Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

লকডাউনে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটানো মানসিক চাপ বাড়াবে

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই?আশাকরি ভালো আছেন।আজকে আমি আপনাদের জানাব করোনাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ার উপর করা গবেষণার তথ্য।

কোভিড-১৯ ভাইরাসে পর্যুদস্ত পুরো বিশ্ব।আর এই ভাইরাসের কারণে ঘোষিত লকডাউনে পুরো বিশ্বের মানুষ গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে।গৃহবন্দী অবস্হায় মানুষের বেশিরভাগ সময় কাটছে মোবাইল ফোনে।বিশেষ করে যুব সমাজের এক বিশাল অংশের দিনের বেশিরভাগ সময় কাটছে মোবাইল ফোনে।সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে,সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় কাটানো মানসিক চাপ বাড়াতে পারে। সম্প্রতি দিল্লির লেডি শ্রীরাম কলেজ এবং অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস-এর অধ্যাপকরা সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এ তথ্য জানান। লেডি শ্রী রাম কলেজের অধ্যাপক কণিকা আহুজা, অনিশা জুনেজা এবং চিকিৎসক যতন পাল সিং বালহারা এই গবেষণা করেছেন ৩০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে। শিক্ষার্থীদেরদের বয়স ১৮-২৫ বছর।
এর মধ্যে ১৮৫ জন নারী এবং ১২৩ জন পুরুষ। ২৭৪ জন স্নাতক কোর্সে এবং ৩৪ জন স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র।গবেষণায় দেখা গেছে,সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা প্রতিদিন ৬.৭৫ ঘন্টা সময় দিচ্ছেন এবং ৩.৭৫ ঘন্টা সময় বিরতি নিচ্ছেন।আহুজা বলেছেন,শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা,পড়াশোনা,প্লেসমেন্ট নিয়ে চিন্তায় রয়েছে।বিশেষ করে চূড়ান্ত বর্ষের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।কারণ লকডাউনের কারণে অনেকগুলো সংস্হা তাদের চাকরির অফার ফিরিয়ে নিয়েছে।কোভিড-১৯ এর কারণে যতই এসব চাপ বাড়ছে,ততই শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটানো তাদের শারীরিক সুস্হতার অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে।গবেষণায় আরো বলা হয়েছে,সাধারণ শিক্ষার্থীরা আর্থিক সমস্যা,উদ্ভূত পরিস্হিতির সাথে মানিয়ে চলা,ভৌগোলিক পরিবেশ,সম্পর্ক পড়াশোনা,জীবন যাপনে পরিবর্তন,টাইম ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি নিয়ে চাপে থাকেন।লকডাউন পরিস্হিতি তাদের সেই চাপ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই গবেষণাটি সোশ্যাল মিডিয়াপ্ল্যাটফর্মগুলোর সামাজিক দূরত্ব,হাত ধোঁয়া এবং অন্যান্য স্বাস্হ্যবিধিগুলো নিয়ে যে অস্পস্টতা আছে তা দূর করবে বলে গবেষকদলটির বিশ্বাস।এই গবেষণাটি মানুষের লকডাউন সময়কার প্রযুক্তির সাথে মনস্ত্বাত্তিক সম্পর্ক স্পস্ট করবে বলে গবেষকদের বিশ্বাস।

বন্ধুরা,আমার পোস্টটি ভালো লাগলে বেশি বেশি শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।

Related Posts

8 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No