ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট বৃদ্ধি পাচ্ছে ভিজিটর থাকে না।কিভাবে বাউন্স রেট কমাতে পাড়ি? এই ধরনের প্রশ্ন ওয়েবসাইটের মালিক বেশি করে থাকে। এই প্লাটফর্মে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এ ভিজিটর ধরে রাখার গুরুত্বপূর্ণ উপায়গুলো জানতে পারবেন।এখানে কিছু জনপ্রিয় উপায় তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি আপনি অনেক কিছু বুঝতে পারবেন।
ইউনিক এবং তথ্য বহুল কন্টেন্ট পোষ্ট করুন
বলা হয়ে থাকে “Content Is King”। তার কারণ হচ্ছে সাইটের জন্য কন্টেন্ট সব সময়ই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে।তাই আপনার ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট পাবলিশ করার পূর্বে অবশ্যই ইউনিক এবং ইনফরমেটিভ কনটেন্ট লিখে তারপর পাবলিশ করা উচিৎ।এতে করে ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট বেশি সময় ধরে এংগেজ থাকবে।
আকর্ষনীয় ছবি আপলোড করতে হবে
একটি ওয়েবসাইটের ১ম ছবি বা ইমেজ ভিজিটর বাড়াতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে।প্রায় ৩০% ভিজিটর ইমেজ সার্চ করে ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করে।আর তা ছাড়াও কোন কোন ভিজিটর শুধু মাএ ছবি এবং লিংকে শিরোনাম দেখেই সাইটে প্রবেশ করে।
ওয়েসবাইট দ্রুত লোডিং স্পীড
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, একজন ভিজিটর যে কোন একটি ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য সাধারণত ৩সেকেন্ড সময় নেয়। অর্থাৎ যদি ৩ সেকেন্ডের মধ্যে ঐ সাইট লোড না হয়ে থাকে তবে ভিজিটর বিরক্ত হয় এবং সাইট ভিজিট করেন না। ফলে ওয়েবসাইটের ব্রাউনস রেট বৃদ্ধি পায়।তাই সহজেই বোঝা যাচ্ছে ভিজিটর বাড়ানো জন্য ওয়েবসাইট স্পিড গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে।
রেসপন্সিভ বা ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন করা
আপনার ওয়েবসাইটটি অবশ্যই অবশ্যই যেন
পিসি,ল্যাপটপ,ফোন,ট্যাবলেট ইত্যাদিতে ভালো দেখায়। তা না হলে ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে না। আপনি হয় খেয়াল করেছেন কিছু কিছু সাইট আছে যেগুলোর কনটেন্ট ভেংগে ভেংগে আসে।তাই আপনার ওয়েবসাইট তৈরির পূর্বে খেয়াল করতে হবে সাইট টি রেসপন্সিভ হয়েছে কিনা।
কমেন্টের দ্রুত উত্তর দেওয়া উচিৎ
আপনি যদি কমেন্ট সেকশনে এংগেজ থাকেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরের সংখ্যা কয়েকগুন বেড়ে যাবে।কারণ ভিজিটররা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে থাকে। এই প্রশ্নগুলো যখন ওয়েবসাইটের কতৃপক্ষের কাছে যায় তখন তিনি উত্তর দেওয়ার ফলে ভিজিটর মেইল চেক করে থাকেন। আর যখনই ভিজিটর তার জিমেইল চেক করেন তখনই আবার আপনার ওয়েবসাইট টি আরেকবার ভিজিট করে।
ভিজিটর ডাটা এনালাইসিস করুন
অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর ডাটা এনালাইসিস করা উচিৎ। তার কারন হচ্ছে ভিজিটর কত তারিখে, কোন সময়ে, কোন দেশ থেকে, কত বয়সে,কোন কোন ডিভাইস দিয়ে, কতটুকু সময় ধরে ওয়েবসাইট এ থাকে ইত্যাদি খুব সহজেই বোঝা যায়। আপনি সেই অনুযায়ী ডাটা এনালাইসিস করে পরবর্তী পোষ্ট গুলো ইমপ্লিমেন্ট করলে ভিজিটর সংখ্যা অবশ্যই বাড়বে। এর জন্য আপনি চাইলে গুগল এ্যানালাইটিকস ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে একটিভ থাকা
আপনার ওয়েবসাইট এ ভিজিটর ধরে রাখতে
আরেকটি গুরুত্বপূর্ন কাজ হলো বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে একটভি থাকা।কারণ এর ফলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসার চান্স বেড়ে যায়।
ওয়েব পেজ লিংক বৃদ্ধি করতে হবে
আপনার কনটেন্টের যে কোনো পোষ্টের হাইপার লিংক/ইন্টারর্নাল লিংক একটি খুবই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে।মনে করুন আপনি একটা আর্টিকেল লিখছেন ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় কিছু খাবারগুলো নিয়ে। কিন্তু আপনি এর আগেই ইংল্যান্ডের স্ট্রিট ফুড নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখেছেন। আপনি চাইলে আপনি আপনার মেইন আর্টিকেল এর সাথে স্ট্রিট ফুড এর টাইটেলটি ট্যাগ করে দিতে পারেন। ফলে মেইন কন্টেন্ট এর জন্য আপনি তো ভিজিটর পাচ্ছেনই আবারও এর পাশাপাশি ইন্টার্নাল লিংক করা পেজটি ভিজিট করার একটা চান্স থাকবে।
আশাকরি এই আর্টকেল টি পড়ে কিভাবে ওয়েবসাইটের এ ভিজিটর ধরে রাখা যায় সে ব্যাপার গুরুত্বপূর্ন কিছু ধারনা পেয়ছেন। কয়কেদিন পর আমি আবারও নতুন কোনো আর্টকেল নিয়ে হাজির হবো।সেটি পড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ। আমার এই লেখা আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করুন।ধন্যবাদ