সালামুআলাইকুম, কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি প্রথম ইলেকট্রনিক বা আধুনিক কম্পিউটার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তো চলুন শুরু করি।
চার্লস ব্যাবেজ এর সময়ের পর যেন কম্পিউটারের অগ্রগতি এক শতকের জন্য থেমে গিয়েছিল। তারপরে ১৯৩০ সালে আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হাওয়ার্ড এইচ. আইকেন তার সহকর্মীদের নিয়ে ব্যাপক গবেষণা শুরু করেন এবং ১৯৪৪ সালে তিনি তৈরি করেন পৃথিবীর প্রথম বৈদ্যুতিক কম্পিউটার Mark-1। এ কম্পিউটারের আকৃতি ছিল বিশাল। এটি লম্বায় ছিল ৫১ ফুট এবং উচ্চতা ৮ ফুট। এর ওজন ছিল প্রায় ৫ টন। এতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক তারের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৮০০ কিলোমিটার। এন ইনপুট ও আউটপুট ছিল পাঞ্চকার্ড ও পেপার টেপ । ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত এটি কার্যকর ছিল। Matk-1 এ কে প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার বলা যায় কারণ এতে প্রোগ্রাম সঞ্চিত রাখার ব্যবস্থা ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. জন আটানাসফ ১৯৪২ সালে তিনি তার নিজের এবং ছাত্র-ছাত্রীদের গবেষণার কাজে সহায়তার জন্য বায়ুশূন্য টিউব বা ভালো ব্যবহার করে একটি ছোট ইলেকট্রনিক কম্পিউটার তৈরি করেছিলেন, যা ABC (Atanasof Barry computer) কম্পিউটার নামে পরিচিত লাভ করেছিল। পরে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন মাউসলি এবং তার ছাত্র পেশকারের প্রচেষ্টায় ১৯৪৬ সালে ENIA ( Electronic Numerical Integrator and calculator) নামে একটি ইলেকট্রনিক কম্পিউটার তৈরি করেন। ১৮০০০ ভ্যাকুয়াম টিউব দিয়ে তৈরি যন্ত্রের ১ সেকেন্ডে ৩০০ টি গুন করা যেত। এরকম ছিল ২৭ টন, এটাকে চালাতে ১৫০ কিলোওয়াট বৈদ্যুতিক ক্ষমতা লাগতো। কাজের সময় একে এত গরম হতো যায় মাঝে মাঝে পানির যে ঠান্ডা রাখতে হতো। এতে ইলেকট্রনিক ভালভ ছিল ১৮০০০। এনিয়াক বাইনারী পদ্ধতির বদলে দশমিক পদ্ধতিতে কাজ করতে বলে এটা কম্পিউটার থেকে ক্যালকুলেটর এর সাথে বেশি মিল ছিল।
পরে ১৯৭০ সালে ইলেক্ট্রনিক্সের জগতে এক নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়। কম্পিউটারের জনক নিউম্যানকে বলা হয়। কেননা তার আবিষ্কারের ফলে কম্পিউটারের গঠনের ক্ষেত্রে বিরাট উন্নতি হয়। এজন্যই জন ভন নিউম্যানকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়। তার নীতি অনুযায়ী প্রস্তুত সর্বপ্রথম কম্পিউটার EDSAC (Electronic Delay Storage Automatic Computer) এতে হাজার হাজার ইলেকট্রনিক উপাদান ক্ষুদ্র সিলিকনের বসানো সম্ভব হয়েছে। একে বলা হয় (Large Scale Integrated Semiconductor Circuit ) এ বর্তনী ব্যবহারের ফলে কম্পিউটারের কাজের ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এবং সেই সাথে কম্পিউটারের আকৃতি ও ছোট হতে থাকে। তারপর থেকেই এভাবে আস্তে আস্তে মাইক্রো কম্পিউটার বা বর্তমান যুগের আধুনিক কম্পিউটারের সৃষ্টি হয়।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন
খোদা হাফেজ।
গ্রাথোর আর্নিং প্রোগ্রাম | পোস্ট লেখালেখি করে খুব সহজেই ইনকাম করুন