আমি কোন প্রফেশনাল লেখক না।তাছাড়া আমি একজন মানুষ।মানুষেরই ভুল হয়।তাই আমার যদি ভুল হয় তাহলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।
আজকে আমরা কথা বলব ব্রণ নিয়ে।ব্রণ কী? এবং ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপাই।
আমরা সকলেই কম বেশি ব্রণের সাথে পরিচিত। আমাদের সবার মুখেই কম বেশি ব্রণ আছে। কারো বেশি কারো কম।( হ্যাঁ,অনেকের ব্যাতিক্রম।কারো মুখ একেবারে ফ্রেশ।ব্রণ নেই বললেই চলে )।
ব্রণ হলো বয়সফোড়া। এটা সাধারণত হয় বয়:সন্ধিকালে। এখনকার যুবক যুবতিরা এই সমস্যাই ভুগছে। এটি হয় হরমোনের কারণে। হরমোন হলো নালিহীনগ্রন্থী থেকে নিসৃত প্রাণরস। এই হরমোন আমাদের মুখমন্ডলের লোমকুপ দিয়ে বের হয়।
কিন্তু যখন হরমোন বের হওয়ার সময় ঐ লোমকূপে ময়লা জমে তখন ঐ লোমকূপ ফেটে যায়। যাকে ব্রণ বলি।।।।
এটি হলে আমরা অনেকেই নাড়াচাড়া করি।এটি ঠিক নয়। ব্রণের উপর কখনোই নখ লাগানো ঠিক নয়।এতে উপকারের বদলে অনেক ক্ষতিই হয়।।।
এই ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপাইগুলি হলো:
~ মুখ সবসময় পরিস্কার রাখা। বাইরে থেকে এসেই মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলা। এর জন্য আমরা কোন ভালো র্যান্ডের ফেসওয়াস ব্যবহার করতে পারি।যদিও সব ফেসওয়াস ভালো নয়।।এসব কিনে শুধু টাকা নষ্ট করা।
~বেশি বেশি পানি খাওয়া। বেশি পানি খেলে ভিতর থেকে মূত্রের মাধ্যমে সব পরিস্কার হয়ে যাবে।এতে করে ব্রণ কমে যাবে।তাই আমাদের বেশি বেশি পানি খেতে হবে।
~ লেবুর রসের ব্যবহার। লেবুর রসে আছে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি ব্রণের জন্য খুব ভালো কাজ করে।
তাই যদি ব্রণের উপর লেবুর রস ব্যবহার করতে পারি তাহলে ব্রণ অনেকটা কমে যাবে।। কিন্তু অবশ্যই আমাদের লেবুর রস সরাসরি ফেস এ ব্যবহার করা যাবেনা। পানির সাথে অর্ধেক পানি আর অর্ধেক লেবুর রস ব্যবহার করতে হবে।। এবং লেবুর রস মুখে দিয়ে কখনোই রোদে যাওয়া যাবেনা।।।
দরকার হলে মুখে লেবুর রস রাতে ব্যবহার করতে হবে।।
~ টমেটোর রস । ব্রণের জন্য টমেটোর রস খুবই কার্যকরী একটি প্রতিষেধক। আমরা টমেটো কাটার সময় যদি একটু টমেটোর রস মুখে বিশেষ করে যেখানে যেখানে ব্রণ আছে সেখানে তাহলে ও আমরা ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে পারি। তাই ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে হলে টমেটোর রসের তুলনা নেই।
~বরফ । ব্রণের জন্য আরো একটি কার্যকরী উপাই হলো বরফ। এক টুকরো বরফ নিয়ে সেটি কোন তোয়ালে বা গামছা বা রোমালের ভেতর রেখে ব্রণের উপর ঘুসতে হবে।তাহলে আস্তে আস্তে ব্রণ কমে যাবে।
~ চা এর পাতা। একটু চা এর পাতি পানিতে গরম করতে হবে।তারপর সেটি ঠান্ডা করে নিতে হবে। এরপর পানিটুকু মুখে মাখতে হবে।এর থেকেও ব্রণ থেকে মুক্ত থাকা যায়।
এছাড়াও আমরা বেশি রাত জাগব না।ঠিক সময়ে ঘুম পেড়ে নিব যতটুকু দরকার। বেশি টেনশন ও করব না।কারণ এই কাজগুলোর জন্যও ব্রণ বের হয়।
আসুন আমরা নিয়ম মাফিক রুটিন তৈরী করে ব্রণ থেকে মুক্ত থাকি।।
সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকি।।।
ধন্যবাদ.