বাংলাদেশর সুবিখ্যাত আলেম দ্বীন ডক্টর আব্দুল্লাহ্ জাহাঙ্গীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি একবার এক মাহফিলে বলেছিলেন,
আমি যে ভাই সুরেলা কণ্ঠে কিচ্ছা কাহিনি বলতে পারি না।
হাদিস কোরআনে যতটুকু বুঝি ততটুকু বলি এর বাহিরে বলার মত কিচ্ছা কাহিনি আমার মুখ দিয়ে বেট হয় না।
নিচের ছবির একজন ডক্টর মন্জুর এলাহি হাফজেহুল্লাহ্
বর্তমান খুব কম মানুষ উনাকে চিনে এবং জানে৷
খুব কম সংখ্যা মানুষ তার ওয়াজ মাহফিল দাওয়াত দিয়ে থাকে৷
অথচ কিচ্ছা কাহিনি বলা হুজুর দের দিনে দু’তিনটি মাহফিল শেষ করে উঠতে পারে না।
লোকসমাগম হাজার হাজার হয়ে থাকে।
এ দেশের মানুষ বাজার গিয়ে দেখে শুনে ভালো মন্দ যাচাই বাছাই করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে নিয়ে আসে৷অথচ
সবচেয়ে প্রয়োজনীয় দ্বীনের ব্যাপার উদাসীন, ভালো মন্দ যাচাই করবে না৷
যেখানে লোকজন বেশি সেখানে এদের পদচারণ বেশি হয়ে থাকে৷ সে ক্ষত্রে হয় কি ভুল পথে চলে যায়৷
দেখুন বছরে কতহাজার মাহফিল,এক একটা হুজুরের মাহফিলে এখন কয়েক লক্ষ মানুষ হয়ে থাকে৷
প্রশ্ন হচ্ছে, যে হুজুরের বক্তব্য শুনতে কয়েক লক্ষ্য মানুষ হচ্ছে সে অবশ্যই ভালো মানের বক্তৃতা দিয়ে থাকে,অথচ সেই মাহফিলের যাওয়া মানুষ জন মাহফিলে এসেছে যারা তাদের কত ভাগ মানুষ তার কথা শুনে নিজের ঈমান বৃদ্ধি করে? আক্বিদা ঠিক করে?
পরেরে দিন বরং ফজরের ওয়াক্তে মুসুল্লি আরো কমে যায়।
প্রসঙ্গত,দেখুন আমাদের রাসূলে সাঃ দাওয়াত গ্রহণ করত যারা তারা কি শুধু তার কথা শুনার জন্য বা দেখার জন্য যেতো?
সে সময় তো মক্কায় আবু জাহেল দের সংখ্যা অনেক বেশি ছিলো তারা কি রাসূলে সাঃ দাওয়াত দিয়েছিলো কই কখন তো তারা শুধু শুধু কথা শুনার জন্য আসেনি? এমন নজির দেখান?
বরং যারা এসেছিলে তারা হেদায়েত প্রাপ্তি হয়েছিলো।
কারন তারা বিশ্বাস করেছিলো যে মোহাম্মদ সাঃ আল্লাহ রাসূল ও শেষ নবী । এবং রাসূল সাঃ তাদের সহজ সরল সত্য পথ দিকে ঢাকছে।
এখানে লক্ষ্য করুন, সে সময় কি হাজার হাজার লোক মুসলিম হয়ে গিয়েছিল? না গুটি কয়েক মানুষ যারা পরে মদিনায় হিজরত করে৷
তাহলে দেখুন এখন বাংলাদেশে যত ওয়াজ মাহফিল হয় সবাই কিন্তু মুসলিম ভাই। আন্তর্জাতিক মুফাস্সির কোরআন সুরলা কণ্ঠে স্বর জনপ্রিয় বক্ত্যা তবুও এদেশের কতশতংশ মানুষ কে আপনি বলতে পারবেন যে এরা সুদ সাথে জরিত নয়? এরা ওয়াজ মাহফিল এসে পরের দিন সকল হারাম পাপচার থেকে দূরে থাকছে?.পরের দিন ফজরের ওয়াক্তে মুসুল্লি মসজিদে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে?
এর কারন আমরা দ্বীনের শিক্ষা নেয়ার জন্য বিচার বিশ্লেষণ না করেই আলেম দের পিছনে দৌড়াই।
আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করুক আমিন।
#
শায়েখ ড.আব্দুল্লাহ আল-জুহানী(হাফেজাহুল্লাহ)
#শায়েখ ড.মোহাম্মাদ মানজুরে ইলাহী(হাফেজাহুল্লাহ)
#দুই ক্লাসমেইট(সহপাঠী),,,একসাথে লিসান্স(অনার্স)ও মাস্টার্স করেছেন মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে,,,,
#পরবর্তীতে ড.আব্দুল্লাহ আল-জুহানী পি,এইচ,ডি করেন উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর ড.মোহাম্মাদ মানজুরে ইলাহী পি,এইচ,ডি করেন মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
#ড.জুহানী বর্তমানে মাসজিদুল হারামের সম্মানিত ইমাম ও খত্বীব,,,ড.মানজুরে ইলাহী বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
#দুই বন্ধু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার দ্বীন ইসলামের খেদমতে বিরামহীনভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে,,,
#আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা তাদের দুইজনকে কবুল করুন ও হায়াতে তৈয়েবা দান করুক,,, আমিন,,,,