শারীরিক সুস্থতায় ব্যায়ামের প্রভাব:-
দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখা এবং আনন্দলাভের জন্য নিয়মিতভাবে অঙ্গ-প্রতঙ্গ চালনা করার নামই ব্যায়াম। ব্যায়াম দেহমনকে বলিষ্ঠ এবং সংযত করে। ফলে শক্তি ও সহিষ্ণুতা বাড়ে, হৃদপিণ্ড সতেজ হয়, হজম শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শরীরে শক্তি ও সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যায়ামের বিষয় নির্বাচন করতে হয়। পরিমিত ব্যায়াম স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সহায়ক। ব্যায়াম করার সময় তাড়াহুড়া করতে নেই। ব্যায়ামের মধ্যে কিছুক্ষণ বিরতির প্রয়োজন। এই বিরতির নতুন করে ব্যায়াম করার শক্তি যোগায়। অনিয়মিত, অসম এবং যথেচ্ছা ব্যায়াম করা উচিত নয়।শিশুর দৈহিক অঙ্গ-প্রতঙ্গের বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যায়াম শরীরচর্চা কর্মসূচিরও পরিবর্তন প্রয়োজন। পরিমিত ব্যায়াম দ্বারা দেহের অস্থি মাংসপেশি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যায়ামের কর্মসূচিসহ থেকে ক্রমশ কঠিন হবে। অর্থাৎ ক্রমাগত উন্নত হবে। এভাবে বিয়া অনুশীলনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। ব্যায়াম অনুশীলনের কর্মসূচিতে দীর্ঘ বিরতি থাকবে না। ডিয়ামণ্ড সালে সর্বপ্রথম এর ধারাবাহিকতা ঠিক রাখতে হবে। যেমন: মাথা থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে পা পর্যন্ত শেষ করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের জন্য ব্যায়াম অপরিহার্য।বিশেষ করে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ব্যায়াম ও খেলাধুলা বেশি প্রয়োজন। এসময়ের ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক গঠন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ফলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ শারীরিক কাঠামো সুদৃঢ় হয়। শারীরিক সুস্থতায় ব্যায়ামের পাশাপাশি অতিরিক্ত ব্যায়ামের কুফল রয়েছে।
তো চলুন সেই কুফলগুলো সম্পর্কেও জেনে নেই…
অতিরিক্ত ব্যায়ামের কুফল:-
আমাদের জীবনের সব ধরনের কর্মকাণ্ডের একটি নির্দিষ্ট পরিমাপ রয়েছে। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না।অধিক পরিমাণে খাবার গ্রহণ যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার যখন তখন ব্যায়াম করা ঠিক নয়। সকালে বা বিকেলে একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিদিন ব্যায়াম করা উচিত। আবার খাবার গ্রহণের পরে ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। বয়স ও লিঙ্গ ভেদে বিয়াম নির্বাচন করা উচিত।
যেমন:-১.শিশুদের ভারী জিনিস তোলার ব্যায়াম করলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উন্নতির বৃদ্ধির চেয়ে বেশি ক্ষতি হবে।
২. শিশুদের 30 থেকে 40 মিনিটের বেশি ব্যায়াম করলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়বে।
৩. এলোমেলোভাবে ব্যায়াম যেমন: একবার হাতের ব্যায়াম, পরে নিচে শুয়ে ব্যায়াম, তারপরে শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম-এভাবে ব্যায়াম না করে ধারাবাহিকভাবে সতর্কের সাথে ব্যায়াম অনুশীলন করতে হবে। তা না হলে শরীরে অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
৪. ভরা পেটে ব্যায়াম পরিত্যাজ্য। খাওয়ার পর পরই ব্যায়াম করলে পেটে ব্যাথা ও বমি হবে।
৫.ব্যায়ামের মধ্যে বিরতি না দিয়ে একাধারে ব্যায়াম করলে শরীর অবশ হয়ে আসবে এবং শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়বে।
৬. ব্যায়াম করার পূর্বে শরীর গরম করে নিতে হবে।শরীরে গরম না করে ব্যায়াম শুরু করলে মাংসপেশিতে টান পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
৭.প্রথমে সহজ ব্যায়ামগুলোর অনুশীলন করিয়ে ক্রমান্বয়ে কঠিন এর দিকে যেতে হবে তা না হলে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ পরিশ্রান্ত হয়ে পড়বে।
৮. সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করা উচিত নয়।খালি পেটে ব্যায়াম করলে বমি ভাব পেটে ব্যাথা শুরু হবে।
উল্লেখিত অতিরিক্ত ব্যায়ামের কুফল গুলোর বিবেচনায় রেখে আমাদের বিএম এর বিষয় নির্ধারণ করতে হবে। তা না হলে আমাদের শরীরের ক্ষতি হবে। তাই সবসময় সতর্ক শহীদ ব্যায়াম করতে হবে। তাহলে শারীরিক সুস্থতা অর্জন করা সম্ভব হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ার জন্য।