আসসালামুআলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক/পাঠিকগণ। আসা করি সবাই অনেক ভালোই আছেন। বরাবরের মতই আরো একটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে চলে আসলাম আপনাদের মাঝে। চিরতরে ব্রণ মুছে ফেলার সেরা কয়েকটি উপায়। ব্রণ সমস্যার ১০০% সমাধান –
আপনি যত সুন্দর হোন না কেনো ব্রণের জন্য আপনার সুন্দর্যের মূল্য কিন্তু নেই। আর তাই ব্রণ এমন একটি সমস্যা যেটি আমাদের অনেক ভাবে ভোগাতে পারে। এই ব্রণের সমস্যা অল্প থেকে অনেক বেশিতে রূপ নেয়। যেটি পরবর্তীতে বড় কোনো সমস্যা রূপে আমাদের সামনে দেখা দিয়ে থাকে। ব্রন অনেক কারণে আমাদের ত্বকে দেখা দিয়ে থাকে।
গত একটি আর্টিকেলে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে ব্রণ সাধারণত কেনো হয় আর এটির জন্য কি করতে পারেন। কিন্তু আজকের আর্টিকেলে আপনাদের বলবো ব্রণ হওয়ার আরো প্রধান কয়েকটি কারণ এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে।আর তাই আজকের আর্টিকেলটি যাদের মুখে ব্রণ আছে তাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন।
ব্রণ হওয়ার প্রধান কয়েকটি কারণ এবং প্রতিকার
১.মুখে থাকা তৈলাক্ত পদার্থ: ব্রণ কয়েকটি প্রধান কারণের মধ্যে এটি একটি।আমাদের মুখ তৈলাক্ত থাকার কারণে আমাদের মুখে অতিরিক্ত ব্রণ হয়।এখন কথা হলো আমাদের মুখ কেনো তৈলাক্ত হয়?
মুখ তৈলাক্ত হওয়ার প্রধান কারণ হয়ে থাকে আপনার শরীরের ভিতরের ময়লা আবর্জনা সঠিকভাবে বের হতে না পারা এবং লোমের ঘর মুছে যাওয়া।আমাদের শরীরের যে ছোট ছোট অংশ গুলো দিয়ে আমাদের ঘাম বের হয় সেগুলো যদি মুছে গিয়ে থাকে তাহলে আমাদের শরীরের ময়লা গুলো বের হতে পারে না।
আর যার কারণে সে ময়লা গুলো আমাদের মাথায় তৈলাক্ত হয়ে বের হয়।আর এজন্য তৈলাক্ত মুখে ব্রন বেশি হয়।এর থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই আপনাকে সবসময় মুখ ধুতে হবে।প্রত্যেকদিন রাতে ঘুমানোর আগে বরফ মুখে দিয়ে রাখতে হবে।আর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
এর জন্য ফ্রেশ ওয়াশ ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজন নেই।ভালো ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেবেন।
২. খাবার খাওয়াতে ভুল: যদি আপনার বয়স ১২ থেকে ২০ এর মধ্যে হয়ে থাকে এইক্ষেত্রে আপনার মুখে ব্রণ অবশ্যই থাকতে পারে যদি আপনার মুখ তৈলাক্ত হয়।এই বয়সকালে ব্রণ হওয়ার সম্ভবনা ৮০%।
হরমোনজনিত কারণে ব্রণ এই বয়সের লোকেদের মুখে দেখা দেই।আর তাই খাবার খাওয়াতে আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
যেমন: কম মসলাযুক্ত খাবার,আর বাহিরের খাবার খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। ময়দা অথবা তেল যুক্ত খাবার কোনো ভাবেই খাবেন না।
পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ফলমূল এবং শাকসবজি খাবেন।এতে আপনার ব্রণের পাশাপাশি শরীরে অনেক বেনিফিট পাবেন।
৩.পানি খাওয়া: পানি সঠিক নিয়মে না খাওয়াই কারণে আমাদের ব্রণ হয়।আর পানি কম খাওয়ার কারণেও আমাদের ব্রণ হয়।
এক্ষেত্রে প্রতিদিন ২-৩ লিটার জল অবশ্যই পান করুন। এতে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি আপনার ব্রণ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
৪.বালিশের ময়লা আবর্জনা: আমরা যে বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমায়, এটিতে আমাদের মাথার ময়লা ,তেল সব লেগে যায়।
ঘুমানোর সময় এই ময়লার সাথে আমাদের মুখ লেগে যায়।এটি ব্রণ হওয়ার অনেক বড় একটি কারণ। অধিকাংশ মানুষই এই বিষয় নিয়ে ততটা ভাবে না কারন তারা কখনো এভাবে ভাবেনি।
তাই সপ্তাহে অন্তত ২বার আপনার বালিশের কভার টি ধুবেন।আর সবসময় পরিষ্কার গামছা কিংবা কাপড় দিয়ে মুখ মুছবেন।
৫. হাত দিয়ে ব্রণ ফাটানো:হাত দিয়ে ব্রণ ফাটানো আমাদের নিয়মিত ভুল।এটির কারণে আরো বেশি ব্রণ আমাদের মুখে দেখা দেয়। টিসু ব্যবহার করবেন আপনার ব্রণ থেকে রক্ত কিংবা কোনো জল বের হলে।নিজ থেকে ব্রণ ফাটাবেন না।নিজের হাত কোনোভাবেই মুখে দেবেন না।
এছাড়াও নিয়মিত শরীরচর্চা করুন, আর মুসলিম হয়ে থাকলে নিয়মিত নামাজ পড়ুন সবসময় মনকে পবিত্র রাখুন।এই বিষয়গুলো মেনে চললে চিরতরে আপনি ব্রণ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আমাদের চলাফেরার ভুলের কারণে ব্রণের সমস্যা আমাদের অনেক ক্ষতি করে ।আসা করি আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।ধন্যবাদ।