কিডনীর প্রধান কাজ দু’টি। প্রথমতঃ শরীরের বিপাকের প্রাপ্তদ্রব্য শরীর থেকে নির্গত করে এবং দ্বিতীয়তঃ বডি ফ্লুয়িড এর প্রত্যেকটি উপাদানের ঘনত্বের সমতা রক্ষা করে। প্রত্যেকটি কিডনীতে প্রায় ১০ লক্ষ করে নেফ্রন আছে এবং এদের প্রত্যেকে আলাদা আলাদাভাবে প্রস্রাব তৈরী করতে পারে। নেন এর প্রধান দুটো অংশ হচ্ছে
(ক) গ্লোমেরুলাস যেখানে বড়ি ফ্লুয়িড পরস্রাবিত বা ফিলটার্ড হয়
(খ) টিবিউলস যেখানে পরিদ্ৰবিত ফ্লুয়িড প্রস্রাবে রূপান্তরিত হয়ে কিডনীর পেলভিসে প্রবেশ করে। দু এফারেন্ট আর্টারিওলস। দিয়ে গ্লোমেরুলাসে প্রবেশ করে এবং পরিস্রাবিত হওয়ার পর ইফারেস্ট আর্টারিওলস দিয়ে বের হয়ে চলে যায়। গ্লোমেরুলাস হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টা সমান্তরাল কৈশিকাগুচ্ছ যা ঢাকা থাকে উপঝিল্লী বা ইপিথেলিয়াম দিয়ে এবং যা থাকে বোম্যানস ক্যাপসুল এর মধ্যে।
গ্লোমেরুলাস এর রক্তের চাপ ফ্লুয়িড কে পরিস্রাবিত করে বােম্যানস ক্যাপসুলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ফ্লুয়িড প্রযিম্যাল কনসুলেটেড টিবিউলস দিয়ে লুপ অফ হেলী দিয়ে ডিষ্টাল টিবিউলে প্রবেশ করে। এরপর আটটা ডিষ্টাল টিবিউল একত্রিত হয়ে কালেকটিং টিবিউল তৈরী করে নীচের দিকে মেডুলায় প্রবেশ করে কালেকটিং ডাকটু হয়। অনেকগুলাে কালেকটিং ডাকটু একত্রিত হবার পর সবচেয়ে বড় কালেকটিং ডাকটগুলাে রেণাল পেলভিসে রোেল প্যাপিলা দিয়ে ফ্লুয়িড নিশেঃ ষিত করে দেয়। গ্লোমেরুলার ফিলট্রট যখন টিবিউল দিয়ে প্রবাহিত হয় তা তখন এর শতকরা ৯৯ ভাগ পানি এবং অন্যান্য সট পুনঃ শােষিত হয় এবং সংবহন তন্ত্রে প্রবেশ করে। খুব অল্প পরিমাণ টিবিউলে নিঃসরিত হয়। টিবিউলের বাকী পানি এবং ভিসলভড় বস্তু সমুহ দিয়ে প্রস্রাব এর সৃষ্টি হয়।
উপরের আলােচনা থেকে একটা কথা প্রতিয়মান হচ্ছে যে নেফ্রন এর মুল
কাজ হচ্ছে যখন এর মধ্যে দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয় তখন প্রাঞ্জমায় উপস্থিত অপ্রয়ােনীয় সামগ্রী কে পরিষ্কার করা যেমন বিপাকের প্রান্তদ্রব্য ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, ইউরিক এসিড, ইউরেট ইত্যাদি। কিন্তু সামগ্রী যেমন সােডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড এবং হাইড্রোঙ্গেন আয়ন বেশী পরিমানে শরীরে জমার জন্য তাদের আগ্রহ থাকে। নেফ্রন এর কাজ হােল এ সমস্ত আয়ণ শরীরে যতটুকু প্রয়ােজন ততটুকু ধরে রেখে বাকীটা পরিষ্কার কন্স। দুভাবে এটা করা সম্ভব। প্রথম, গ্লোমেরুলার ফিলট্রেশন যা পূর্বে বর্ণনা করা হয়েছে। দ্বিতীয়তঃ নিঃসরণ বা সিক্রেশন। অর্থাৎ প্রামা থেকে কিছু দ্রব্য টিবিউলার লাইনিং ইপিথেলিয়াম কোষ দিয়ে নিঃসরিত হয় যেগুলাে অপ্রয়ােজনীয় রক্ত পরিস্কার করতে সহায়তা করে। সেজন্য প্রসাবে শুধু পরিস্রাবিত পদার্থ সমূহই নয় খুব অল্প পরিমান নিঃসরিত দ্রব্য ও পাওয়া যায়।
একন ৭০ কেজি স্বাভাবিক মানুষের কিডনীতে রক্ত সংবহন প্রতি মিনিটে ১২০০ মিলি লিটার। কিডনীর যে প্রধান কাঙ্গ দু’টোর কথা আলােচনা কব্রা হলাে তা প্রধানতঃ এই রক্তে চাপের কারণে হয়ে থাকে। অর্থাৎ স্বাভাবিক গ্লোমেরুলার ফিস্ট্রেশন নির্ভর করে গ্লোমেরুলাস এর ভিতর দিয়ে প্রবাহিত রক্তে চাপের উপর। আবার গ্লোমেরুলার ফিস্ট্রেশন বাধাগ্রস্থ হতে পারে বােমান্স ক্যাপসুল এর অভ্যন্তরের চাপ এবং রক্তের কলয়ড়াল। অসমােটিক প্রেসার এর উপর। সুতরাং নেফ্রন এর মধ্যে রক্ত চলাচল বাড়লে গ্লোমেরুলার ফিস্ট্রশন বেড়ে যাবে আবার বােম্যান্স ক্যাপসুলের ভিতারে চাপ এবং রক্তের কলয়ডাল অসমােটিক প্রেসার বাড়লে গ্লোমেরুলার ফিস্ট্রেশন কমে যাবে। প্রতিদিন প্রায় ১৮০ লিটার ফ্লুয়িড গ্লোমেরুলাস দিয়ে পরিধাবিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১০ থেকে ১.৫ লিটার বাদে সবই পুন:শােবিত হচ্ছে টিবিউলস দিয়ে। প্রতি মিনিটে দুই কিডনীর সব নেফ্রন দিয়ে যে পরিমান পরিস্রাবিত মুড়ি তৈরী হচ্ছে তাকে বলা হয় গ্লোমেরুলার ফিস্ট্রশন রেট। একন স্বাভাবিক লােকের এর গড় হচ্ছে ১২৫ মিলি লিটার প্রতি মিনিটে। গ্লোমেরুলার ফিস্ট্রেট এর কম্পােজিশন এবং প্লামার কম্পােজিশন প্রায় এক শুধুমাত্র একটু ব্যতিক্রম হল যে এটাতে কোন উল্লেখযোগ্য পরিমান প্রোটিন থাকে না।
গ্লোমেরুলার যিট্রেট নেফ্রন এর টিবিউলস এ প্রবেশ কক্সর পর প্রথমে প্রশিম্যাল টিবিউল, পরে লুপ অফ হেল্পী, এর পর ডিষ্টাল টিবিউল এবং সব শেষে কালেকটিই ডাকট দিয়ে কিডনীর পেলভিস-এ প্রবেশ করে। এই প্রক্রিয়ায় টিবিউলার ইপিথেলিয়াম প্ৰব্য সমূহ নির্বাচিত বা সিলেকটিভ ভাবে পুনঃশােষিত অথবা নিঃসরণের কাকা করে এবং বাকী ফুভি প্রস্রাব হিসাবে পেলভিসে প্রবেশ করে। পুনঃ শশাষন প্রস্রাব তৈরীর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে। তবে নিঃসরণ পটাশিয়াম আয়ন, হাইড্রোজেন আয়ন এবং অন্য কিছু
দ্রব্যের পরিমান নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শতকরা ৯৯% পানি পুনঃশােষিত হয় টিবিউলসে, যার ন্য অন্য ঘনবস্তর থেকে পানির পরিমান ৯ ভাগ বেশী থাকে। আবার গ্লুকোজ ও এমাইনাে এসিড প্রায় সম্পূর্ণটাই পুনঃশােষিত হয় যার অন্য এদের পরিমান প্রসাবে একেবারে শূন্যের কাছাকাছি থাকে। এই যে শােষন এবং নিঃসরণ, অন্যান্য বডি ফ্লুয়িড এর মত টিবিউলসে দুভাবে সম্পন্ন হয়। একটি একটিভ ট্রান্সপাের্ট যেখানে শক্তির প্রয়ােজন হয় এবং অন্যটি প্যাসিভ ট্রান্সপাের্ট যেখানে শক্তি প্রয়ােজন হয় না। যে সামগ্রীগুলাে একটিভ ট্রান্সপাের্টের মাধ্যমে শােষিত হয় তার মধ্যে উল্লেখযােগ্য হােল সােডিয়াম, গ্লুকোজ, এমাইনাে এসিভ, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্লোরাইড এবং বাইকার্বনেট আয়ন, ফসফেট আয়ন এবং ইউরেট আয়ন। একটিভ
ক্রেশন হয় যে সমস্ত বস্তুর সেগুলাে হলো হাইড্রোজেন আয়ন, পটাশিয়াম আয়ন এবং ইউরেট আয়ন, ইউরিয়া এবং নন এক্টিভলি ট্রান্সপাের্টেড সল্টস প্যাসিভ ট্রান্সপাের্ট হয় ডিফিউসনের মাধ্যমে।
উপরের আলােচনা থেকে কিডনীর কাজ সমূহকে নীচের কয়টি প্রধান ভাগে চিহ্নিত করা যায় ।
শরীরের পানির সমতা রক্ষা করা
সােডিয়াম ও ক্লারাইড এর বেশীর ভাগ পানি ছাড়া এসেনডিং সুপ অব হেনলীতে পুনঃশােষিত হয়। বাকী সােডিয়াম যা শােষিত হয় না তা ডিষ্টাল কলেটেড টিবিউলস এবং কালেকটিং ডাকট এ যায় যেখানে সােডিয়াম ও ক্লারাইড শােষিত হয় পটাশিয়াম ও হাইড্রোজেন আয়নের বিপরীতে যেখানে এড্রেনাল করটেক্স এর হরমােন এলডােসটেরনের ভূমিকা থাকে।
ফিল্টারড় পটাশিয়াম এর ৯০% প্ৰক্তিমাল এবং এসেনডিং লিম্বে পুনঃশােষিত হয় যার প্রকৃত পদ্ধতিটি অঙ্গানা। প্রস্রাবে পটাশিয়াম সাধারণত ডিষ্টাল টিবিউলার সেল এর থেকে আসে। একটি ইলেকট্রো কেমিক্যাল গ্রাডিয়েন্ট তৈরী হয় যার ফলে পটাশিয়াম পেরিটিবিউলার ডুয়ি থেকে সেলে একটি ট্রান্সপাের্ট এর মাধ্যমে প্রবেশ করে যার উপর এলড়ােসটেরনের ভূমিকা আছে। আবার ইন্ট্রালুমিনাল নেগেটিভ পটেনশিয়েল এর জন্য পেরিটিবিউলার ফুয়িড লুমেনে পটাশিয়াম নির্গত করে। সুতরাং এড্রোকের্টিক্যাল হরমােন এবং এটিঙাইয়ুরেটিক হরমােন টিবিউলস এর উপরে দ্বৈত ক্রিয়াই শরীরের পানি ও ইলেকট্রোলাইটের সমতা রক্ষায় প্রধান ভূমিকা পালন করে।
গ্লোমেরুলাস কর্তৃক পরিস্রাবিত : পানি পুনঃশােষিত হয় প্রক্সিমাল টিবিউলস দিয়ে। বাকী পানি ডিষ্টাল নেফ্রন দিয়ে পুনঃশােষিত হয় এবং এই প্রক্রিয়া ভাসােপ্রেসিন নামক হরমােন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হুম। ভাসােপ্রেসিনের উপস্থিতিতে ডিটাল কনস্যুলেটেড টিবিউল এবং কালেকটিং ডাকটু পানির প্রতি পারমিয়েবল হয়ে যায় যা পরবর্তীতে পুনঃশােষিত হয় সােডিয়াম ক্লোরাইড এবং ইউরিয়ার হাইশেনট্রেশন এর জন্য, যা মেডুলার ইন্টারষ্টিশিয়াম এ থাকে। ফলে প্রস্রাব বেশী ঘন বা কনসেনট্রেটভ হয়। আবার ভাসােপ্রসিন এর অনুপস্থিতিতে এর উল্টাটা হবে। অর্থাৎ প্রসাব খুব পাতলা বা ডাইটেড হবে।
বডি ফ্লুয়িড এর এসিডবেস এর সমতা রক্ষা করে ?
কিডনীর হাইড্রোজেন আয়ন কনসেনট্রেশন এক্সক্রিয়েশন এর রেট বা তারতম্য কার ক্ষমতা এবং বাইকার্বনেট বেঞ্জ পুনঃ জনন এর ক্ষমতার উপর নির্ভরশীল। প্রঞ্জিম্যান্স ও ডিষ্টাল কনস্যুলেটেড টিবিউলসে যে হাইড্রোক্সেন আমন তৈরী হয় তার নিঃসরণ সােডিয়াম আয়ন এর এক্সচেঞ্জে লুমেনে নিঃসরণ হয়। একই সংগে বাইকার্বনেট আয়ন যা কোষে তৈরী হয় পেরিটিবিউলার ব্লাডে পুনঃশােষিত হয়। পরিস্রাবিত বাইকার্বনেট আয়ন এভাবে পুনঃশােষিত হয় যার একটি সীমা আছে ( ২৫ মি, মােল / লিটার) যখন প্লাজমা কনসেনট্রেশন এর উপরে উঠে যায় তখন বেশী বাইকার্বনেট প্রস্রাবের সংগে নির্গত হয়। যখন বেশীরভাগ বাইকার্বনেট পুনঃশােষিত হয়ে যায়, পরে নিঃসারিত হাইড্রোজেন আয়ন টিবিউলার সুয়িড এর অন্যান্য বেস এর সংগে কনজুগেট হয়ে এসিড তৈরী হয়ে প্রস্রাবে নির্গত হয়। প্রতিটি প্রট্রোন যা এভাবে নির্গত হয় একটি করে বাইকার্বনেট আমন (যা টিবিউলার কোষে তৈরী হয় ) নিয়ে পুণরায় রক্তে চলে যায়। যাতে বাইকার্বনেট রিজার্ভ ঠিক থাকে। পরিস্রাবিত বেসের মধ্যে ডাইসােডিয়াম হাইড্রোজেন ফসফেট শরীরের ইলেকট্রোলাইট এর সমতা রক্ষা করা ।
ব্লেণাল টিবিউলস এর সিলেকটিভ রিএবসরপশান এবং সিক্রেশন এর জন্য ইলেকট্রোলাইট এর সমতা বজায় থাকে একই ভাবে। প্রফিজমাল কনস্যুলেটেড টিবিউলসে ৬৫ সােডিয়াম পুনঃশােবিত হয় একটিভ এবং পাাসিভ ট্রান্সপাের্ট মেকানিজম এর সাহায্যে। পরিবিত ক্লারাইড এর বেশীর
হাইড্রোজেন আয়ন গ্রহন করে যা নির্গত হওয়ার অন্য তৈরী ছিল।
এঞ্জিওটেনসিন I থেকে আবার এনজিওটেনসিন । হয় যার ইন্ট্রারেণাল সার্কুলেশন এর উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব আছে। এনিওটেনসিন 1 এলডােসটেরণ নিঃসরণ এর হার বৃদ্ধি করে এবং সিষ্টেমিক ভাসােকট্রিকশন করে। উচ্চ রক্ত চাপের জন্য এই পদ্ধতি একটি অন্যতম প্রধান কারণ।
এরিপটিন নামক হরমােন এর প্রধান উৎস হচ্ছে কিডনী যা স্বাভাবিক এরিপেয়সিস এর জন্য অত্যন্ত জরুরী এবং ১, ২৫ ডাইহাইড্রোক্সি কলি ক্যালিসিফেরল তৈরীর জন্য প্রমােচ্ছন। দুটো পােটাগ্লানি যেমন পিছিই, এবং পিজিআই ও কিডনীতে তৈরী হয়। এ দুটোই শক্তিশালী ভাসােডাইলেটার। পিজিআই, রেণিন নিঃসরণের একটি মধ্যস্থতাকারী।
অ্যামােনিয়া একটি প্রােটন গ্রহন করে খুব উইক এসিড NF14 হয়। লুমিনাল সেল মেমব্রেন এই চাড় পার্টিকেল এর প্রতি ইমপারমিমেবল ফলে এটা প্রস্রাবে নির্গত হয়। একজন স্বাভাবিক লােক যিনি মিক্সড ডায়েট খান প্রত্যহ ৪০ – ৮০ Im, mol হাইড্রোজেন আয়ন প্রস্রাবে নির্গত করেন। যখন প্রোটন তৈরীর হার বৃদ্ধি পায় যেমন ডায়াবেটিক কিটো এসিডােসিসে সুস্থ কিডনী প্রায় ৫০০ মিলি মােল/লিটারে হাইড্রোজেন আয়ন তৈরী করে যা প্রস্রাবে নির্গত হয় NH4 হিসেবে। আবার যদি কেউ শুধু ফল মূল ও শাক সী খায় তাহলে ডাইসসাডিয়াম হাইড্রোজেন ফসফেট এবং বাইকার্বনেট প্রসাবে নির্গত হবে এবং হাইড্রোজেন এবং এমােনিয়া আয়ন নিঃসরন কম হবে। শরীরের বিভিন্ন কার্যকরী উপাদান সংরক্ষণ ও
প্রঞ্জিম্যাল টিবিউলসে গ্রকে সবটাই পুনঃশােষিত হয় ফলে প্রসারে এক কিছুই নির্গত হয় না। রেণাল গ্লাইকোসুরিয়া টিবিউলের একটি বেনাইন অসুবিধা যেখানে “বিক রক্ত শর্করা সত্ত্বেও প্রসাবে গ্রকো এর উপস্থিতি দেখা যায়। খুব স্বপ্ন ক্ষেত্রে জন্মগত বা বংশগত টিবিউলার অসুস্থতার কারণে প্রসাবে খুব বেশী পরিমান এমাইনাে এসিড, ফসফেট, সােডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং পানি নির্গত হতে পারে। এই রোগগুলাে আলাদা বা যৌথভাবে হতে পারে। উদাহরণ হচ্ছে সিষ্টিনিউরিয়া, বংশগত হাইপােফসফেটিমিয়া, নেফ্রোজেনিক ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস এবং ফানকোনিস সিনড্রোম। সুস্থ লােকের খুব সামান্য পরিমান প্রেটিন ০.২ গ্রাম । লিটার ) সুয়িড এর সংগে বােমান্স ক্যাপসুলে প্রবেশ করে। কিন্তু গ্লোমেরুলার ফিলট্রেট এর পরিমান এত বেশী যে ঐ সামান্য পরিমান প্রােটিন কেন ৩৬ গ্রাম পর্যন্ত প্রােটিন (স্বাভাবিক ৫০ গ্রাম পর্যন্ত প্রসাবে নির্গত হয়ে গবে ২৪ ঘন্টায় ।
বিপাকের বিশেষতঃ প্রােটিন এর বিপাক এর প্রান্ত দ্রব্য যেমন ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, ক্রিয়েটেনিন, ফসফেট, সালফেট ইত্যাদি প্রসাবে নির্গত হয়।