আসসালামু আলাইকুম/ নমস্কার/ হ্যালো পাঠক ভাই ও বোনেরা, আশা করি করোনা ভাইরাসের বিপদ থেকে সবাই দূরে আছেন, ভালো আছেন।
সুন্দর জীবন যাপনের জন্যে, ভালো থাকার বিকল্প নেই..আর ভালো থাকার জন্য সু-স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ও কিন্তু অনেক..এর জন্য মেনে চলা লাগে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়..যা আপনার লাইফকে আনন্দময় করে তুলতে সাহায্য করে..
চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক এমন কয়টি টিপ্স, যা মেনে চললে একটা ভালো স্বাস্থ্য রক্ষা করে চলা সম্ভব..
১. সুগারি ড্রিংকস বা মিষ্টি পানীয় বাদ দিয়ে চলা..কিছু ফ্রুট জুইস পাওয়া যায় দোকানে, ওগুলা ও বাদ দিয়ে দিতে হবে..
এর ফলে অবেসিটি, টাইপ-২ ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে..
২. নিয়ম করে বাদাম খাওয়া..
এতে অনেকটা ফ্যাট থাকলেও, স্বাস্থ্যের জন্য কিন্তু দারুন নিউট্রিশাস…বাদামে আছে ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার এবং অন্যান্যা আরো নিউট্রিয়েন্টস..এটি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে..
৩. জাঙ্ক ফুডকে না বলুন, কফি কে হা বলুন 😉 সকালে, বিকেলে এবং রাতের বেলা নিয়ম করে কফি খাওয়ার চেষ্টা করুন, অন্তত বার্গার, স্যান্ডউইচ খাওয়া থেকে ভালো..
৪.প্রচুর পরিমানে শাক সবজি ও ফল খান..আপেল নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন..অনেকে বলে, আপেল খেলে নাকি ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগে না..
৫. তেলসমৃদ্ধ মাছ বা ফ্যাটি ফিস খাবেন..যাতে রয়েছে ওমেগা-৩..আর আমিষ তো আছেই..ডিম, দুধ, কলা, কালিজিরা, খেজুর বেশি বেশি খাবেন..এনার্জেটিক করে তুলবে আপনাকে..
৬. ২৪ ঘন্টায় অন্তত ৯ ঘন্টা ঘুমান..যা আপনার ফিজিক্যাল এবং মেন্টাল পার্ফরমেন্স বৃদ্ধিতে সাহায্য করে..রাতে সম্পূর্ণ ঘুমানোর সুযোগ না পেলে, বিকেলে পুষিয়ে নিন..ঘুম ঠিকঠাক না হলে কাজে মন বসবে না, স্বাস্থ্য দিন এর পর দিন খারাপ হবে..
৭. বেশি বেশি পানি পান করুন, অন্তত ৮ গ্লাস..বিশেষ করে খাবার খাওয়ার আগে..যা আপনার পরিপাকতন্ত্রকে প্রস্তুত করে এবং খাবার হজমে সাহায্য করে..
৮. খাবারকে খুব বেশি পুড়িয়ে ফেলবেন না বা বেশি সেদ্ধ করে ফেলবেন না..এতে করে পুষ্টিগুণ অনেক কমে যায়..তাই, কম পুড়িয়ে বা কম সেদ্ধ করে খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন..
৯. ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত আলো থেকে দূরে থাকুন, তাহলে ঘুম ভালো হবে..কারন, এতে করে আপনার রেটিনাল ইলিমেন্টস গুলো পরিবেশের সাথে আগে থেকেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে..
১০. ধূমপান এবং ড্রাগস গ্রহন থেকে বিরত থাকুন..এগুলো স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর..স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে এসব একদম ই গ্রহন করা যাবে না..
১১. মাসল এবং বডি কম্পোজিশনের উন্নতির জন্য ভারী জিনিস তুলতে বা বহন করতে চেষ্টা করুন..এতে আপনার মাসল এবং বডির নরম টিস্যুগুলো ছিড়ে, শক্ত টিস্যু গঠনে সাহায্য করবে..
১২. ওষুধ খেয়ে বা কৃত্রিমভাবে মোটা হওয়ার চেষ্টা করবেন না, এটা খুব ই বিপজ্জনক কাজ..হার্বাল ওষুধের চকচকে বিজ্ঞাপন দেখে লোভে পড়ে নিজের স্বাস্থ্য নষ্ট করবেন না..
১৩. আপনার দৈনন্দিন খাবার তালিকা ট্র্যাক করুন, খেয়াল রাখুন কি খাচ্ছেন..তাহলে, কখন কি খাওয়া উচিত, কি উচিত না, কি করলে ভালো হবে, খারাপ হবে, নিজেই বুঝতে পারবেন..
১৪. মোটা বা চর্বিওয়ালা পেট থাকলে তা থেকে বেরিয়ে আসুন..তবে, ডায়েট করে নয়, একটা ভালো খাদ্যতালিকা ফলো করার মাধ্যমে এটি করবেন..
১৫. নিয়মিত ব্যায়াম করুন…ব্যায়ামের উপকারিতার অভাব নেই..তা নিয়ে আরেকটা আর্টিকেল লিখবো পরে..ততদিন পর্যন্ত ব্যায়াম করতে থাকেন..
আজ তাহলে এই ১৫ টি ই থাকুক..আসলে ভালো জীবন যাপনের জন্য শুধু খাবার না, ঘুমানো, ব্যায়াম করা, সব ধরনের সম্পর্ক ঠিক রাখা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা লাগবে..তাহলে ই একটা বেটার লাইফ পাওয়া সম্ভব..
কথা হবে আরেকদিন, লিখবো অন্য কিছু নিয়ে..আপনারা চাইলে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত, কমেন্টে, কি বিষয়ে লিখা চান তা ও জানাতে পারেন..
সুস্থ থাকুন, বাসায় থাকুন, সেফ থাকুন..
গুড বাই..
লেখক : নীল