স্ন্যাপচ্যাট স্টোরি ফিচারটির বিশাল জনপ্রিয়তায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ফেসবুকের পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে স্টোরি ফিচার যুক্ত করেছে। স্টোরি ফিচার ছাড়াও স্ন্যাপচ্যাটের আর একটি জনপ্রিয় বৈশিষ্ট্য হ’ল বিলুপ্ত বার্তা (ভ্যানিশিং মেসেজ)।
এর অর্থ হ’ল আপনি যখনই কারও সাথে চ্যাট করার সময় ইনবক্সটি ছেড়ে চলে যাবেন, চ্যাটের সমস্ত বার্তাগুলি অদৃশ্য হয়ে যাবে, যা পুরোপুরি মুছে ফেলা হবে। মেসেঞ্জারেও ফেসবুক একই জাতীয় বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে।
ভ্যানিশিং মোড ফিচারটি ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু কিছু দেশের ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীর একাউন্টে চলে এসেছে। অতি শীঘ্রই ইন্সটাগ্রামেও ফিচারটি আসতে যাচ্ছে।
ভ্যানিশ মোড ফিচারটি ঘোষণা করে দেওয়া ব্লগ পোস্টে মেসেঞ্জার প্রোডাক্ট ম্যানেজার, ব্রিজেট পিজলস ও ইন্সটাগ্রাম এর প্রোডাক্ট ম্যানেজার, মানিক সিং জানান যে ভ্যানিশ মোড ব্যবহার করে ব্যবহারকারীগণ অর্থহীন বা নন-সেন্স কোনোকিছু মেসেজে পাঠানোর পর তৎক্ষনাৎ ভুলে যেতে পারবেন। এর ফলে মেসেজ ইনবক্সে জমা থাকায় পত্র বিড়ম্বনার স্বীকার হতে হবেনা।
ভ্যানিশ মোড চালু করার নিয়ম:
ভ্যানিশ মোড অন করা একদম সহজ। মেসেঞ্জারের কোনো চ্যাটে ভ্যানিশ মোড অন করতে চ্যাটবক্স এর নিচ থেকে উপরের দিকে সোয়াইপ করলেই ভ্যানিশ মোড অন হয়ে যাবে।
ভ্যানিশ মোডে দরকারী বা বেদরকারি আলাপ শেষ করার পর একইভাবে উপর দিকে সোয়াইপ করলে ভ্যানিশ মোড বন্ধ হয় যাবে। ভ্যানিশ মোড অফ করার পর ভ্যানিশ মোড চালু থাকা অবস্থায় শেয়ার করা সকল মেসেজ, ছবি এসব মুছে যাবে।
ভ্যানিস মোড এর সিকিউরিটি:
ভ্যানিস মোডের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথেষ্ট সচেষ্ট ফেসবুক কতৃপক্ষ। যারা আপনার সাথে মেসেঞ্জারে কানেক্টেড শুধু তারাই আপনার সাথে চ্যাটে ভ্যানিশ মোড ব্যবহার করতে পারবেন। যার মানে মেসেঞ্জারে আপনার অপরিচিত কেউ ভ্যানিশ মোড ব্যবহার করে আপনাকে মেসেজ দিতে পারবে না।
এছাড়াও কেউ ভ্যানিশ মোড অন করার পর ব্যবহার করতে চান কি না, তার কন্ট্রোল ও আপনার উপর থাকছে।
এগুলি ছাড়াও, ভ্যানিশ মোডে একটি স্ক্রিনশট বিজ্ঞপ্তি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অন্য কথায়, আপনি যদি ভ্যানিশ মোডে প্রেরিত বার্তার স্ক্রিনশটটি নেন, তবে ফেসবুক অন্যদিকে ব্যবহারকারীকে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অবহিত করবে।
ভ্যানিশ মোড চ্যাটের সময় যদি আপনি কথোপকথনের মতো মনে করেন না, তবে সেই ব্যক্তিটিকে ব্লক করার সুবিধা রয়েছে। কথোপকথনের খবরও দেওয়া যেতে পারে।