2004 সালে সর্বপ্রথম বার্মিংহামে আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ানডে ম্যাচে অভিষেক ঘটে তার। এরপর একই বছরের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। 22 বছরের একজন যুবক যার মাথার সাথে থাকতো বাংলাদেশের পতাকার। হ্যাঁ, আপনার হয়তোবা অনুমান করলেই বুঝতে পারবেন তিনি আর কেউ নন, তিনি আফতাব আহমেদ। সেই অবহেলিত আফতাব আহমেদ হয়তোবা আজ আমাদের সাথে নেই। আর হয়তোবা কোন দিন বাংলাদেশ জাতীয় দলে ফিরে আসবেন না। কিন্তু তার হাত ধরে যেসব জয়ের মুহূর্ত এসেছে সেই সকল জয়, তার প্রত্যেকটি 6, 4 বাউন্ডারি, সব মনে থাকবে আমাদের।
আমাদের গল্পের আজকের নায়ক জন্মগ্রহণ করেন 1985 সালের 10 ই নভেম্বর। তিনি চট্টগ্রামের বিখ্যাত চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মৃত মঞ্জুরুল এবং মাতা নুরুন্নাহার। তিনি শিক্ষা গ্রহণ করেছেন নাসিরাবাদ, স্মৃতি কলেজ, সেন্ট মেরি স্কুল থেকে। সেন্ট মেরি স্কুলে তার প্রথম শিক্ষাজীবন শুরু হয়। তার বাবা ছিলেন একজন ক্রিকেট প্রেমী। তাদের সম্পূর্ণ পরিবার ছিল ক্রিকেটপ্রেমীপরিবার। কিন্তু একমাত্র সেই পরিবারে আফতাবের ছিলেন যিনি ক্রিকেট খেলাকে তেমন পছন্দ করতেন না। তবে সব ধরনের খেলাতেই তিনি ছিলেন খুবই মনোযোগী।অন্য সব গল্পের কাহিনীর তুলনায় আজকে আমাদের গল্পের নায়ক আফতাব এর কাহিনী টা একটু অন্য রকমের।
অন্য সব পরিবারের ক্রিকেটার হওয়ার বিপক্ষে দাঁড়ায় তার পরিবার। কিন্তু এক্ষেত্রে আফতাব নিজেই তার ক্রিকেটার হয়ে দাঁড়াবার বিরোধিতা করেন। কিন্তু পরে পরিবারের চাপের কারণে তিনি তার ক্রিকেট জীবন শুরু করেন। বন্ধু, পরিবার থেকে তার দূরে থাকতে হবে এজন্য তিনি বিকেএসপিতে ভর্তি হতে অস্বীকার করেন।1999 সালে বিশ্বকাপ চলাকালে তার বাবা মৃত্যুবরণ করেন।পরিবারে তিনি সহ দুই বোন এবং দুই ভাই রয়েছে। বর্তমানে তিনি দুই কন্যার বাবা।
জাতীয় দলে ক্যারিয়ার শুরু করার পর তিনি একজন হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান হিসেবে গড়ে ওঠেন।কিন্তু হঠাৎ করে তার জীবনে এক ধরনের কলঙ্কময় অধ্যায় নেমে আসে। তিনি আইসিএল নামের একটি নিষিদ্ধ ক্রিকেট খেলেছিলেন। যা সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর তাকে অনেক বছর ধরে নিষিদ্ধ করা হয়। তারপর অবশ্য তিনি আর জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ পাবেন না বলে মনে করেন। তবে এক পর্যায়ে তাকে জাতীয় দলে নেয়া হয়। তবে আফতাবের ব্যাট আর তেমন কথা বলে না।
তবে তারপরও তিনি তার মনের মধ্যে কেমন যেন একটা খুব লুকিয়ে রাখেন। আজ হয়তো বা জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাবেন না তিনি।
তবে তার কথাবার্তা শুনে তার মনের মধ্যে বিসিবির জন্য একটি মনের ভেতর খুব করে রেখেছেন। কথায় কথায় তিনি বলেন যে, বিসিবি আমার সাথে যেটি করেছে তা যেন আর কোন ক্রিকেটারের সাথে না করে। কি করেছিল সেই সম্পর্কে তিনি আজও কাউকে অবগত করেন নি।
আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। এবং আর্টিকেলটি শেয়ার করে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য আমন্ত্রণ রইল।
ধন্যবাদ..