তারকাদের দেখে আমরা অনেকে বলি তাদের কেমন কষ্ট, তারা ত সফল,তাদের কীসের অভাব?
কিন্তু তারা কীভাবে সফল হয়েছে তা আমরা জানতে চাইনা।
কিন্তু তা আসলেই জানা দরকার।
বলিউডের এমন এক
তারকার জীবনের গল্প আমাদের জানা দরকার।
নেহা কক্করঃ
নেহা কক্কর স্টেজ কাঁপানো একজন সফল প্লে
ব্যাক ও লিডিং সিঙার।
আজ তিনি একজন সফল তারকা। কিন্তু সে সফলতা রাতারাতি আসেনি। অনেক কষ্ট বাধা পেরিয়ে তিনি এ সফলতা অর্জন করেছেন।
নেহা কক্কর জন্মগ্রহণ করেছেন ১৯৮৮ সালে ৬ জুন। তার জন্মস্থান রিশিকেশ,উত্তরাখান্ড,ভারত।
তার বাবার নাম রিশিকেশ কক্কর। তার মার নাম নীতি কক্কর । তার বড় ভাই ও বড় বোন রয়েছ।
ভাই এর নাম টনি কক্কর ও বোনের নাম সনু কক্কর।
তার সফলতার পিছনের গল্পঃ
নেহার ছোটবেলায় তার বাবা তার স্কুলের বাইরে সমুচা বিক্রি করত। নেহাকে তার বন্ধুরা এ নিয়ে অনেক মজা করত ও অনেক রকম কথা বলত। নেহার মা ছিল গৃহিণী। রিশিকেশ শহরে তারা একটি ঘরে রুম ভাড়া নিয়ে থাকত যেটাতে একটি টেবিল বসিয়ে রান্নাঘর ও একই সাথে ঘুমানোর রুম বানিয়েছিল। ১৯৯০ সালে নেহা তার গানের প্রতিভা দিয়ে ভাগ্য বদলানোর লক্ষ্যে তার পরিবারের সাথে দিল্লি চলে আসে।
তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। তার পরিবারকে সাহায্য করার জন্য ৪ বছর বয়সে সে বিভিন্ন রকম ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গান গাইতে শুরু করে। তার ভাই ও বোন ও তার সাথে গান গাইত। সে আত্নবিশ্বাসের সাথে নিজেকে উপরে তুলতে থাকে।
তিনি বলেন ” আমি চার থেকে ষোল বছর পর্যন্ত শুধু ভজন গেয়েছিলাম। আমি দিনে চার থেকে পাঁচটি ভজন গাইতাম। যেটি আমার জন্য আমার গানের ট্রেনিং হিসেবে পরিণত হই”। ২০০৪ সালে নেহা তার ভাইয়ের সাথে মুম্বাই চলে আসে। ২০০৬ সালে , নেহা ইন্ডিয়ান আইডল এর সিজন -২ তার প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাই। সে সবার ছোট ছিল বলে অনেক আদর পেত। সেই অনুষ্ঠানটি তাকে অনেক সুন্দর স্নৃতি ও অনেক খ্যাতি দিয়েছিল। তার এই ছোট সফরের ব্যাপারে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, যা হয় ভালোর জন্যই হয়। আমাকে সবাই বলে যে আমি ভালো গান গাই। কিন্তু আমি যে অনেক ভালো শিল্পী তা কেউ বলে নাই। আমি খুশি যে, আমার সফর, আমার কষ্ট সফল হয়েছে”।
সে তার ক্যারিয়ার শুরু করে ২০০৮ সালে ইভেন্ট, পারফরম্যান্স, কনসার্ট দিয়ে । সে সময় সবাই তাকে ” জে মাতা দি -মেয়ে ” বলে ডাকত।
সে হিন্দির পাশাপাশি কান্নাড়, তেলুগু ইত্যাদি ভাষায় গান গেয়েছে ও সফলতা অর্জন করেছে।
তিনি বর্তমানে রোহানপ্রীত সিং এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ।
আশা করি সবার ভালো লাগবে । জীবনে মোটিভেট করতে সাহায্য করবে।
ধন্যবাদ।