প্রতিটি শিক্ষার্থীকেই কোনো না কোনো বিষয়ের উপর প্রবন্ধ রচনা করতে হয়। মেধা ও সৃজনশীল জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে একেক জনের রচনার মান হয় একেক রকম। রচনার মান ভালো করতে চাই দক্ষতা অর্জন।
এটা সত্য যে রচনায় খুব অল্প সময়ে দক্ষতা অর্জন সম্ভব নয়। তার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত অনুশীলন। আজ আমি শিক্ষার্থীসহ যে কারও রচনায় দক্ষতা বাড়ানোর কিছু উপায় শেয়ার করছি। আশা করি এগুলো অনুসরণ করলে আপনার রচনা লেখায় দক্ষতা বাড়বেই, ইনশাআল্লাহ।
১। রচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে ভালো জ্ঞান ও ধারনা থাকতে হবে। এরপরই আপনি একটি প্রবন্ধ রচনা শুরু করবেন।
২। রচনা লেখায় দক্ষতা অর্জনের জন্য বেশি বেশি প্রবন্ধ ও রচনা পড়তে হবে। প্রবন্ধ ও রচনা পড়ার অন্যতম মাধ্যম হতে পারে, পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ, সংবাদ, প্রতিবেদন, ভাষন ইত্যাদি। এর ফলে বিষয়গত ধারনা ও শব্দভাণ্ডার বাড়ে। ফলে সহজেই কোনো বিষয়ে রচনা লেখা যায়।
৩। রচনার বক্তব্য বাস্তব সম্মত হতে হবে। যথেষ্ট তথ্য প্রমান থাকতে হবে। যৌক্তিক উপস্থাপন রচনার বিষয়বস্তু নিয়ে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়।
৪। রচনার ভাষা হবে সহজ সরল ও প্রাঞ্জল। সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রন ঘটানো অনুচিত। চলিত ভাষায় রচনা লেখা উত্তম।
৫। রচনায় বাড়তি কথা ও শব্দ পরিহার করতে হবে। একই শব্দ বা বাক্য ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বার বার লেখা যাবেনা।
৬। রচনার বিষয় অনুযায়ী যুক্তি, তথ্য, মনন ও তত্ত্ব যথেষ্ট হতে হবে। বাহুল্য উক্তি মান সম্মত রচনার পরিপন্থী। অনুশীলন করার দ্বারা এই দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
৭। একটি উন্নত মানের প্রবন্ধ রচনায় বানান নির্ভুল ও বাক্যও গঠনগত দিক থেকে নির্ভূল হতে হবে।
৮। যুক্তিদানের জন্য অন্য রচনার উদ্ধৃতি ব্যবহার করা যাবে পরিমান ঠিক রেখে। ঘন ঘন ও বড় বড় উদ্ধৃতি রচনার স্বাভাবিক অবস্থাকে ব্যাহত করে।
৯। যতটা সম্ভব নিজের ভাষায় সুন্দরভাবে গুছিয়ে রচনা লেখার অভ্যাস করতে হবে। এতেই দক্ষতা আসবে।
১০। রচনার আকার তার চাহিদা অনুযায়ী হবে। অযথা বেশি বড় বা বেশি ছোট করা যাবেনা। সাধারনত, বিষয়বস্তুর প্রয়োজন অনুযায়ী রচনার আকার নির্ধারিত হয়।