রেন্ট কোডার সাইটের আলোকে একটি প্রজেক্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপ সমূহ ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করা হলো :
১. প্রজেক্ট সার্চ করা : সাইটে প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন কাজ পোস্ট হয়। দক্ষতার ভিত্তিতে সিলেক্ট করা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির প্রতিটি কাজ পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ফলে ওই ধরনের কাজে বায়ারদের চাহিদা এবং কাজের মূল্য সম্পর্কে ফ্রিল্যান্সারের সুস্পষ্ট একটি ধারণা তৈরি হবে। নির্দিষ্ট এক বা একাধিক ধরনের কাজ খোঁজার জন্য সাইটের প্রজেক্ট ফিল্টার সেটিং এর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
২. বিড করা : কোন কাজ পর্যবেক্ষণ করার পর যদি মনে হয় কাজটি নিশ্চিত সফলতার সাথে সম্পন্ন করা যাবে তবে ওই কাজের জন্য বিড করতে হবে। বিড করার জন্য প্রথমে অবশ্যই সাইটে লগইন করতে হবে। বিডে ওই কাজটি কত ডলারে সম্পন্ন করা যাবে তা উল্লেখ করতে হবে তবে অবশ্যই তা বিডের উল্লিখিত মূল্যের মধ্যে হতে হবে। বিড করার পাশাপাশি কাজটি সম্পর্কে নিজস্ব মতামত জানিয়ে বায়ারকে ম্যাসেজ দিতে হবে যদি ওই সাইটে এর আগে কোনো কাজ করা না থাকে তাহলে যতটুকু সম্ভব কম মূল্য উল্লেখ করতে হবে। নিজের Ranking বাড়ার সাথে সাথে বিডের মূল্য বাড়িয়ে দিতে হবে। এছাড়াও প্রয়োজনে বিডের চেয়ে কম মূল্যে কাজ করতে চাইলে বায়ারকে পৃথক ম্যাসেজে তা উল্লেখ করে দেওয়া যেতে পারে। তবে কাজের মূল্য এতটা কম ধরাও উচিত হবে না যাতে বায়ারের মনে কাজের কোয়ালিটি সম্পর্কে সংশয় দেখা দিতে পারে।
৩. কাজ শুরু করা : বিড করা কোডারদের মধ্য থেকে বায়ার কর্তৃক নির্বাচিত হলে দেরি না করে কাজটি শুরু করতে হবে। বায়ার সাধারণত কাজ শুরুর সাথে সাথে সকল টাকা এসক্রোতে জমা রেখে দেয়। তবে কোনো কারণে জমা দিতে দেরি হলে তাকে অনুরোধ করতে হবে। এরপর বায়ারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ফাইল, তাদের সার্ভার ও ডাটাবেজের তথ্য জেনে নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। সম্ভব হলে প্রতিদিন বা একদিন পর পর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বায়ারকে অবহিত করতে হবে। বায়ারের কোনো চাহিদা না বুঝতে পারলে যত দ্রুত সম্ভব তার সাথে যোগাযোগ করতে হবে। বায়ারকে এক্ষেত্রে সরাসরি ই – মেইল না করে সবসময় চেষ্টা করতে হবে ওই সাইটের ম্যাসেজ সিস্টেমের সাহায্যে যোগাযোগ করতে। এতে পরবর্তীতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা মোকাবেলা করা সহজ হবে।
৪. প্রতি সপ্তাহের স্ট্যাটাস রিপোর্ট : রেন্ট এ কোডারে বড় কাজ গুলোর জন্য প্রতি শুক্রবারে কাজের সর্ব শেষ অবস্থা জানাতে হয়। এজন্য ওয়েব সাইটে প্রজেক্টের পাতায় গিয়ে File Weekly Status Report বাটনে ক্লিক করতে হবে। কোন কারণে যদি স্ট্যাটাস রিপোর্ট না দেওয়া হয় তবে Ranking এর মোট স্কোর থেকে ১০০০ স্কোর বাদ দেওয়া হবে। ফলে Ranking এ অন্যদের থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়তে হবে।
৫. কাজ জমা : কাজ শেষ হবার পর দেরি না করে সাইটে গিয়ে সমস্ত কাজ Zip করে আপলোড করে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে ডেডলাইনে উল্লিখিত সময়ের পূর্বেই সমস্ত কাজ জমা দেওয়া হয়।
৬. বায়ারের কাজ গ্রহণ করা : এরপর বায়ারের মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কাজে কোন পরিবর্তন থাকলে বায়ার তা ফ্রিল্যান্সারকে অবহিত করবে। আর বায়ার যদি কাজে সন্তুষ্ট হয় তাহলে সে সাইটে একটি বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে কাজটি গ্রহন করবে যা ই – মেইল এর মাধ্যমে সাথে সাথে জানিয়ে দিবে। একই সাথে এসক্রো থেকে টাকার একটি অংশ সাইটের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। আরেকটি অংশ (১০% বা ১৫%) সাইটটির ফি হিসেবে রেখে দেবে।