প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আপনারা সবসময় ভালো থাকবেন এটাই আমার কাম্য। মানবজাতির সূচনালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের জীবন যাত্রার উন্নতি ও উৎকর্ষ সাধনের পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখে চলেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ তার জীবনকে সহজ- সুন্দর করার জন্য নতুন নতুন বিষয় আবিষ্কারের ধারা অব্যাহত রাখছে। আস্তে আস্তে বহু সময় সাধনার পর আজকে মানুষ তাদের জীবনযাত্রাকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির এই যুগে আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছাড়া আমাদের জীবন কল্পনা করতে পারি না। এ পর্যন্ত আসার প্রধান প্রযুক্তি টি হচ্ছে কম্পিউটার। তাই কম্পিউটারই হচ্ছে বর্তমান সময়ের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার। এই কম্পিউটার ব্যাবহার করেই মানুষ সব অকল্পনীয় বিষয় আবিষ্কার করতেছে। কিন্তূ বর্তমানে মানুষের কাছে উচ্চ গতি সম্পন্ন কম্পিউটার থাকা সত্বেও কিছু কিছু গবেষণার কাজে এগুলো ব্যর্থ। এখন আমাদের চাই আরও হাই পারফরম্যান্স সম্পন্ন কম্পিউটার। তাই এর জন্যই ১৯৯৪ সালে সর্ব প্রথম সিলিকন ভিত্তিক কম্পিউটারের পরিবর্তে ডিএনএ কম্পিউটারের ধারনা আসে। কারণ সিলিকনের তৈরি কম্পিউটারের প্রসেসিং ক্ষমতা সসীম কিন্তূ ডিএনএ কম্পিউটারের প্রসেসরের সংখ্যা অসীম এবং এর ক্ষমতাও কল্পনাতীত! সহজ ভাষায় ডিএনএ কম্পিউটার হচ্ছে ডিএনএ দিয়ে তৈরি কম্পিউটার ! এই কম্পিউটার গণনা অনুযায়ী তার প্রসেসিং ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। মাত্র ১ মিলিগ্রাম ডিএনএ র মধ্যে পৃথিবীর সকল মুদ্রিত উপাদানসমূহ ধারণ করা সম্ভব!! যেখানে একটি স্বাভাবিক কম্পিউটার একটির পর আরেকটি গণনার কাজ করে থাকে সেখানে একটি ডিএনএ কম্পিউটার সেই গণনার কাজ নিজেই নিজের অনেকগুলো কপি বানিয়ে সম্পাদন করতে সক্ষম।
এক ফোঁটা ডিএনএর লক্ষ লক্ষ অণুতে অনেক বেশি পরিমাণ কম্পিউটিং প্রসেসিং ক্ষমতা আছে যার কাছে আমাদের বর্তমানের আধুনিক কম্পিউটার গুলোর ক্ষমতা অতি তুচ্ছ! ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এই ডিএনএ অণুগুলো আমাদের এখনকার স্টোরেজ ডিভাইস গুলোর তুলনায় কোটি গুন বেশি তথ্য ধারণ করতে পারবে! ডিএনএ কম্পিউটার বাস্তবায়ন করার জন্য বর্তমানে বিশ্বের প্রধান গবেষণা সংস্থা গুলো সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে। যদি কোনোদিন ডিএনএ কম্পিউটার আবিষ্কৃত হয়ে যায় তাহলে কম্পিউটারের ধারণ ক্ষমতা ও কাজ করার ক্ষমতা কতটা হবে সেটা বর্তমান সময়ে আমাদের পক্ষে চিন্তা করা খুবই কঠিন!!
তো বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই। আশা করি পোস্ট টি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। কেমন হয়েছে সবাই কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন আর এরকম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য অন্যদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সবাই শেয়ার করবেন। সবাই খুব ভালো থাকবেন আর সবসময় সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ সবাইকে পোষ্টটি পড়ার জন্য…
ভাইরাস কি, ভাইরাস কিভাবে আক্রমন করে, ভাইরাস আবিষ্কারের ইতিহাস জেনে নিন
ভাইরাস কি? ভাইরাস ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ হলো বিষ। এদের সত্তা বলা হয় কারন এরা অকোষীয়। ভাইরাস হলো রোগ সৃষ্টিকারী...