আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ সপ্তাহের পরিকল্পিত এ্যাসাইনমেন্ট প্রোগ্রামে আজকে নিয়ে এলাম এই সপ্তাহে চলমান ৯ম শ্রেণির বাংলা (পার্ট-২, ৫ম সপ্তাহ) এ্যাসাইনমেন্টের সমাধান। তাহলে শুরু করা যাক।
উত্তর: নিচে পল্লী সাহিত্যের পাঁচটি উপাদান উল্লেখ করা হলো:
১. ছড়া বা ঘুমপাড়ানি গান;
২. রূপকথা ও উপকথা;
৩. ডাক ও খনার বচন;
৪. ময়মনসিংহ গীতিকা এবং
৫. পলিগান বা অমূল্য রত্ন বিশেষ।
নিচে আমার পছন্দের দুটি উপাদান সম্পর্কে দশটি বাক্য তুলে ধরা হলো:
১.খনার বচন: প্রখ্যাত মহিলা জ্যোতিষী খনার বলা চাষীদের উদ্দেশ্যে বলা কৃষি ও জলবায়ু বিষয়ক উক্তি গুলোকে খনার বচন বলা হয়। খনার পাঁচটি বচন নিচে দেওয়া হল:
ক. ভাদ্রের চারি, আশ্বিনের চারি কলাই করি ,যত পারি।
খ. চাষী আর চষা মাটি এ দুয়ে হয় দেশ খাটি।
গ. জ্যৈষ্ঠের খড়া, আষাঢ়ে ভরা শষ্যের ভার সহে না ধরা।
ঘ. কলা রুয়ে না কেটো পাত তাতেই কাপড় তাতেই ভাত।
ঙ . যে না শুনে খনার বচন সংসারে তার চির পতন।
২.প্রবাদ বাক্য: দীর্ঘদিন ধরে লোকমুখে প্রচলিত যে জনশ্রুতি বিশ্বাসযোগ্য আকারে জনসমাজের প্রকাশিত হয়, তাকে প্রবাদ বাক্য বলে। সহজ কথায়, আমরা কথায় কথায় যা জুড়ে দেই তাকে প্রবাদ বাক্য বলে। নিচে পাঁচটি প্রবাদ বাক্য দেখানো হলো-
ক. আপনি বাঁচলে বাপের নাম।
খ. ধরি মাছ না ছুঁই পানি।
গ. দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা নেই।
ঘ. নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা।
ঙ. কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ পাকলে করে টাস টাস।
পরিশেষে বলা যায়, পল্লী সাহিত্যের বিচিত্র উপকরণগুলো যদি সংরক্ষণ করা না হয় তাহলে আধুনিক শিক্ষার কর্মনাশা স্রোতে সেগুলো বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যাবে একদিন। যে কারণে বিখ্যাত ভাষা গবেষক প্রাবন্ধিক ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এগুলো সংগ্রহ করে পাশ্চাত্য সাহিত্যিকদের মত সভা করে ফোকলোর সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করে এবং সাহিত্য কে বাঁচানোর তাগিদ উপলব্ধি করেন।
কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করুন এবং পরবর্তী এ্যাসাইনমেন্টগুলো পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
আগের পোস্টটি পড়তে ক্লিক করুন।