অনলাইন থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ উপায় সমূহ 2021

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য আমরা নানা জায়গায় ছোটাছুটি করি। 10 বছর আগে অনলাইন থেকে ইনকাম অনেক কঠিন ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে ইনকাম অনেকটা সহজ। এমনও অনেক লোক রয়েছে যারা অনলাইন থেকে ইনকাম করে তাদের ক্যারিয়ার চালাই।

আপনিও চাইলে অনলাইন থেকে ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন আজ থেকেই। অনলাইন থেকে ইনকাম করার নানা রকম মাধ্যম রয়েছে।আপনাদের জন্য আজকে খুব জনপ্রিয় এবং সহজ কিছু উপায় সমূহ নিয়ে আজকে হাজির হয়ে গেলাম আমি। তাই আশা করি উপায় সমূহ জানার আগ্রহ থাকলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় সমূহ 2021

ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম?

ফেসবুক থেকে ইনকাম: ফেসবুক হল সারা বিশ্বের যোগাযোগের সবচেয়ে বড় মাধ্যম। আমরা চাইলে ফেসবুকে সারা বিশ্বের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারি। ফেসবুক সারা বিশ্বের খোঁজখবর ও যোগাযোগ করার জন্য সেরা প্ল্যাটফর্ম। আপনিও হয়তো ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন কি তাইনা? হ্যারে ভাই আমি নিজেও তো ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

ফেসবুকে আমরা দেখি নানারকম গ্রুপ অথবা পেজ রয়েছে। এমনকি ফেসবুক ভিডিও একটা সেকশন হয়েছে। এই ভিডিও সেকশনে আহাজার ধরনের ভিডিও রয়েছে। আপনারা কি জানেন এই ভিডিও গুলো কোথা থেকে আসে? আপনার আমার মতো বিভিন্ন ধরনের লোকেরা এ ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করে।

ফেসবুক এত ভিডিও আপলোড করে তাতে কি লাভ? আপনি কি জানেন তারা ভিডিও আপলোড করে ফেসবুক থেকে ইনকাম করছে? হ্যাঁ ভাইরে আপনি ঠিকই শুনেছেন ফেসবুক থেকে তারা ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করে।তাই আপনিও চাইলে অনলাইনে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

  • সাধারণত তারা ফেসবুক একটা পেজ তৈরি করে এই পেজ এ ভিডিও আপলোড করে । আপলোড করার পর তারা মনিটাইজেশন অন করে ইনকাম করে। আপনিও যদি ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম শুরু করতে চান তাহলে, শুরু করতে পারেন। ফেসবুক থেকে ইনকাম করার বেশ কিছু শর্ত রয়েছে।এই শর্তগুলো পূরণ করতে পারলে আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
  • ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম এর শর্ত: ফেসবুক থেকে ইনকাম করার শর্ত হল আপনার পেজে দুই মাসের ভিতরে 10 হাজার ফলোয়ার, এবং তিরিশ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম। এবং আপনার আপলোডকৃত ভিডিও প্রতিটা তিন মিনিট এর ওপরে। এই শর্তগুলো পূরণ করলে আপনি তাদের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
  • অর্থাৎ শর্তগুলো পূরণ হলেই আপনি মনিটাইজেশন এপ্লাই করতে পারেন। মনিটাইজেশন অ্যাপ্রুভ হলে আপনি ইনকাম ফেসবুক পেজ থেকে শুরু করতে পারেন। তবে শুরুর দিকে আপনার অনেকটা পরিশ্রম ও কষ্ট করতে হবে। যদি আপনি না পারেন তাহলে বারবার চেষ্টা করতে থাকুন।
  • দেখবেন চেষ্টা করতে করতে এক সময় আপনি সাকসেস হয়ে যেতে পারবেন। আর একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখবেন, সেটা হল ফেসবুকের নিয়ম নীতি ও গাইড লাইন রয়েছে ইনকাম করার জন্য। আপনি যদি সত্যিই ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে তাদের নিয়ম নীতি ও গাইডলাইন মেনে কাজ করবেন।

শুরুতেই যেমন সম্পূর্ণ গাইড লাইন ও নিয়ম-নীতি মেনে কাজ করবেন এবং শেষ পর্যন্ত তাদের নিয়ম-নীতিগুলো মেনে কাজ করবেন। আশা করি তাহলে আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করে নিতে পারেন ইচ্ছামত। যাই হোক ফেসবুক থেকে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন তাহলে খুব সহজেই তাইনা?

ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনে ইনকাম?

ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম: আপনি হয়তো আমার এই আর্টিকেলটি একটি ওয়েবসাইটে দেখতে পারছেন। আপনি কি জানেন এই ওয়েবসাইট থেকেও ইনকাম করা হয়? হ্যাঁ এই ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম হচ্ছে। কিন্তু কীভাবে ইনকাম হচ্ছে? আমার এই আর্টিকেলটি আপনি দেখছেন এই কারণেই ইনকাম হচ্ছে।

  • আজ থেকে কয়েক বছর আগে হয়তো বা ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করা অনেক কঠিন ছিল। তবে বর্তমান যুগে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম অনেক সহজ।আপনিও চাইলে খুব সহজেই ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম সারা বিশ্বের লোক করে থাকে। তো আপনি কেন পারবেন না সেট থেকে ইনকাম করতে।
  • এমনকি আপনি চাইলে ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট খুলে নিতে পারবেন বর্তমান সময়ে। ব্লগস্পট নামক ওয়েবসাইট থেকে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রীতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন বর্তমানে। তারপর আপনি চাইলে সেখান থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন। ওয়েবসাইট থেকে নানারকম উপায়ে ইনকাম করা যায়।
  • যেমন আপনি ওয়েবসাইটে এমন কোনোকিছু রাখলেন যেটা মানুষের দরকারি প্রয়োজন ও জানতে চাই। এই ধরনের কোন একটা উদ্দেশ্য নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি ইনকাম করতে পারেন।আপনার ওয়েবসাইটে অবশ্যই এমন কিছু রাখবেন যেটা মানুষের অনেক দরকারি মানুষ চাই। তাহলে আপনার ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত ভিজিট হবে এবং আপনি খুব সহজেই আপনার ইনকাম শুরু করতে পারবেন।

এই ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করে হাজারো বাংলাদেশী লোক নিজের ক্যারিয়ার চালায়। ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করে তারা এক্সট্রা কোন জব করতে হয়না নিজের সংসার চালাতে। এমনকি তারা লক্ষাধিক টাকার উপরে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারে। তাহলে আপনি কেন নন পারবেন ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে। অনলাইন থেকে ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম করার মাধ্যম টা খুবই জনপ্রিয়। আপনি চাইলে অনলাইন থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে অনলাইন থেকে ইনকাম?

ইউটিউব থেকে ইনকাম: আমাদের চাহিদা অনুযায়ী সকল ধরনের ভিডিও আমরা ইউটিউবে পেয়ে যাব। আপনি যে ধরনের ভিডিও চান সে ধরনের ভিডিও ইউটিউবে পেয়ে যাবেন। ইউটিউবে হাজার হাজার রকমের ভিডিও রয়েছে। আপনি কি জানেন এই ভিডিও কোথা থেকে আসে? আপনার এবং আমার মত লোকেরাই এই ধরনের ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে।

আপলোড করে তাদের লাভ হলো তারা ইনকাম করতে পারেন। হ্যাঁ ভাই আপনি এবার ঠিকই শুনেছেন। ভিডিও আপলোড করে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়। আপনিও চাইলে খুব সহজেই ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন। ইউটিউবে ইনকাম করার জন্য নানারকম উপায় রয়েছে।

ইউটিউবে কিভাবে ইনকাম শুরু করবেন: ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে ইউটিউবে। তার জন্য আপনার একটি জিমেইল একাউন্টে প্রয়োজন হবে সাইন ইন করার জন্য। শাহিন হয়ে গেলে আপনি একটা চ্যানেল খুলে ফেলবেন ইউটিউবে। তারপর ওই চ্যানেলে মানুষের প্রয়োজনীয় দরকারি ও উপকারী ভিডিও আপলোড করবেন।

  • যেন তারা আপনার ভিডিওগুলো দেখে।যদি  আপনার ভিডিও  দেখে তাহলে আপনি ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউবে ইনকাম শুরু করার জন্য বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। এই শর্তগুলো পূরণ করেই আপনি আপনার চ্যানেল মনিটাইজেশন অন করে ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউবে ইনকাম এর শর্তসমূহ: গত 12 মাসের ভিতরে আপনার চ্যানেলে 1000 সাবস্ক্রাইব আনতে হবে। এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম দেখাতে হবে। এই শর্ত পূরণ করে আপনি খুব সহজেই মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। অর্থাৎ তাদের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

  • ইউটিউব পার্টনার প্রগ্রামে যুক্ত হয়ে আপনি ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার আবেদনটি তারা যদি এপ্রুভ করে তাহলে আপনার ইনকাম শুরু হবে। বর্তমানে নানা রকম ভুল করার কারণে ইউটিউবে আমাদের মনেটিজেশন এনাবল হয় না। কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ হলো।
  • তাদের নিয়ম ভঙ্গ করে কাজ করা। অর্থাৎ ইউটিউবে ইনকাম করার নিয়ম নীতি ও গাইড লাইন রয়েছে, সেগুলো আমরা না মেনে কাজ করার কারণেই মনেটিজেশন এনাবল হয় না। আর আপনার যদি মনিটাইজেশন এনাবেল না হয় তাহলে আপনি কিভাবে ইনকাম শুরু করবেন? তাই আপনি যদি ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই তাদের নিয়ম নীতি ও গাইডলাইন মেনে কাজ করবেন।

ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য তাদের নিয়ম নীতি ও গাইডলাইন মেনে কাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার একটা ভুলের কারণে আপনার মনিটাইজেশন হারাতে পারেন। তাই কাজ শুরু করার পূর্বে থেকেই তাদের নিয়ম-নীতি ও গাইডলাইন মানতে শুরু করুন। যদি না পারেন তাহলে বারবার চেষ্টা করতে থাকুন। দেখবেন চেষ্টা করতে করতে এক সময় আপনি সাকসেস হয়ে যেতে পারবেন।

তাই আপনারা চাইলে অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য ইউটিউব এ কাজ করতে পারেন। তবে কাজ করার জন্য অবশ্যই তাদের নিয়ম নীতি ও গাইডলাইন মেনে কাজ করবেন আশা করি।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে আয়?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনারা হয়তো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কথা শুনে থাকতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল সারা বিশ্বের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম ইনকাম করার জন্য। হাজার হাজার লোকেরা এই পদ্ধতি অবলম্বন করে অনলাইন থেকে ভালো পরিমাণে ইনকাম করছে।

  • আপনিও চাইলে আপনার ইনকাম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে শুরু করতে পারেন। অ্যাপলেট মার্কেটিং হল: বড় একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে।তাদের কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো উন্নতির কাছে শেয়ার করে বিক্রি করা। হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই শুনেছেন এই সহজ কাজটি হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
  • আপনারা চাইলেই যে কেউই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে বেশ ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যেখানে যুক্ত হবেন সেখানে একটি লিংক দিবে। এই লিঙ্কে ক্লিক করে যত লোক তাদের পণ্য অর্ডার করতে থাকবে ততো আপনার ইনকাম হবে। প্রত্যেকটা পণ্যের জন্য আলাদা আলাদা কমিশন আপনার একাউন্টে জমা হবে।
  • নির্দিষ্ট পরিমান অ্যামাউন্ট জমা হলেই আপনি খুব সহজেই টাকা উত্তোলন করে নিতে পারবেন।অনলাইন থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ এর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়। তাই আপনারাও আজ থেকেই শুরু করে দিতে পারেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
  • সারা বিশ্বের মধ্যে জনপ্রিয় মধ্যে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম। আপনারা তাদের সাথে যুক্ত হয়ে খুব সহজেই তাদের প্রোডাক্ট গুলো অন্যদের কাছে শেয়ার করে, বিক্রি করে আপনি কমিশন হিসেবে পাবেন ডলার।এই ডলারগুলো একটা নির্দিষ্ট পরিমান অ্যামাউন্ট হয়ে গেলে সে টাকা সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।

তাই দেরি না করে আজ থেকে শুরু করে দিন যদি আপনার ইচ্ছা থাকে তাহলে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হল: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম।

অ্যাপ ডেভলপার হয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম?

অ্যাপ ডেভলপার: আপনারা হয়তো প্লে স্টোরে নানা ধরনের অ্যাপ্লিকেশন দেখেছেন। এমনকি প্লে স্টোরে গেম পর্যন্ত ডাউনলোড করে খেলেছেন। কি তাইনা? হ্যাঁ প্লে স্টোরে আমরা ইচ্ছামত চাইলে অ্যাপ্লিকেশন পেয়ে যাব। আপনি কি জানেন অ্যাপ্লিকেশনগুলো কোথা থেকে আসে?

  • এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো আপনার আমার মত হাজার হাজার লোকেরা প্লে স্টোরে পাবলিশ করে। প্লে স্টোরে পাবলিশ করে তাদের কি লাভ? প্লে স্টোর থেকে পাবলিশ করে তাদের লাভ হল ইনকাম করা। হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই শুনেছেন প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ্লিকেশন পাবলিশ করে ইনকাম করা যায়। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য এই উপায়টি অন্যতম।
  • আপনি যদি ভাল ডেভলপার এর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন প্লে স্টোরে দিয়ে। হাজার হাজার ডলার অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন। এমন অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করার চেষ্টা করবেন যে অ্যাপ্লিকেশনগুলো মানুষের দরকারে প্রয়োজন মানুষ চাই। তাহলে আপনি প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ্লিকেশন পাবলিশ করে আনলিমিটেড আয় করতে পারবেন।

প্লে স্টোরে হাজার-হাজার লোকেরা লক্ষ লক্ষ অ্যাপ্লিকেশন পাবলিশ করে টাকা ইনকাম করছে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে তাদের সংসার চালাতে কোন সমস্যা হয় না অনেকে আছে। তাই আপনিও চাইলে করতে পারেন, প্লে স্টোরে অ্যাপ্লিকেশন পাবলিশ করে অনলাইন থেকে ইনকাম।

অনলাইনে ই-কমার্স সাইট তৈরি করে ইনকাম?

ই-কমার্স সাইট: আপনি হয়তো ই-কমার্স সাইট দেখেছেন। বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় শাকসবজি খাওয়া-দাওয়া করার রেসিপি বা প্রয়োজনীয় প্রোডাক্টগুলো। এই দরকারি সব প্রয়োজন ই-কমার্স সাইটে থাকে। এবং এই ই-কমার্স সাইটে প্রতিনিয়তঃ অনেক মানুষ তাদের পণ্যগুলো অর্ডার করে।

আপনিও চাইলে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুলে ইনকাম করতে পারেন। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে সেরা মাধ্যম এর মধ্যে একটি মাধ্যম হলো ই-কমার্স সাইট থেকে ইনকাম। পণ্য বা প্রোডাক্ট যদি আপনার না থাকে তাহলে আপনার আশেপাশের লোকের থাকতে পারে।তার সাথে আপনি চুক্তি করে এখনি একটি ই-কমার্স সাইট খুলে নিতে পারেন।

  • ই-কমার্স সাইটে ইনকাম শুরুটা একটু কষ্ট হলেও পরবর্তীতে এর ফলাফল পাবেন ভালো আশা করি। আপনার সাইটটি যদি মানুষের দরকারি প্রয়োজনীয় হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে ইনকাম হবে। একদিকে আপনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারছেন। অন্যদিকে আপনার পণ্যগুলো বিক্রি করে ইনকাম হচ্ছে।
  • তাই আপনারা চাইলে এই কাজটি খুব সহজেই করতে পারবেন একটি ই-কমার্স সাইট খুলে। হাজার হাজার লোকেরা ই-কমার্স সাইট খুলে আসে এবং কাজ করছে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে। ই কমার্স সাইট থেকে প্রতিমাসের লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা অসম্ভব কিছু নয়। তাই আপনিও চাইলে এই কাজটি করতে পারেন।

যদি আপনি না পারেন তাহলে বারবার চেষ্টা করতে থাকুন একসময় দেখবেন সব কিছু সহজ হয়ে যাবে। তারপর আপনি খুব সহজেই নিজের ইচ্ছাকৃতভাবে কাজ করতে চাইবেন না। তাই আপনি চাইলে অনলাইন থেকে ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন খুব সহজে।

ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম?

ফ্রিল্যান্সিং: এখন বাংলাদেশকে চিনে না এমন কোন দেশ পাওয়া মুশকিল। বাংলাদেশ আজকে এত জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম কারণ হলো ফ্রিল্যান্সার এর জন্য। আজ বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে ফ্রিল্যান্সাররা। এমনকি তারা ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সার বেছে নিয়েছে।

আজ ফ্রিল্যান্সার করে তাদের অন্য এক্সট্রা কোন জব করতে হয়না সংসার চালাতে।এমনও বাংলাদেশি অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যাদের মাসিক ইনকাম দশ লাখের উপরে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্য। আপনিও চাইলে আপনার ক্যারিয়ার অথবা ইনকাম টা ফ্রিল্যান্সার হয়ে শুরু করতে পারেন।তবে ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য বেশকিছু দক্ষতা আপনার মধ্যে থাকতে হবে।

ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য দক্ষ:আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই বেশ কিছু দক্ষ আপনার ভিতরে থাকতে হবে। যেমনগ্রাফিক্স ডিজাইনিং (Graphics Design), হতে পারে ফটো এডিটিং (Photo Editing), হতে পারে ওয়েব ডিজাইনিং (Web Design), ওয়েব সাইট মেকিং (Website Making), কপি রাইটিং (Copywriting), কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing), লোগো ডিজাইন (Logo Design), ইত্যাদি।

এই দক্ষতার যেকোনো একটি দক্ষ হয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। যদিও প্রথম প্রথম আপনাকে অনেক কষ্টের সম্মুখীন হতে হবে। তবে দেখবেন পরবর্তীতে এক আজকে আপনি ছাড়তে চাইবেন না এতটা সহজ হয়ে যাবে।ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি চাইলে প্রতি মাসে লাখ টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন।লানসিং করার জন্য নানারকম জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলো হল freelancer.com, upwork.com, fiber.com ইত্যাদি।আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইট গুলোতে করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটগুলো বিশ্বের সেরা ওয়েবসাইট ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য। তাই আপনারা অনলাইনে ইনকাম করার জন্য ফ্রিল্যান্সারকে বেছে নিতে পারেন।

পরিশেষে বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি এই পর্যন্তই।আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।আর কেমন লাগলো আজকের আর্টিকেলটা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানান এখনই। আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আর আপনারা যারা সত্যিই অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় সমূহ খুঁজছেন, তারা উপরের পদ্ধতি অবলম্বন করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।

আমি চেষ্টা করেছি সবকিছু সহজ ভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। কোথাও কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করবেন আমি সাহায্য করার চেষ্টা করব। যাই হোক দেখা হবে অন্যান্য আর্টিকেলে আবার। সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা করে আজকের আর্টিকেলটি এখানে শেষ করছি,,, আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।

Related Posts