আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি।
অষ্টম শ্রেণীর আইসিটি এসাইন্টমেন্ট
ভূমিকা:তথ্য আহরণ ,সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরুন বিতরণের সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াকে ও ব্যবস্থাকে তথ্য প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি বলা হয়। মূলত বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তির সাথে মিলেমিশে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে। তারপও এই প্রযুক্তির বিকাশে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে কম্পিউটার। কম্পিউটার নির্ভর ইন্টারনেট প্রযুক্তির ফলে সমগ্র বিশ্বটি এখন এক বিশাল তথ্য ভাণ্ডারে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন মানুষের জীবনে নতুন নতুন তথ্যের সমাহার ঘটেছে। যার ফলে তথ্যের পরিমান দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জীবনে বিভিন্ন দিকে মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের কাছে উপযুক্ত সময়ে তথ্য পাওয়ার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ মানুষের নিজের কাছে এক সাথে এত্ত সব তথ্য মনে রাখা কিংবা সংরক্ষণ করা এতটা সহজ না। এর জন্য প্রয়োজন ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা যার মাধ্যমে সহজে তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
খ.দৈনন্দিন জীবনের তথ্য ও যোগাযোগ পপ্রযুক্তির কয়েকটি ব্যবহার:
১.মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই ঘরে বসে তথ্য জানা যায়।
২.মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজে দেশ বিদেশে টাকা পাঠানো যায় এবং গ্রহণ করা যায়।
৩.অনলাইন ও ইন্টারনেট বাবহারের ফলে ঘরে বসে পরীক্ষার দরখাস্ত করা যায় এবং ঘরে বসে এডমিট কার্ড পাওয়া যায় অনলাইনের মাধ্যমে।
৪.ঘরে অনলাইন টিকেটিং সিস্টেমের ফলে ঘরে বসে আমরা দেশ বিদেশের গন্তব্যস্থানের টিকেট কাটতে পারছি।
৫.অনলাইনে ইন্টারনেটের ফলে আমরা ঘরে বসেই পত্রিকা পড়তে পারছি।
৬.অনলাইনে ইন্টারনেটের ফলে ঘরে বসেই আমরা খাবার থেকে শুরু করে ,নিত্যদিনের পণ্য এবং সেই সাথে কেনাকাটা করতে পারছি অনলাইনের মাধ্যমে।
৭.ঘরে বসে শিক্ষাথীরা বই পড়তে পাচ্ছে সেই সাথে পরীক্ষা কিংবফ ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারছে ইন্টারনেটের ফলে।
৮.ব্যবসা বাণিজ্য ইন্টারনেট এর ফলে অনেক দূর এগিয়েছে।
৯.সারাবিশ্ব একটি গ্রামে পরিণত হয়েছে।
গ,জাতীয় প্রযুক্তি ও প্রকল্প নীতিমালা ২০১৫ প্রকল্প এবং উদ্দেশ্য নীতিমালা :
উদ্দেশ্য :
১.সামাজিক নেয়পরায়ণতা ও সাম্যতা :প্রতিবন্ধী ও বিশেষ সহায়তা লাগতে পারে এমন ব্যক্তিসহ সকলকে নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়পরায়ণতা ,লিঙ্গ সমতা,সম সুযোগ এবং সম অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
২.সর্বজনীন প্রবেশাধিকার:জনসেবার বাধ্যবাধকতা হিসেবে সবার জন্য ইন্টারনেট এবং কম নিশ্চিত করা।
৩,দেশবেপী ক্ষুদ্র ,ছোট আকারের শিল্প ও কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য আইসিটির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা.
৪.আইসিটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে সকলে সামনে সুযোগ এবং সমান ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৫.যত দ্রুত সম্ভব সকলকে ই কমার্স ,ই পেমেন্ট ,ই লেনদেনে উৎসাহিত করা।
৬.সিটিজেনসের আইসিটি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সকল ধরণের হয়রানি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৭,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইসিটি অবকাঠমো উন্নয়ন করা।
৮.ইন্টারনেটের প্রাপ্যতা ও নির্ভরতা বাড়িয়ে তোলা।
৯.সকল সরকারী আইসিটি প্রকল্প অনুসরণ করবে এমন ইন্টার অপারেটরবেলিটি কাঠামো পরিবর্তন করবে।
১০.ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে সেবা প্রদানের জন্য গণকর্মচারী কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি ও নেতৃত্ব নিশ্চিত করা।
১১.তথ্যের সকল আদান প্রদানের জন্য সকলে ব্যবহার নিশ্চিত করা।
উপসংহার;
বৃহৎ অর্থে বলতে গেলে শিক্ষা নির্মাণ করি এবং গবেষক প্রত্যেকেই শিক্ষাক্ষেত্রে আইসিটির সুপ্রভাব সম্পর্কে একমত। যেটা এখনো তর্কের বিষয় তা হলো শিক্ষাক্ষেত্রে আইসিটির ব্যবহার কতটা পরিশীলিত হওয়া উচিত এবং বাস্তবে তা কতটা পূরণ করা সম্ভব
সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন
Related keyphrase: অষ্টম শ্রেণীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এসাইনমেন্ট উত্তর, অষ্টম শ্রেণীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এসাইনমেন্ট ৮ম শ্রেণির উত্তর, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট ৮ম শ্রেণির উত্তর