ত্বকের ব্যাপারে বেশি সিরিয়াস থাকি। আমরা সবাই চাই আমাদের মুখ কে সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখতে। এই সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য আমি আপনাদের কে এমন একটি ফেসওয়াস সাজেস্ট করবো যার নাম হলো হিমালয় ফেসওয়াস। বাজারে যেসব ফেসওয়াস পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম সেরা একটি প্রডাক্ট হলো হিমালয় ফেসওয়াস।
বিভিন্ন ডাক্তাররা ও ত্বকের জন্য যেসব ফেসওয়াস ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন তার মধ্যে একটি হলো হিমালয় ফেসওয়াস। তো যারা হিমালয় ফেসওয়াস সম্পর্কে অবগত নন কিংবা হিমালয় ফেসওয়াস সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আপনি এই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ে হিমালয় ফেসওয়াস সম্পর্কে একটা পূর্ণাঙ্গ ধারণা নিতে পারবেন। হিমালায় ফেসওয়াস এর উপকারিতা কি, হিমালয় ফেসওয়াসের অপকারিতা কি, হিমালয় ফেসওয়াসের এর কার্যকারিতা, হিমালয় ফেসওয়াসের দাম সম্পর্কেও নিচের প্যারাতে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
হিমালয় ফেসওয়াস এর উপকারিতা
আমরা যেসব ফেসওয়াস ব্যবহার করি তাট মধ্যে সেরা একটি ফেসওয়াসের নাম হলো হিমালয় ফেসওয়াস। এই ফেসওয়াস টি সেরা হওয়ার পিছনে বিভিন্ন কারণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর বিভিন্ন উপকারিতার জন্যই এটি সেরা হিসেবে গণ্য। তো যারা হিমালয় ফেসওয়াস ব্যবহার করবেন বলে চিন্তা করছেন কিন্তু এর উপকারিতা গুলো কি কি তা জানেন না তারা এই প্যারা টি ভালো ভাবে পড়ুন। আপনি এই প্যারার মাধ্যমে হিমালয় ফেসওয়াসের যত রকমের উপকারিতা রয়েছে তা জানতে পারবেন।
• হিমালয় ফেসওয়াসের যে উপকারিতা রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো ক্লিনিং প্রক্রিয়া। ক্লিনিং বলতে এই ফেসওয়াস টি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার ত্বকের মধ্যে জমে থাকা যত প্রকার জীবাণ রয়েছে সেসব জীবাণ গুলো সহজেই পরিষ্কার করতে পারবেন। আপনি যদি হালকা ফেসওয়াস ক্রিম হাতে নিয়ে মুখে আলতো ভাবে লাগিয়ে ভালো ভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলেন তাহলে নিমিষেই আপনার ত্বকের জীবাণু গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
• ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে হিমালয় ফেসওয়াসের কোনো তুলনা নেই। বিশেষ করে যাদের ত্বক তেল তেল ভাব রয়েছে তাদের জন্য এই ফেসওয়াস টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আপনার যদি তৈলাক্ত ভাব থাকে তাহলে আপনার জন্য এই ফেসওয়াস টি ব্যবহার করা উত্তম হবে বলে আমি মনে করি। এই ফেসওয়াস টি সকালে ঘুম থেকে উঠার পর কিংবা রাতে ঘুমানোর পূর্বে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। নিয়মিত ব্যবহার এর ফলে আপনার মুখের তৈলাক্ত ভাব কমে আসবে ইন শা আল্লাহ।
• যাদের ব্রণ সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য হিমালয় ফেসওয়াস বেশ উপকারি হবে। সাধারণত কম বেশি এখন প্রায় সবারই ব্রণ সমস্যা থাকে। তারা যদি নিয়মিত হিমালয় ফেসওয়াস ব্যবহার করে তাহলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। সে সঙ্গে ব্রণ ও আগের তুলনায় অনেকটা কমে আসবে। ব্রণ হওয়ার ফলে যেসব দাগ গুলে মুখে রয়ে যায় সেগুলো ও আস্তে আস্তে কমে আসবে।
• মুখের উজ্জ্বলতা ভাব আনতে হিমালয় ফেসওয়াসের কোনো বিকল্প নেই। এটি যদি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকের রৌদের ছিটছিঠে ভাব রিমুভ করে ত্বকের আসল উজ্জ্বল ভাব ফিরিয়ে আনবে।
হিমালয় ফেসওয়াস এর দাম কত
হিমালয় ফেসওয়াসের যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমন এর কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। অপকারিতা গুলো হলো – আপনি যদি দিনে ২বার এর বেশি ব্যবহার করেন তাহলে এটি আপনার ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলবে। কারণ ফেসওয়াস এর ক্ষারত্ব আপনার ত্বকের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত করবে। ফলে অনেক সময় ত্বকে কালো কালো ছাপ পড়ে যাবে। যা দূর করা কষ্টসাধ্য। এছাড়াও এই ফেসওয়াস টি ব্যবহার এর পূর্বে ডাক্তার এর পরামর্শ নেওয়া উচিত। কেননা সবার ত্বকে পিএইচ মাত্রা সমান নয়। যার কারণে সব ত্বকের জন্য এই ফেসওয়াস টি ভালো নাও হতে পারে। তাই এটি ব্যবহার এর সময় এসব দিক খেয়াল রেখে ব্যবহার করতে হবে।
হিমালয় ফেসওয়াসে কি কি উপাদান রয়েছে
হিমালয় ফেসওয়াস একটি প্রাকৃতিক উপাদান এর সংমিশ্রণে তৈরি ফেসওয়াস। এর মধ্যে যেসব উপাদান গুলো ব্যবহার করা হয় তার অধিকাংশ উপাদানই প্রাকৃতিক থেকে সংগ্রহীত। এখানে যে উপাদান গুলো ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে অন্যতম দুটি উপাদান হলো হলুদ এবং নিম। আমরা সবাই জানি প্রাকৃতিক নিম ও হলুদ আমাদের দেহ ও ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারি। তাই এর তেমন কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। হলুদ যেমন ত্বক কে নানা ভাবে উপকার করে নিম ও ত্বকের জন্য বেশ ভালো।
হিমালয় ফেসওয়াস কোথায় পাওয়া যায়?
এই ফেসওয়াস টি বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। বিশেষ করে কসমেটিক্স এর দোকানে এটি প্রায়শই দেখা যায়। এছাড়া বাজারের বিভিন্ন মুদির দোকানেও এটি পাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন ফার্মেসী তে হিমালয় ফেসওয়াসের দেখা মিলে। যেহেতু এর চাহিদা বেশি তাই এটি বলতে গেলে সব খানেই পাওয়া যায়।
হিমালয় ফেসওয়াসের দাম কত
এই ফেসওয়াস টি বিভিন্ন ওজনের রয়েছে। যার কারণে এর দাম ও ভিন্ন ভিন্ন। সাধারণত ৫০ গ্রাম, ১০০ গ্রাম, ২৫০ গ্রাম এর ফেসওয়াসই বেশি পাওয়া যায়। তাই এসব ওজন অনুযায়ী এর দাম ও একেক ধরনের। ৫০ গ্রাম হিমালয় ফেসওয়াসের দাম হলো ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা। ১০০ গ্রাম এর দাম ২৫০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা। আর ২৫০ গ্রাম এর দাম পড়বে ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।
পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।