আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন
আজকে আমরা দেখবো ঘরে তৈরি ক্রিসপি ফ্রাইড চিকেন তৈরির রেসিপি। এটা তৈরি করা খুবই সহজ। চলুন দেখে নেই এর পুরো প্রস্তুত প্রণালী।
একটি বাটিতে হাফ কাপ পরিমাণ নরমাল টেম্পারেচার এর লিকুইড দুধ নিয়ে এরমধ্যে দিয়ে দিন এক টেবিল চামচ পরিমাণ হোয়াইট ভিনেগার। অবশ্যই হোয়াইট ভিনেগারই ব্যবহার করতে হবে। এবার এটাকে পাঁচ মিনিটের জন্য একটা সাইডে রেখে দিতে হবে। ঠিক যখন পাঁচ মিনিট হয়ে যাবে তখন দেখবেন দুধটা কেমন ছানা ছানা ভাব হয়ে আসছে। এতে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই, এটাই হচ্ছে বাটারমিল্ক এর বৈশিষ্ট্য।
এবার এর মইধ্যে নিয়ে নিন এক চা-চামচ আদা গুড়া ও এক চা চামচ রসুন গুড়া। আদা রসুনের যদি গুড়া না থাকে এক্ষেত্রে আপনারা এক চা চামচ পরিমাণ বাটা মসলা ব্যবহার করতে পারবেন।
এবার নিয়ে নিন এক চা-চামচ পাপ্রিকার গুড়া, হাফ চা চামচ গোল মরিচের গুড়া। এরপর দিন এক চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া ও স্বাদমতো লবণ।
এবার দিয়ে দেন হাফ চা চামচ ওরিগানো এটা এক ধরনের হার্ব। যদি কেএফসি স্টাইলে চিকেন ফ্রাই তৈরি করতে চান তবে অবশ্যই এই হার্ব ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
দিয়ে দিয়েন হাফ চা চামচ ইয়োলো মাস্টার সস। এটা না থাকলে কালো সরিষা বেটেও হাফ চা চামচ ব্যবহার করতে পারবেন।
হাফ চা চামচ লাল মরিচের গুঁড়া নিয়ে এই মিশ্রণটিকে ভালো মতো মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর মাংস গুলো নিয়ে নিন। মনে রাখবেন অবশ্যই মাংসগুলো চামড়াসহ থাকতে হবে।
এরপর এই মাংসগুলোকে ওই মসলার মিশ্রণটি সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে তারপরে কমপক্ষে তিন ঘন্টার জন্য রেখে দিতে হবে।
যখন তিন ঘন্টা হয়ে যাবে তখন অন্য একটি পাত্রে এক কাপ পরিমাণ ময়দা নিয়ে, একে একে স্বাদমতো লবণ ও হাফ চা চামচ পরিমাণ গোলমরিচের গুড়ো দিয়ে এটাকে মিশিয়ে এটা কেও অন্য পাশে রেখে দিতে হবে।
এখন অন্য একটি পাত্রে একটি ডিম নিয়ে, এর মধ্যে একে একে হাফ চা চামচ পরিমাণ আদা গুড়া আর হাফ চা চামচ রসুন গুড়া দিয়ে দিন। আর আদা রসুন গুড়া ঘরে না থাকলে এক্ষেত্রেও আপনারা বাটা মসলার ব্যবহার করতে পারবেন। আর দিয়ে দিন তিন টেবিল চামচ পরিমাণ নরমাল টেম্পারেচার এর দুধ। আবার এটিকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
এবার এখানে সেই মেরিনেট করা চিকেন ময়দার মিশ্রণ ও ডিমের মিশ্রণ নিয়ে নিন।
এবারে এক টুকরা চিকেন নিয়ে অতিরিক্ত যে পানি আছে তা ছড়িয়ে নিয়ে ময়দার ভিতর ভালোভাবে গড়িয়ে নিন।
খুব ভালোভাবে চেপে চেপে ময়দা লাগিয়ে নিন যেন মাংসের চারপাশে ময়দাটা ভালো করে লেগে যায়।
এবার মাংসটা তুললে এটাকে হালকা করে ধরে এর উপর থেকে লেগে থাকা হালকা হালকা ময়দা গুলো ছেড়ে ফেলে দিয়ে মাংস টাকে ডিমের মিশ্রণের ভিতরে ডুবান।
এখন মাংসের টুকরা টা আবার তুলে আবার ওই ময়দার মিশ্রণে গড়িয়ে নিন।
এভাবে দুইবার ডিমের ভিতর গরাবেন এবং তিনবার ময়দার মিশ্রণে গড়াবেন।
আপনারা চাইলে তিনবার ডিমের ভিতর এবং চারবার ময়দার মিশ্রণে গড়াতে পারেন। এভাবে যতবার করবেন ততই আপনার চিকেনে এর বাইরের যে লেয়ারটা সুন্দর করে ফুটে উঠবে এবং ক্রিসপি হবে। এভাবে করে প্রতিটি চিকেন করে নিতে হবে।
আপনারা চাইলে এভাবে প ফ্রোজেন করে রেখে দিতে পারেন ডিপফ্রিজে।প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন ভালো থাকবে এবং আপনার যখন খেতে ইচ্ছে করবে তখন ফ্রিজ থেকে বের করে ১৫-২০ মিনিটের মত রেখে দিলে এটা নরমাল হয়ে আসলে ডুবো তেলে ভেজে খেতে পারবেন।
এখন চিকেন গুলোকে ভেজে নিবেন। সব সময় চেষ্টা করবেন মাঝামাঝি আচে ভাঁজতে। তেলটা জানো খুব বেশি গরম না থাকে।
যদি খুব বেশি গরম তেলে মাংস গুলো দিয়ে দেন তাহলে উপর থেকে ভাজা মনে হবে কিন্তু ভেতর থেকে কাছে রয়ে যাবে।
তাই চুলার আঁচ মাঝামাঝি পর্যায় রেখে আস্তে আস্তে মাংস গুলো ভাজবেন। যখন একটা পাস হয়ে যাবে তখন আলতো করে অন্য পাশ করে দিতে হবে। খুব ঘনঘন এই ফ্রাইড চিকেন টাকে নাড়াচাড়া করা যাবে না।
তাহলে চিকেন ফ্রাইর উপরে যে আবরণ সেটা খুলে যায় সম্ভাবনা থাকে, তাই বেশি নাড়াচাড়া করা যাবে না।
এরপর যখন চিকেন গুলো সিদ্ধ হয় এর কাঙ্খিত রং ধারণ করবে, তখন এগুলো তুলে নিয়ে একটি কিচেন তাওয়াল বা টিস্যু পেপার এর উপরে ছড়িয়ে দিবেন।
তাহলে তৈরি হয়ে গেল ঘরে তৈরি ক্রিসপি চিকেন ফ্রাই। ঘরে বসে অবশ্যই চেষ্টা করবেন। আশা করি আপনারা তৈরি করতে পারবেন রেস্টুরেন্টের রকমের মজার চিকেন ফ্রাই।তাহলে এখন আর বাহিরে যেয়ে নামিদামি রেস্টুরেন্ট থেকে চিকেন ফ্রাই খাইয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
ধন্যবাদ সকলকে আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ