সবাই কে আসন্ন নববর্ষের শুভেচ্ছা।
আজকের পোস্ট টি কিছুটা ভিন্নরকমের,,সবাই অনুগ্রহ করে একটু সময় ব্যয় করে পোস্ট টি পড়বেন এবং ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।
আমরা যারা সাধারণ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছি, আমরা কোষ বিভাজন নামে একটা শব্দের সাথে সবাই পরিচিত।কিন্তু সবাই সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা নাই।
তাহলে চলুন, কোষ বিভজন নিয়ে কিছু কথা জানা যাক,
আমরা সবাই জানি,এককোষী জীব থেকে শুরু করে বহুকোষী জীব সবার ক্ষেত্রেই কোষ বিভাজন দেখা যায়।তবে সব জীবের ক্ষেত্রে একই রকম বিভাজন ঘটেনা।
কোন বিভাজনে দেহের বৃদ্ধি ঘটে,কোন বিভাজনে জননকোষ সৃষ্টি হয়,আবার কোন বিভাজনে নতুন কোষ সৃষ্টি হয়।
যেহেতু প্রতিটি জীবদেহ কোষ দিয়ে গঠিত।
তাই কেবল একটি কোষ দিয়ে প্রতিটি জীবের জীবন শুরু হয়।
যেসকল জীব একটিমাত্র কোষ দিয়ে গঠিত তাদের বলা হয় এককোষী জীব।যেমন:ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা,প্লাজমোডিয়াম ইত্যাদি ইত্যাদি।
অন্যদিকে, যেসকল জীব একটি কোষ দিয়ে গঠিত তাদের বহুকোষী জীব বলে।যেমন: মানুষ,পশুপাখি, জীবজন্তু, গাছপালা ইত্যাদি ইত্যাদি।
তবে জেনে রাখতে হবে যে, বিশালদেহী বটগাছের জন্ম তথা সূচনা ঘটে একটি মাত্র কোষ থেকে, একইভাবে যুগান্তকারী মানুষের সৃষ্টি তথা সূচনা ঘটে একটিমাত্র কোষ থেকে।
আর এসকল প্রক্রিয়া সম্পাদন হয় জাইগোট সৃষ্টি অথবা নিষিক্ত ডিম্বক থেকে।
কোষ বিভাজন এর মাধ্যমেই পুং গ্যামেট ও স্ত্রী গ্যামেট সৃষ্টি হয়ে নতুন প্রজন্মের সৃষ্টি হয়।
কোষ বিভাজন আবার তিন ধাপে সম্পন্ন হয়,অথবা বলা যায় যে কোষ বিভাজন তিন প্রকার।যথাঃ
**১** অ্যামাইটোসিস
**২** মাইটোসিস
এবং
**৩** মায়োসিস।
অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় কোষের নিউক্লিয়াস টি প্রত্যক্ষ ভাবে সরাসরি দুই অংশে ভাগ হয়ে যায়। বিভাজনের শুরুতে নিউক্লিয়াসটি লম্বা হতে শুরু করে এবং এর দুইপ্রান্ত মোটা ও মাঝ বরাবর সরু হতে শুরু করে।
সরু অংশটি ক্রমশ সরু হতে হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং পরস্পর হতে আলাদা হয়ে যায়।এর ফলে দুটি নতুন অপত্য কোষ বা নিউক্লিয়াস সৃষ্টি হয়।
অ্যামাইটোসিস এর পরবর্তী ধাপ হলো মাইটোসিস।
মাইটোসিস কোষ বিভাজন টি পর্যায় ক্রমে সম্পন্ন হয়,
পর্যায় সমূহ:
**ক** প্রোফেজ
**খ** প্রো-মেটাফেজ
**গ** মেটাফেজ
**ঘ** অ্যানাফেজ
**ঙ** টেলোফেজ
এই পাঁচ ধাপে মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া টি সম্পন্ন হয়।মাইটোসিস কোষ বিভাজন দেহকোষে হয়ে থাকে এবং বিভাজনের ফলে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রাণী ও উদ্ভিদ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বরাবর বৃদ্ধি পায়।
কোষ বিভাজন এর তৃতীয় এবং শেষ ধাপ বা প্রক্রিয়া হলো মায়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া।মায়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি প্রকৃত কোষ বিশেষ প্রক্রিয়ায় বিভক্ত হয়ে চারটি কোষে পরিণত হয়।কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় নিউক্লিয়াস দুইবার বিভক্ত হলেও ক্রমোসোম একবার বিভক্ত হয়।
এ বিভাজনে ক্রমোসোম সংখ্যা হ্রাস পায় বলে একে হ্রাসমূলক বিভাজনও বলা হয়।
আজ এখানেই শেষ করছি,, দয়া করে আপনারা পোষ্ট টি বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন,ধন্যবাদ সবাইকে।সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
good
thanks
Valo
thanks
good
thanks
গুড পোস্ট
nice
gd
Nice
good
Nice
nice post
good post
Onek age porcilam
Ooo
gd