আসসালামুয়ালাইকুম, ছোট প্রাণীর দিক দিয়ে সবচেয়ে ভেড়া পালনে লাভবান । কারন এটি আমাদের সকল ধরনের পশুপাখির মাংসের চেয়ে অনেক বেশি মজাদার । এজন্য এই ভেড়ার মাংসের দাম ও বেশী, এবং এতে রয়েছে সকল পশুপাখির দুধের চেয়ে সবচেয়ে বেশি পূষ্টি । এর কারণ হলো মায়ের বুকের দুধে, গাভীর দুধের, মহিষের দুধে মধ্যে ভিটামিনের ও উপাদানের আলাদা আলাদা অনেক পার্থক্য রয়েছে । কিন্তু এখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো এইযে বিভিন্ন পৃথক ভিটামিন উপাদানের দুধের যে আলোচনা করলাম, এর সকল উপাদানের সকল ভিটামিন একসাথে একত্রে এই ভেড়ার দুধে পাওয়া যায় ।
এ কারণেই ভেড়ার দুধে সবচেয়ে বেশি পুষ্টি । এবার ভেড়ার লোম নিয়ে আলোচনা করা যাক । জানা যায় আমাদের দেশে শুধুমাত্র একজন মানুষ আছে ভেড়ার লোমের সাহায্যে কম্বল তৈরি করে থাকে । কিন্তু বাহিড়ের দেশে উৎপাদনের চাহিদা অনেক বেশি । আমাদের দেশে ভেড়ার লোম দিয়ে কম্বল বা পোশাক তৈরি না করার কারণ হলো এই ভেড়ার লোম দিয়ে কম্বল ও পোশাক তৈরি অনেক পরিশ্রমের কাজ, প্রচুর খাটুনি বিধায় এ কাজের শ্রমিক নেই ।
তবে আমাদের দেশে এই ভেড়ার লোম থেকে কম্বল বা পোশাক তৈরির ঐতিজ্য ধরে রাখার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । বর্তমান সময়ে একটি ভেড়া থেকে বছরে প্রায় দুই থেকে তিনবার ভেড়ার লোম কাঁটা যায় । ভেড়া পালনের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে ভেড়ার বুকের লোম প্রতিনিয়ত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে । বুকের লোম পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না রাখলে বুকের লোমে জট বেঁধে যাবে । এই জট বাঁধা অংশ সাধারণত আমাদের দেশে কাজে লাগে না ।
যদিও এই জট বাঁধা অংশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারের পুযোক্তি আছে । ভেড়ার লোম কাঁটার সময় লক্ষ্য রাখবেন, যে কাঁচি দিয়ে ভেড়ার লোম কাটবেন, সে কাঁচির সুচালো দুই মাথা ভোঁতা করে নিবেন । এর ফলে আপনার ভেড়ার লোমের নিচের চামড়া কেটে যাবে না । ভেড়ার চামড়া নিরাপদ থাকবে । প্রতিবার প্রায় ২০০ গ্রাম করে লোম সংগ্রহ করা যায় । এর মানে এক বছরে তিনবার ভেড়ার লোম সংগ্রহ করলে ২০০+২০০+২০০= ( ৬০০ গ্রাম ) পাওয়া যায় ।
বর্তমান সময়ে ভেড়ার লোম ১ কেজি = ৬০০ টাকা । তবে আমাদের দেশে এই কম্বলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হলে এই ভেড়ার লোমের মূল্য আরো বেরে যাবে । ভেড়া পালনে আরো লাভজনক বিষয় হলো এটি বছরে দুইবার বাচ্চা দিয়ে থাকে । সাধারণত একটি ভেড়া বছরে চারটি থেকে আটটি বাচ্চা দিয়ে থাকে । ভেড়া পালনে আরো সুবিধা হলো ভেড়া একই ধরনের ঘাস দির্ঘ লম্বা সময় ধরে খেয়ে থাকে । ভেড়া সকল প্রাণীর চেয়ে সান্ত সিষ্ট । এরা সব প্রানীর চেয়ে ডাকাডাকি ও আওয়াজ কম করে থাকে ।
পশুপাখি পালনে অবস্যই মাঝে মাঝে পশুপাখিকে গোছল করাবেন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ।