বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) অনলাইনে উপার্জনের ক্ষেত্রে খুবই শক্তিশালী একটি সেক্টর। এজন্য আমরা অনেকেই এখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে জানার জন্য বিশেষভাবে আগ্রহী। আজ আমরা এই আর্টিকেলটিতে জানবো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মৌলিক কিছু বিষয়বস্তু সম্পর্কে যা পরবর্তীতে আমাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাজের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়ক হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
অনলাইনে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা অ্যাফিলিয়েট পার্টনার নিয়ে থাকে। আপনি সেই সমস্ত কোম্পানিতে একজন অ্যাফিলিয়েট পার্টনার হিসেবে জয়েন করতে পারেন এবং সেই কোম্পানির প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস আপনি প্রমোট (Promote) করে সেল করার মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন করতে পারেন। আপনার মাধ্যমে যখনি কোনো একটি প্রোডাক্ট সেল হবে তখন প্রত্যেকটি সেল থেকে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এটাকে বলা হয় অ্যাফিলিয়েট সেলস।
অর্থাৎ মনে করুন আপনি কোনো প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন না, অথবা আপনার কাছে কোনো প্রোডাক্ট নেই, কিন্তু অন্যান্য কোম্পানি আছে যাদের কাছে অনেক প্রোডাক্ট রয়েছে যেগুলোকে মানুষ প্রতিনিয়ত কিনছে। সে প্রোডাক্ট গুলোকে আপনি আপনার অডিয়েন্সের কাছে সেল করবেন এবং প্রতি সেলে আপনি একটি কমিশন পাবেন। মূলত একেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য বিষয়বস্তু (নিশ) নির্ধারণ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে হলে অবশ্যই প্রথমে যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে তা হলো নিশ বা বিষয়বস্তু নির্ধারণ। আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চান সেটি প্রথমে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে। মনে করুন আপনি কোনো ইলেকট্রনিক পণ্য নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে প্রথমে সেই প্রোডাক্টটি নির্বাচন করুন।
তারপর সেই প্রোডাক্টটি নিয়ে একটু রিসার্চ করুন। যেমন আপনি যে প্রোডাক্টটি নির্বাচন করেছেন সেটি ক্রেতারা কেমন ব্যবহার করে, সেই প্রোডাক্ট এর প্রতি তাদের কতটা আগ্রহ রয়েছে ইত্যাদি বিষয়বস্তু।
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম নিয়ে গবেষণা করুন
অনলাইনে অনেক ধরনের অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কে কাজ করা সম্ভব। তবে কাজ শুরুর পূর্বে কিছু বিষয় অবশ্যই জানা প্রয়োজন। যেমন প্রথম অবস্থাতে সহজেই কোন নেটওয়ার্কে কাজ পাওয়া সম্ভব, কোন ধরনের প্রোডাক্টের বিবরণী আপনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন, কি ধরনের প্রোডাক্টের কমিশন বেশি, কোন ধরনের প্রোডাক্ট বেশি সেল হয়, বাংলাদেশ থেকে সেই অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে কাজ করার জন্য অ্যাকাউন্ট করা যায় কি না, কতদিন পর পর পেমেন্ট তোলা সম্ভব, বাংলাদেশ থেকে পেমেন্ট তোলা সম্ভব কি না ইত্যাদি বিষয়বস্তু সম্পর্কে ভালো ভাবে রিসার্চ করুন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইনে উপার্জনের ক্ষেত্রে খুবই নির্ভরযোগ্য একটি মাধ্যম। আপনার যদি এই বিষয়ে আগ্রহ থাকে এবং আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে উপার্জন করতে ইচ্ছুক হন তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে বেশি বেশি রিসার্চ করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভের চেষ্টা করুন। আপনি যদি ধৈর্য সহকারে লেগে থাকতে পারেন তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাহায্যে খুবই হ্যান্ডসাম একটি ক্যারিয়ার নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন।