আমাদেরদেশে আদা সুধু মসলা হিসেবে ব্যবহার হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা এটি ক্যান্সার, গ্যাস্টিকসহ অনেক রোগে প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার হয়।আজকে আমরা আদার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। এবং এখানে দশটি উপকারিতা কথা বল।
১, জরায়ু ক্যান্সার চিকিৎসায় আদা
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, আদার পাউডার জরায়ু ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করতে পারে। জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি আদার পাউডার সেবনে অনেক উপকারিতা রয়েছে।
২, কোলেরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ
নিয়মিত আদা খেলে কোলেরেক্টাল ক্যান্সার, আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। আমেরিকায় এক গবেষণায় দেখা গেছে, আদা ক্যান্সার কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি কিছুটা কমাতে পারে।
৩, মর্নিং সিকনেস
গর্ভকালীন সময়ে প্রথম তিন মাসে সকালে ঘুম থেকে উঠার পর বমির যে প্রবণতা দেখা দেয় তা আদা অনেকখানি কমাতে পারে। এ ক্ষেত্রে আদা ভিটামিন-বি সিক্সের মতো সমান কার্যকরী।
৪,ওজন কমাতে আদা
যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন কিন্তু কমাতে পারছেনা না তাদের জন্য রয়েছে আদা সেবনের উপকারিতা অপরিসীম। তাদের অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে আদা সাহায্য করবে। টিস্যু বেশি এনার্জি ব্যবহার করায়, বেশি ক্যালরি বার্ন হয়।
৫, সর্দি-জ্বর প্রতিরোধ
সর্দি-জ্বরের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে আদা বেশ উপকারী। সর্দি-কাশি-জ্বরে আদার রস, আদার রসযুক্ত চা সাথে একটু নেবুর রস খুব উপকারী বলে প্রমাণিত।
৬, ডায়াবেটিক নেফ্রপ্যাথির প্রতিরোধ
ডায়াবেটিসজনিত কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিক নেফ্রপ্যাথি প্রতিরোধে আদা কার্যকরী।
৭, ভ্রমণজনিত বমি
গাড়িতে উঠলেই যাঁদের বমি ও বমি বমি ভাব হয়, তাঁরা এক টুকরো আদা চুষলে উপকার পাবেন।
৮, প্রদাহের ব্যথা
আদাকে বলা হয় প্রাকৃতিক ও ব্যথানাশক ওষুধ। প্রদাহজনিত ফোলা ও ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আদা খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
৯, বুকজ্বলা
এসিডিটির ব্যথা বা গ্যাস্ট্রিকে যাদের বুল জলে এতে আদা অনেক উপকারী। এ ধরনের সমস্যায় ফলে আদাযুক্ত চা খেলে বুকজ্বলা কমে যায়।
১০, ঋতুকালীন ব্যথা
চায়নিজ চিকিৎসা প্রণালিতে বাদামি চিনিযুক্ত আদার চা ঋতুকালীন সময়ের ব্যথা নিরাময়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
- এছাড়াও আদার আরো অনেক উপকারিতা বা গুণাগুণ রয়েছে। যেগুলো আমরা অনেকেই জানিনা।
এখন আসেন প্রতিদিন কতটুকু আদা খাবেন।
অনেক চিকিৎসকের পরামর্শ দিনে ৫০-১০০ গ্রাম।
১০০ গ্রাম আদায় রয়েছে :-
এনার্জি
কার্বোহাইড্রেট
ফ্যাট
পটাশিয়াম
ফসফরাস