-
আসসালামু আলাইকুম, পাঠকবৃন্দ। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। grathor.com এর পক্ষ থেকে সবার জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
“মাইকেল জ্যাকসন” নামটির সাথে আমরা প্রায় সবাই পরিচিত। পুরো নাম মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন ( Michael Joseph Jackson). তিনি ১৯৫৮ সালের ২৯ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা রাজ্যের গ্যারি নামক এক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জো জ্যাকসন ও ক্যাথোরিন জ্যাকসন দম্পতির সন্তান মাইকেল জ্যাকসন। দশ ভাইবোনের মধ্যে মাইকেল জ্যাকসন ছিলেন সপ্তম। তার পরিবার ছিল আফ্রো-আফ্রিকান।
ছোটবেলা
পরিবারের অস্বচ্ছলতার কারনে মাইকেল জ্যাকসন কে কপিকল অপারেটর হিসেবে কারখানায় কাজ করতে হয়েছে ।
গানে যোগদান
মাইকেল জ্যাকসন কে বলা হয় বিশ্বের সফল সেলিব্রিটি। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে মিউজিক্যাল গ্রুপের সাথে পথ চলা শুরু। ১৩ বছর বয়সে একক অ্যালবাম প্রকাশ করে চারদিকে হৈচৈ পড়ে যায়।
সফলতা
প্রথম মিউজিক অ্যালবাম “ডায়না রোজ ” ১৯৬৯ সালে প্রকাশ করা হয়। ১৯৭২ সালে তার একক অ্যালবাম “বেন” প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯৭৯ সালে তার পরবর্তী অ্যালবাম বের হয়েছিল। এই অ্যালবামের নাম ছিল “অফ দ্যা ওয়াল”।
পেশা
পেশায় তিনি ছিলেন শিল্পী, গীতিকার, সঙ্গীত প্রযোজক,মডেল, নৃত্যশিল্পী, অভিনেতা , ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক।
তার গাওয়া গানের ভিডিওর মাধ্যমে এমটিভির প্রসার ঘটেছিল। বিভিন্ন বিভাগে তিনি ১৩ বার পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত “গ্যামি অ্যাওয়ার্ড” জিতেছেন মাইকেল জ্যাকসন। ১৩ টি গ্যামি পুরস্কার, ১৩ টি এক নম্বর একক সঙ্গিত এবং ৩৫ কোটিরও বেশি মাইকেল জ্যাকসনের অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে।
দাম্পত্য জীবন
১৯৯৪ সালের আগস্টে এলভিস প্রিসলির কন্যা “লিসা মেরি প্রিসলি” কে বিয়ে করেন মাইকেল জ্যাকসন। ১৯৯৬ সালেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর তিনি ডিবোরাহ নামে এক নার্স কে বিয়ে করেন। কৃতিম উপায়ে তাদের দুটি সন্তান হয়।
১৫০ বছর বাচার বৃথা চেষ্টা
মাইকেল জ্যাকসন ১৫০ বছর বাঁচতে চেয়েছিলেন। নিজের দেখাশুনা করার জন্য বাড়িতে ১২ জন ডাক্তার নিযুক্ত রেখেছিলেন, যারা তার মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত প্রতিদিন পরীক্ষা করত। তার খাবার ল্যাবরেটরী থেকে পরীক্ষা করে এনে খাওয়ানো হতো। তিনি অক্সিজেনযুক্ত পেজে ঘুমাতেন। নিজের জন্য organ donar রেডি করে রেখেছিলেন। যাদের খরচ নিজে বহন করতেন। যাতে হঠাৎ দরকার পরলে তারা eye,kidney, lungs ইত্যাদি organ মাইকেল জ্যাকসন কে দিতে পারে।
জীবনের শেষ ২৫ বছর ডাক্তারদের পরামর্শ ছাড়া এক পাও চলতেন না। কিন্তু তাতেই বা কি লাভ হলো?? মাত্র ৫০ বছর বয়সেই তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেন। যেখানে তিনি ১৫০ বছর বাঁচার টার্গেট রেখেছিলেন। ২০০৯ সালের ২৫ শে জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
অন্তিমযাত্রা
মাইকেল জ্যাকসনের অন্তিমযাত্রা ২.৫ মিলিয়ন লোক লাইভ দেখেছিল, যেটা আজ পর্যন্ত সবথেকে বড় লাইভ টেলিকাস্ট ছিল। তার মৃত্যুর দিন অর্থাৎ ২৫ শে জুন ২০০৯ Google প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধ ছিল। হঠাৎ করে তার মৃত্যুর খবর মুহূর্তের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। গুগোল এ একসাথে লাখ লাখ লোক “মাইকেল জ্যাকসন” সার্চ করেছিল, অতিরিক্ত চার্জের জন্য Google traffic জ্যাম হয়ে গিয়েছিল। প্রায় আড়াই ঘন্টা কাজ করে নি।
আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এবং ভালো রাখবেন নিজের পরিবেশ কে। মনে রাখবেন কোন ভাইরাসে আতঙ্ক নয়, সতর্কতাই হচ্ছে বড় সমাধান। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ 💕