আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমরা কথা বলব এমন ৭টি বৈশিষ্ট্য নিয়ে যা সকল বড় ব্যবসায়ী ও সফল ব্যবসায়ীদের জীবনে পাওয়া যায়।
১) সততা এবং নিষ্ঠা:
ব্যবসায়ের সাফল্য নির্ভর করে মূলত সততার উপর কারণ একজন ব্যবসায়ীকে সর্বদা বিভিন্ন পক্ষের সর্বদা ডিল করতে হয়, যোগাযোগ করতে এবং ভাল সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়। যদি সমস্ত দলের সাথে সততার সহিত
ভাল সম্পর্ক স্থাপন করা যায়,তাহলে খুব দ্রুত সুনাম অর্জন সম্ভব। তাই একজন ব্যবসায়ীকে কথা এবং কাজে অবশ্যই একই হতে হবে।
২) সময়নিষ্ঠতা: সময় ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান সম্পদ। তাই, অবশ্যই সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করতে হবে। ব্যবসায়ীদের সময় কে এত দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা উচিত যাতে অল্প সময়ে অনেক কাজ সমপন্ন হয়
৩) যথেষ্ট দক্ষ হতে হওয়া: পরিস্থিতি অনুযায়ী কী করা উচিত বা কোথায় কী বলা উচিত তা বুঝতে পারাকে সূক্ষ্ম শক্তি কৌশল বলা হয়।একজন ব্যবসায়ীকে সর্বদা পাইকারি ব্যবসায়ী,সরকার বা সরকারের নীতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এভাবে টিকে থাকতে ব্যবসায়ীকে কৌশলী হতে হবে।
৪)শারীরিক ও মানসিক শক্তি: প্রতিটি ব্যবসায়ীকে শারীরিক এবং মানসিক শক্তির অধিকারী হতে হবে। সেজন্য অবশ্যই শারীরিক শক্তি অর্জন করতে হবে।
দ্বিতীয়ত ব্যবসায়ীদের জন্য আর্থিক ঝুঁকির বাধাসমূহ পাড় করার মানসিক শক্তি থাকতে হবে। তাই ব্যবসায় সফল হতে প্রতিটি ব্যবসায়ীকে অবশ্যই সফল হতে শারীরিক ও মানসিক শক্তি থাকতে হবে।
৫) শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা:
বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। আধুনিক পৃথিবীর প্রকৃতি খুব জটিল। এরকম একটি পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীকে সঠিক দিকনির্দেশ দেওয়ার সাধারণ জ্ঞান থাকতে হবে। পাশাপাশি ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনাই অভিজ্ঞতা থাকা একটি অন্যতম গুন হিসাবে বিবেচিত হবে।
৬) কষ্ট এবং ধৈর্য: বর্তমান ব্যবসা প্রতিযোগিতায় পূর্ণ। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে উদ্যোক্তাদের অবশ্যই কষ্ঠ করার মনোভাব থাকতে হবে। ধৈর্য ধরতে হবে। এটি একজন সফল ব্যবসায়ীর কার্যকর বৈশিষ্ট্য হতে পারে।
৭) সার্ভিস প্রতিনিয়ত আপডেট করা:
আমরা জানি যে ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্যটি লাভ করা। তবে মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি সেবার মান ও উন্নয়ন করতে হবে। কিছু বিষয়ে নজরে রাখতে হবে যেমন, পন্যের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করা, পণ্য সরবরাহ, পণ্যগুলি ভেজাল নয় তা নিশ্চিত করা, পণ্যের দাম যেন সংকট সৃষ্টি না করে এবং সর্বোপরি একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা তৈরি করে বাজারে আসার আগে সার্বিক পর্যবেক্ষণ করা। এই আচরণ গুলো বিজনেস অনেক বেশি এগিয়ে যাবে, যা খুব দ্রুত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে।