বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ । মানব সভ্যতার অন্যতম সেরা আবিষ্কার এই ইন্টারনেট যার মাধ্যমে মানুষ পৃথিবীকে নিয়ে এসেছে হাতের মূঠোয় । ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য জানার জন্য দরকার হচ্ছে ওয়েবসাইট । ওয়েব সাইটের মূল হচ্ছে ওয়েব পেজ যা HTML দিয়ে তৈরি করা হয় । ওয়েবসাইট তৈরি করে সাধারণত তা কোনো সার্ভারে হোস্ট করে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় । আজ আমরা সে বিষয়ের উপরেই আলোচনা করবো ।
ওয়েব ডিজাইন এর ধারনা ।
ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন সার্ভারে রক্ষিত ফাইলকে ওয়েব পেজ (Web Page) বলে যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দেখার উপযোগী । এটি সাধারণত HTML (Hyper Text Markup Language) দিয়ে লেখা হলেও বর্তমানে XML, DHTML, STTML ইত্যাদি ব্যবহার হচ্ছে । প্রতিটি অয়েব পেজের ওয়েব এড্রেস থাকে ।
ওয়েব পেজের সাথে শব্দ বা অডিও, ভিডিও ছবি, এনিমেশন, ডাটা ইত্যাদি যুক্ত থাকতে পারে । এ রকম এক বা একাধিক ওয়েব পেজের সমম্বয়ে তৈরি হয় ওয়েব সাইট । বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের ওয়েব সার্ভারে কয়েক মিলিয়ন ওয়েবসাইট সংরক্ষিত আছে । প্রতিটি ওয়েব সাইটের একটি ইউনিক এড্রেস আছে ।
ওয়েব পেজ
ইন্টারনেটে যে পেজগুলো আমরা দেখি সেজ্ঞুলোকে ওয়েব পেজ বলে । ওয়েব পেজে ইন্টারনেটের তথ্য যেমন- লেখা, ওডিও, ভিডিও, ছবি, এনিমেশন ইত্যাদি রাখা যায় । বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সবকিছুই ইন্টারনেটে পাওয়া যায় । ওয়েব পেজ ডেভেলপ করার পর তা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড অয়েবের (WWW) মাধ্যমে প্রকাশের জন্য ওয়েব সার্ভারে হোস্ট করা হয় ।
ওয়েব ব্রাউজিং
কোন সার্ভারে সংরক্ষিত ওয়েব পেজসমূহকে কোন ওয়েব ব্রাউজং সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রদর্শন করাকে ওয়েব ব্রাউজিং বএল । ওয়েব ব্রাউজিংএর জনপ্রিয় কিছু সফ্টওয়্যার হল –
১। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার
২। মাজিলা ফায়ারফক্স
৩। সাফারি
৪। গুগল ক্রম, ইত্যাদি
আইপি এড্রেস
ইন্টারনেটে যুক্ত প্রত্যকটি কম্পিউটারের একটি আইডেন্টিটি থাকে যা আইপি এড্রেস নামে পরিচিত । আইপি হল এক ধরনের নেটওয়ার্ক প্রটোকল । বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে আলাদা করার জন্য যেমন নাম আছে, ইন্টারনেটে তেমনি প্রত্যেকটি কম্পিউটারকে আলাদা করে সনাক্ত করতে আইপি এড্রেস ব্যবহৃত হয় ।
আইপি এড্রেস মূলত চারটি অংশে বিভক্ত এবং প্রতিটি অংশ ডট (.) চিহ্ন দ্বারা আলাদাভাবে বিভক্ত । এক একটি ভাগকে বলা হয় অকটেট(Octet) । তবে একটি আইপি এড্রেসকে প্রকাশ করার তিনটি পদ্ধতি আছে । যথা-
১। ডটেড ডেসিমেল নোটেশন (Dotted decimal notation): 192 .168 .15 .5
২। হেক্সাডেসিম্যাল নোটেশন (Hexadecimal notation): C0 .A8 0F .05
৩। বাইনারি নোটেশন (Binary notation): 11000000 .10101000 .00001111 .00000101
১ম অকটেট ১ম অকটেট ১ম অকটেট ১ম অকটেট
(1st Octet) (2st Octet) (3st Octet) (4st Octet)
চারটি অংশের সমম্বয়ে গঠিত আইপি এড্রেস IPv4 (IP ভার্সন 4) নামে পরিচিত । IPv4 এই এড্রেস হলো 4 x 8 বা 32 বটের / যার 232 বা 4294967296 সংখ্যক নেটোয়ার্কযুক্ত কম্পিউটার বা ডিভাইসকে সনাক্ত করা যায় । তবে আইপি এড্রেসের নতুন ভার্সন হলো IP v 6 , যার সাহায্যে 2128 সংখ্যা ডিভাইসকে সনাক্ত করা যায় এবং যা 128 বিটের এড্রেস ।
ডোমেইন নেইম
সংখ্যার সমম্বয়ে সঠিত আইপি এড্রেস মানুষের পক্ষে মনে রাখা খুবই কষ্টকর । তাই আইপি এড্রেস সহজে ব্যবহারযোগ্য করার জন্য সহজ কোন নাম ব্যবহার করা হয় । ডোমেইন নেইম হচ্ছে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত নেটোয়ার্ক সার্ভারের একটি নির্দিষ্ট নাম । যেমন- www.google.com এই সাইটটির আইপি এড্রেস হল – 216.58.212.164 । যে পদ্ধতিতে ডোমেইন নেইমকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় তাকে দোমেইন নেইম সিস্টেম বলে (DNS – Domain Naming System) ডোমেইন নেইম এর ভিবিন্ন অংশ থাকে । ডট (.) পয়ারেটর দ্বারা অংশগুলো বিভক্ত ।
http: //www. mansh.com /webpages/ about.html
Protocol domain name directory filename & extension
ডোমেইন নেইম এর চিত্র উপরে উল্লেখিত
উপরের চিত্রে টকটি ওয়েব সাইটেরর এদ্রেস হতে ডোমেইন নেইম mnhs.com কে দেখানো হয়েছে । এখানে mnhs কে ডোমেইন নেইম এবং .com কে ডোমেইন টাইপ বলা হয় । সাধারণত ডোমেইন টাইপ দ্বারা প্রতিষ্ঠানের টাইপ দাজা যায় । যেমন-
১। .com –কমার্শিয়াল প্রতিষ্ঠানকে বুঝানো হয় – উদাহরণ- www.google.com
২। .gov – সরকারি প৪রতিষ্ঠানকে বুঝানো হয় – উদাহরন – www.bpsc.gob.bd
৩। .org – অর্গানাইজেশনকে বুঝানো হয় – উদাহরণ – www.bccbd.org
৪।.edu – শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বুঝানো হয় – উদাহরণ – www.du.edu
পরবর্তী অংশ আসছে । বিস্তারিত জানতে সাথেই থাকুন । ধন্যবাদ ।