মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। সেরা জীব হিসেবে মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি,বিবেক-বিবেচনা,আত্নমর্যাদাবোধ ও সচেতনতা রয়েছে।জগতের সবকিছু মানুষের উপকারার্থে বিদ্যমান। মহাকাশ ও পৃথিবীর সর্বত্র আল্লাহর অনুগ্রহ পরিবেষ্টিত, সবই মানুষের কল্যাণের নিমিত্তে তৈরি।চন্দ্র,সূর্য, গ্রহ ও নক্ষত্রসহ সকল সৃষ্টি নিয়মের আওতাধীন। সুতরাং মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষকে নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে পরিচালিত হতে হয়।
সব মানুষ ভিন্ন ভিন্ন পেশাতে নিয়োজিত।শিক্ষকরা জাতি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।শিক্ষিত ব্যক্তি জাতির গৌরব ও প্রধান সম্পদ।শিক্ষা মানুষকে স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করে।আল্লাহতালা মানুষকে এ অভিপ্রায়ে সৃষ্টি করেছেন,যেন তারা পরস্পরের কল্যাণময়ী বন্ধু এবং পরোপকারী হয়। যারা মানুষের উপর অত্যাচার করে এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিপর্যয় সৃষ্টি করে এবং কাজে কর্মে সীমালঙ্ঘন করে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
শিক্ষাঙ্গনসহ সমাজে যেমন অশান্তি, বিশৃঙ্খলা ও সীমালঙ্ঘনকে কেউ পছন্দ করে না,তেমনি সন্ত্রাস, দুর্নীতি,নৈরাজ্য,মারামারি,বাড়াবাড়ি, অসৎ রাজনীতিও কারো কাম্য হতে পারে না।জাতি হিসেবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে, নিজের কল্যাণের পাশপাশি পরোপকারের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে,তাহলে জীবন সার্থক হবে।দ্বন্দ সংঘাত, রক্তপাত,হানাহানি, আত্মহননের মত অপকর্ম হতে বিরত থাকতে হবে।সবাইকে এক হয়ে একটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করতে হবে আর তা হলো দেশের কল্যাণ ও জাতির শেকড় সন্ধানে।ভালো হওয়ার শক্তি প্রত্যেকের মাঝেই আছে।সমস্যাটা শুধু মানসিক দৈন্যতা। মানসিক উৎকর্ষ সাধনের জন্য আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে।তাই কাজে কর্মে সীমালঙ্ঘন না করে সমাজের সার্বিক অগ্রগতি ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।