জ্বিবনে চলতে গেলে আপনাকে অনেক বাধা বিপত্ত্বি পেরিয়েই সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে চোলতে হয়। আজ আমি আপনাদের জন্য এমন একটি আইডিয়া নিয়ে কথা বলবো, কিভাবে আপনি ২০ ০০০/- টাকায় ব্যবসা করে মাসে ৫০ ০০০/- টাকা আয় করবেন। দেখুন, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় আমাদের বিবেক কাজ করে যে আমি মাস্টার্স পাস করা ছেলে/মেয়ে কেন ব্যবসা করবো?
আমি পরালেখা শেষ করেছি এখন ভালো চাকুরি করবো। আর এই চাকুরীর পেছনে ছুটতেই অনেক ছেলে/মেয়ে তাদের মূল্যবান সময় পার করে বেকার বলে নিজেকে সমাজের কাছে তুলে ধরছেন তাই নয় কি? এর পরেও খোজ নিয়ে দেখুন কতজন ব্যক্তি সরকারি চাকুরীতে যোগ দিচ্ছেন? ৫ % ব্যক্তি সরকারি চাকুরী পায়, আর শতকরা ৯৫ % ব্যক্তিই বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মে যোগ দিচ্ছেন তাই নয় কি?
আসুন এবার তাহলে সাধারন বিবেকের কাছে প্রশ্ন করি আমরা ব্যবসা করছি কিন্তু ভিন্নভাবে নিজের পরিশ্রম মেধা খরচ করে লাভোবান করে দিচ্ছি বড় বড় প্রতিষ্ঠানকে, বিনিময়ে মাস শেষে আমরা নিচ্ছি সামান্য কিছু বেতন, এর পরেও কিছু ব্যক্তি বলবেন তার পরেও তো এটা চাকুরী তাই নয় কি? আমিও বলবো চাকুরী তো চাকুরীই।
মনে রাখবেন মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তালা চাকুরীর মাঝে ১ % বর্কত রেখেছেন, আর ব্যবসার মাঝে ৯৯ % বর্কত দিয়েছেন। কাজেই আমাদের বিবেকের কাছে জিম্মি না হয়ে, সমাজ কি বলবে এই কথা না ভেবে এখনি আপনারা আমার এই ছেটো আইডিয়া টি কাজে লাগিয়ে ব্যবসায় নেমে পরুন, দেখবেন সফলতা আসতে বেসি দেরি হবে না।
মনে রাখবেন ব্যবসায় সফল হতে আপনার দরকার সঠিক উদ্দ্যোগ ও সুচিন্তিত পরিকল্পনা । কোন কাজকে ছোট নজরে না দেখে এগিয়ে যান নিদিষ্ঠ লক্ষ্য নিয়ে সফলতা আসবে নিশ্চিত। হাঁ এবার ব্যবসার কথায় আশাযাক, আমি আপনাদেরকে ভ্রাম্মমান কাপরের ব্যবসার কথা বলবো, এখন হয়তো বলবেন এত কম পুজিতে এই ব্যবসা করা সম্ভব নয় তাই না?
আমি বলবো যদি আপনি বিবেকের কথা না ভেবে, সমাজের কথা না ভেবে, পরিবরের সুখসান্তির কথা চিন্তা করে একনিষ্ঠভাবে নিজ উদ্দ্যোগে ব্যবসাটি সুরু করেন তাহলে এই সামান্য টাকা দিয়েই এই ভ্রাম্মমান কাপরের ব্যবসায় সফলতা সম্ভব। মনে রাখবেন আপনার কাজে বাধা দেয়ার জন্য যথেষ্ট ব্যাক্তি পাবেন, কিন্তু একটি কাজ খুজে দেবার জন্য/ একবেলা খাবার যোগার করে দেবার জন্য কেউই এগিয়ে আসবে না । কাজেই সকল বিবেক ও সমাজের মানুষের কথাগুলোকে গোপন পকেটে রেখে দিয়ে আপনি সামনের দিকে এগুনোর জন্য এই ব্যবসা শুরু করুন।
আসুন ব্যবসাটি সুরু করা যাক: প্রথমে আপনি স্থানীয় বাজার থেকে একটি পুরাতন পায়ে চালিত চলমান ভ্যান কিনে নিন, এর পরে আপনার জেলায় পাইকারী কাপরের দোকান খুজে বের করে ওখান হতে মেয়েদের থ্রি পিস, ওরনা, শারী, ছেলেদের টি-শার্ট, লুংঙ্গি, বাচ্চাদের পোশাক, টাওজার প্যান্ট, এই কয়টা পন্যই ১০টা ৫টা করে ২০ ০০০/- (বিশ হাজার) টাকার মধ্যে কিনে নিয়ে ভ্যান সাজিয়ে সকাল ৮ টা হইতে বিকেল ৬ টা পর্জন্ত ঘুরবেন এই উদ্দ্যেশে বের হয়ে পরুন স্থানীয় হাট বাজারে, লোক সমাগম স্থানে, গ্রামের লোক সমাগম হয় এমন বিভিন্ন মোড়ে গিয়ে দাাঁড়ান।
এবার দেখবেন মানুষ নিজে থেকেই এগিয়ে এসে আপনার পন্যগুলো দেখে কিনে নেবে, এবার আপনার কেনা দাম হতে কিছু লাভ করে বিক্রয় করে দিন। প্রথম অবস্থায় ভালো মানের পন্য একটু কম লাভে ছেরে দিন দেখবেন আপনার পন্যর চাহিদা বারবে। এই ভাবে অনা-আসেই আপনি প্রতিদিন এই ভ্রাম্মমান কাপরের ব্যবসা করে একটি স্থানীয় কাপরের দোকান হতে বেসি কাপর সেল করতে পারবেন। এবং প্রতিদিন মিনিমাম ২০০০/-(দুই হাজার) টাকা লাভ হবে এতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। প্রতিদিন ২০০০*৩০ দিনে ৬০ ০০০/-(ষাট হাজার) টাকা সেল করতে পারবেন।
এখন আপনি বলুন চাকুরী করলে আপনি কতটাকা বেতন পেতেন? ১০/২০ হাজার টাকা হয়তো অতিরিক্ত হলে ৩০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন তাই নয় কি? আর চাকুরীর নিয়োম মেনে চলা ভিষন কষ্টদায়ক বাধাধরা একটি নিয়োমের মধ্যে থাকতেই হবে, অন্যথায় চাকুরী চোলেযাবার ভয় রয়েছে।
আর এই ব্যবসার সাধিনতা আপনার হাতেই শিমাবদ্ধ্, আপনি সাধিন । কাজেই আমার মনে হয়েছে এই আইডিয়া টি আপনি প্রয়োগ করলে সফল হবেন । তবে ব্যবসার সুরুতে সু-চিন্তিত একটি লক্ষ্য ও পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, সফলতা আপনার হাতেই। আপনি সুন্দর ভাবে এই পোষ্ট বুঝে পরার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি পরবর্তিতে নতুন কোন আইডিয়া নিয়ে আপনাদের মাঝে আবার উপস্থিত হবো এই প্রত্যাসায় আপনাদের মধ্যহতে এখনকার মতো বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ। আল্লাহ আপনাদের সকলের সহায় হোন।