Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

ষষ্ঠ সপ্তাহের ষষ্ঠ শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সব সময়।

এসাইনমেন্ট সিরিজের উত্তর প্রদানের ধারাবাহিকতায় আমি আজ নিয়ে এসেছি ষষ্ঠ শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট টি।আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।

#ষষ্ঠ শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞানঃ
১.শিশুদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে শিশুকালকে বিভাজন করার প্রয়োজন আছে কি? স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।
উত্তরঃ শিশুদের বিভাজন করার অর্থ হলো শিশুদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা।এতে করে শিশুদের মস্তিষ্কে বিরুপ প্রভাব পড়বে। শিক্ষার যথাযথ সুযোগ লাভ করা একটি শিশুর মৌলিক অধিকার। অধিকাংশ দেশে সামাজিক দায় দায়িত্বের অংশরুপে এবং অভিভাবকদের দিক নির্দেশনায় কিংবা রাষ্ট্রের বাধ্যতামূলক শিক্ষানীতির আলোকে শিশুরা বিদ্যালয়ে যায়।

ছোট শিশুরা কিন্টারগার্ডেনের প্লে গ্রুপে আনন্দের ছলে শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষাকে আলোকিত ও আনন্দময় করে তুলে।কিন্তু অনুন্নত দেশে বেশির ভাগ শিশু বাবা মার সাথে নানান ধরণের উপার্জন কারী কাজে জড়িয়ে পড়ে।আমাদের দেশের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের শিশু রয়েছে।যাদের মধ্যে প্রতিবন্ধি শিশুও রয়েছে।তাই তাদের শিশুকালকে বৈষম্য না করে সবাইকে ভালো শিক্ষায় নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।যাতে দেশের কোন শিশু বৈশিষ্ট্যগুলো দিকেগুলো ফুটে না ঊঠে।তবে তার বয়স অনুযায়ী বিভাজন করা যেতে পারে।এতে কোন বিরুপ প্রভাব পড়বে না।

২.(ক) বাবা মা ও শিক্ষককে কিভাবে সম্মান করা উচিত?ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃবাবা মার প্রতি যেভাবে সম্মান দেখানো উচিতঃ
বাবা মার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।তারা যা আদেশ করে তা মেনে চলতে হবে।তাদের প্রতি যত্নবান হতে হবে,অসুখ হলে সেবা করতে হবে।গৃহস্থলির কাজে তাকে সাহায্য করতে হবে।
শিক্ষকের প্রতি যেভাবে সম্মান দেখানো উচিতঃ
শিক্ষকের কোন আদেশ পালন করতে হবে। শিক্ষক কোন আদেশ দিলে তা যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বাড়ির কাজ সবসময় বুঝিয়ে নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে সাহায্য করতে হবে। তাদের সাথে সব সময় সুন্দর আচরণ করতে হবে।

(খ) তোমার ক্লাসে একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বন্ধু আছে। তার প্রতি তোমার আচরণ কেমন হবে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের শিশু রয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের সৌহার্দ্য পূর্ণ আচরণ করতে হবে। যাতে তারা আমাদেরকে ভিন্ন চোখে না দেখে।তাদের আচার আচরণে আমাদের সৌহার্দ্য পূর্ণ মনোভাব দেখাতে হবে। যাতে তারা বুঝতে পারে তারাও আমাদের মতোন স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে।
নিচে প্রতিবন্ধিদের প্রতি আমাদের আচরণ কেমন হবে তা তুলে ধরা হলোঃ
প্রতিবন্ধিদের সাথে অসাদ, হাসি ঠাট্টা কিংবা কোন ধরণের বিদ্রুপ আচরণ করা যাবে না।তাদের সবসময় হাসি খুশি রাখতে হবে। তাদের বিভিন্ন পছন্দের জিনিস উপহার দিতে হবে।তাদের সাথে খেলাধুলা করতে হবে।যথাসম্ভব তাদেরকে সময় দিতে হবে।

৩. বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক দূর্যোগের পূর্বাভাস পাওয়ার পর তুমি কি ধরণের খাবার মজুদ রাখবে?কেন?এসব খাবারের কি করা হয়?
উত্তরঃবিভিন্ন প্রাকৃতিক পূর্বাভাস জানার পরই আমি পাউরুটি,বিস্কুট,মুড়ি,পানি ইত্যাদি শুকনো জাতীয় খাবার মজুদ রাখব যাতে বন্যার কোন সম্ভাবনা থাকলে দূষিত পানি পান না করে বিশুদ্ধ পানি পান করা যায়।বন্যা বেশি হলে বাড়ি ঘর ডুবে গেলে খাবারের সল্পতা দেখা দিবে।তাই খাবারের সল্পতা এড়াতেই বিভিন্ন ধরণের শুকনো খাবার মজুদ রাখতে হবে স্বাভাবিক খাবারের বিপরীতে।

৪.শীতের শেষ এ শীতকালীন পোষাক এর যত্ন কিভাবে নিবে ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃশীতের শেষে সমস্ত খাবার পরিষ্কার করা আবশ্যক।একটি সামান্য পরিচর্যা করলেই শীতের পোষাককে নতুনের মতো করে রাখা যায়।তার কিছু পদ্ধতিসমূহ নিচে তুলে ধরা হলঃ

ক্লাব সোডা দিয়ে শীতের কাপড় বা কম্বল ভালো ভাবে পরিষ্কার করা যায়।ভালোভাবে ঝাকিয়ে কাপড় পরিষ্কার করা যায়।নিমপাতা দিয়ে কাপড় পরিষ্কার করা যায়।খোলা বাতাসে শীতের শেষ এ খাপড় শুকালে শীতের কাপড় ভালো থাকবে।ঠান্ডা পানি দিয়ে কাপড় ভালোভাবে পরিষ্কার করলে কাপড় ভালো থাকবে।

ধন্যবাদ সবাইকে। সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।

মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts

1 Comment

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No