দ্য সিক্রেট কোড অব বিজনেস

আমরা কম- বেশি সকলেই ছাত্রজীবন থেকেই টাকা রোজগার করতে চাই। এমনকি প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে এটি দরকারও বটে! কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করি- ছোট কাজ করলে আত্মসম্মানবোধ থাকবে না,লোকে ছোটলোক বলবে, এটা আর জীবনে কতটুক প্রভাব ফেলবে? ইত্যাদি বিষয়। কিন্তু বিশ্বাস করুন বা না করুন, ছোট ছোট কাজগুলো জীবনের এক পযার্য়ে বড় প্রভাব ফেলে।

এখন আমি এটমিক হ্যাবিটস্ থেকে একটা কোড আপনাদেরকে বলি। কোডটা হলো—Tiny changes,remarkable result.

অর্থাৎ,ছোট (Tiny)পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য ফলাফল তৈরি করে। এটাকে চলুন মাইক্রো বিজনেসের ক্ষেত্রে  পোস্টমটেম করি———-আমরা যদি আজ থেকেই ছোট পরিসরে একটা ব্যবসা শুরু করি (হোক সেটা অনলাই বা অফলাইন), একসময় তা বড় আকার ধারণ করবে। কিন্তু কীভাবে হবে তাই তো বলব।

তো একটা উদাহরণ প্রথমেই দিয়ে নিই,উদাহরণের নায়ক হলো বর্তমান সময় সংবাদ ও সিটিগ্রুপের প্রধান।সে তার ব্যবসা দাঁড় করিয়েছিলেন ৪৫ টাকা থেকে,কিন্তু আজ সে মানুষের উদাহরণের নায়ক।এতো বাংলাদেশের চিত্র, পাশের দেশ ভারতের আম্বানি পরিবার থেকে শুরু করে বিল গেটস্,ইলন মাস্ক সকলেই মাইক্রো বিজনেস থেকেই আজ এত বড়। সকলের সফলতার সূত্র ভিন্ন হলেও সকলেই তাদের
দৈনিক অভ্যাস ও মাইক্রো বিজনেসের উপর অটল থেকেছে।

এবার বলব” দ্য সিক্রেট  কোড অব মাইক্রো বিজনেস “।
প্রথমেই আমরা তা দেখব তারপর দিব বিশ্লেষণ।

কোডটি হলো: AR to the power n-1
২,৪,৮,১৬,৩২,৬৪,১২৮২৫৬,৫১২,১০২৪,২০৪৩,৪০৯৬,
৮১৯২,১৬৩৮৪,৩২৭৬৮,৬৫৫৩৬,১৩১০৭২,২৬২১৪৪,……………..,২১৪৭৪৮৩৬৪৮

আমি জানি আপনি কোডটি দ্বারা কিছু বুঝতে পারেন নি।

কোনো সমস্যা নেই। আমি সিক্রেট বিশ্লেষণটি বুঝিয়ে দিচ্ছি–
ধরুন আপনার কাছে ২ টাকা আছে।এখন আপনি এমন একটা খাতে এই ২ টাকা কাজে লাগান, যাতে আপনি ১মাস পর দ্বিগুন বা দেড়গুন লাভ করতে পারেন। কিভাবে করবেন তাও বলে দিব।তার আগে বিষয়টি বলতে দিন,তো এখন এই ২টাকা কোথাও বিনিয়োগের ফলে  আপনি যদি দ্বিগুণ বা দেড়গুন লাভ করতে পারেন, তাহলে হবে– 2×1.5=3  বা  2×2=4 টাকা

এবার আপনি যদি এই বিনিয়োগের টাকা দ্বারা ১.৫ বা ২ টাকা মুনাফা লাভ করতে পারেন তাহলে আপনি আপনার বিনিয়োগকৃত ২ টাকা ও লভ্যাংশ ১.৫ বা ২ টাকা যোগ করে আবারও এমন একটা খাতে কাজে লাগান যাতে আপনি আবারও দ্বিগুন বা দেড়গুন লাভ পান।

বিষয়টি নিচে বুঝে নিন।

Ex: প্রথম  বিনিয়োগকৃত 2 টাকা + প্রথম লভ্যাংশ 1.5/2 টাকা
সুতরাং, বিনিয়োগকৃত 2টাকা+ প্রথম লভ্যাংশ 1.5/2 টাকা =3.5/4 টাকা।
এরপরের মাসে আপনি বিনিয়োগ করবেন পূর্ববর্তী মাসের বিনিয়োগ ও লাভের মোট টাকা অর্থাৎ সেই 3.5 বা 4 টাকা।এবং পরের মাসে দ্বিগুন লাভ করলে 4 টাকা হবে 8 টাকা।

এরপর মাস 8 টাকা বিনিয়োগ করলে দ্বিগুন লাভে হবে 16টাকা।
এরপর মাস 16 টাকা বিনিয়োগ করলে দ্বিগুন লাভে হবে 32 টাকা।
এরপর মাস 32 টাকা বিনিয়োগ করলে দ্বিগুন লাভে হবে 64 টাকা।
এরপর মাস 64 টাকা বিনিয়োগ করলে দ্বিগুন লাভে হবে 128 টাকা।
এরপর মাস 128 টাকা বিনিয়োগ করলে দ্বিগুন লাভে হবে 256 টাকা।
এরপর মাস 256 টাকা বিনিয়োগ করলে দ্বিগুন লাভে হবে 512 টাকা।
এরপর মাস 512টাকা বিনিয়োগ করলে দ্বিগুন লাভে হবে 1024 টাকা।
এরপর মাস 1024টাকা বিনিয়োগ করলে দ্বিগুন লাভে হবে 2048 টাকা।
এরপর মাস 2048 টাকা বিনিয়োগ করলে দ্বিগুন লাভে হবে 4096 টাকা।
এরপর মাস 4096টাকা বিনিয়োগ করলে দ্বিগুন লাভে হবে 8192 টাকা।
এরপর মাস 8192 টাকা বিনিয়োগ করলে দ্বিগুন লাভে হবে 16384 টাকা।
এরপর মাস 16384 টাকা বিনিয়োগ করলে দ্বিগুন লাভে হবে 32768 টাকা।
এরপর মাস 32768 টাকা বিনিয়োগ করলে দ্বিগুন লাভে হবে 65536 টাকা।
এরপর মাস 65536 টাকা বিনিয়োগ করলে দ্বিগুন লাভে হবে 131072টাকা।

এভাবে দেখুন 16মাসে আপনি 1 লক্ষ টাকার মালিক।

কিন্তু 2 গুণ লাভ কোনো সাইট বা ব্যবসা থেকে  সম্ভব কী?

হ্যাঁ সম্ভব! 2গুণ লাভ না করতে পারলেও 1.3 থেকে 1.5গুণ লাভ সত্যিই সম্ভব। কিভাবে তা নিয়েও আলোচনা করা হবে।

এজন্য আপনাকে একটা সাইট বা ব্যবসার উপর নির্ভর করলে চলবে না।
একাধিক সাইটের উপর নির্ভর করলে তা সম্ভব হবে।

এখন কীভাবে সম্ভব তা প্র্যাকটিক্যাল দেখাব:::

এজন্য,নিম্নে প্রথমত কিছু পয়েন্ট অনুসরণ করুন –

1.লাভজনক 2 টি বা 3টি সাইট বা ব্যবসা নির্বাচন করা। (হতে পারে তা অনলাইন বা অফলাইন)

2.  5,000-10,000 টাকা বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত করা।

3.ব্যবসার লভ্যাংশ মোতাবেক সেই 5000-10000 টাকা নির্ধারিত ব্যবসাতে বিনিয়োগ করা।
(অর্থাৎ,2টি সাইট নির্ধারণ করলে যে সাইটে লাভ তুলনামূলক
বেশি সে সাইটে বেশি বিনিয়োগ করুন)

4.খেয়াল রাখুন,প্রতিটি ব্যবসা থেকে যেন মাসে কমপক্ষে  20%-50% লাভ হয়।
(অর্থাৎ,100টাকা ইনভেস্টে যেন 20-50 টাকা লাভ থাকে)

5 নম্বর পয়েন্টটি একটু ভালোভাবে
বোঝার চেষ্টা করুন।।।।।।

(5)  ধরে নিলাম,আপনি 5000 টাকা একাধিক সাইটে ইনভেস্ট করছেন -ভালো। এখন আপনার মনে প্রশ্ন হচ্ছে যে,
কীভাবে এই 5000 টাকা বিনিয়োগ করে কোটি টাকা বানাবো?😏

এখানেই কাজ করবে সেই পূর্বের কোডটি (AR^n-1)
এখানে,
A হলো বিনিয়োগকৃত 5000 টাকা
R হলো লাভের হার=1.2( ধরে নিলাম )
n হলো সময়
এখন সূত্রটি দ্বারা কোটিপতি হই চলুন,
AR^n-1
=5000×1.2^44-1
=5000×1.2^43
=12698826.35

না বুঝলে বুঝাচ্ছি,  আপনি যদি 5000 টাকা নিয়ে 2 টি ব্যবসায় ইনভেস্ট করেন এবং প্রতি ব্যবসা থেকে যদি 20% লাভ হয় তাহলে আপনার ব্যবসা থেকে প্রথম মাসে লাভ হবে 1000 টাকা। এবার হবে আপনার…. প্রধান কাজ: আপনি এখন সেই বিনিয়োগকৃত 5000 টাকা ও লাভের 1000 টাকা মোটমাট 6000 টাকা বিনিয়োগ করুন। একমাস পর আপনি যদি 6000 টাকা থেকে 20%লাভ  করুন, তাহলে  6000 টাকা থেকে লাভ হয় 1200 টাকা।

এবার আপনি পরবর্তী মাসে 20% লাভের জন্য 6000+1200 =7200 বিনিয়োগ করুন। মাসশেষে আপনার লাভ 1440 টাকা। এবারও সেইম প্রসেস, 20% লাভে আবারও আপনি 7200+1440=8640 এভাবে আপনি যদি ক্রমাগত 20%লাভে বিনিয়োগ করুন এবং 20% লাভ পেতে থাকুন, তাহলে আপনি 3 বছর 7 মাসে আপনি 1কোটি 26 লাখ টাকার মালিক হতে পারবেন। (যা প্র্যাকটিক্যালি প্রমাণিত)

ট্রিক্সটি কাজে লাগাতে পারে যে কোন বয়সী মানুষ।
(বিশেষ করে বেকাররা)

ট্রিক্সটি কাজে লাগানোর সঠিক সময় হচ্ছে ছাত্রজীবন। কারণ, এ সময় আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি অবসরে অনলাইনে বা অফলাইনে কাজ করতে পারেন। বিশেষ করে, হাইস্কুলে পড়ুয়া শিক্ষার্থীর। এছাড়াও, ছাত্রজীবন সঠিক, ট্রিকসটি ব্যবহারের জন্য। কারণ, এ বয়সে সাংসারিক খরচ থাকে না। তাই লভ্যাংশ কোথাও খরচ হয় না।

আমি প্রথম এই  ট্রিক্সটি গুণোত্তর ধারা থেকে  পাই। ট্রিক্সটি কাজে লাগিয়ে আমি ক্লাস 9 এ পড়েই প্রায় 2 বছরে 64000 টাকার মালিক।

ট্রিক্সটি প্রথম আমি গ্রাথোর অ্যাপে বললাম। গ্রাথরে বলার উদ্দেশ্য  ছোট লেখক হওয়া।।।।।

লেখাগুলো খুবই মূল্যবান। সাধারণ লোক বিশ্বাস করবে না-এটাই স্বাভাবিক।

আমার বিশ্বাস, লেখাগুলো কোনো সাধু ব্যক্তি পড়লে অবশ্যই আমাকে সাধুবাদ জানাবে।

Related Posts

2 Comments

মন্তব্য করুন