তথ্য প্রযুক্তিতে যেভাবে ক্যারিয়ার শুরু করবেন:

আপনি যদি ডিজিটাল সবকিছু পছন্দ করেন,তথ্যপ্রযুক্তি বা আইটি আপনার জন্য উপযুক্ত ক্যারিয়ার হতে পারে।আইটি পেশাদার হিসেবে আপনি কম্পিউটার ডিভাইস,মোবাইল,Network,ওয়েবপেজের সাথে কাজ করতে পারেন।এখনকার যুগে এর ক্ষেত্র বিশাল। তা আপনারা অবশ্যই জানেন। আপনি আইটিতে প্রবেশ করতে চান, কিন্ত কিভাবে এগোবেন জানা নেই, তাহলে এই পোসট আপনার জন্যই। এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাকে কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো কিভাবে আপনি এই ক্ষেত্রে নিজেতক যোগ্য করে তুলতে পারবেন।

  1. আইটিতে কাজ করার জন্য কিকি যোগ্যতা লাগবে?

আপনার যদি স্নাতক ডিগ্রি থাকে, তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রই আপনাকে পছন্দ করবে।Technology, Computer Science বা অন্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত ডিগ্রি প্রোগ্রামের মতো একটি প্রধান কিছু র্নিবাচন করুন। অবশ্যই স্বীকৃত কলেজ থেকে 4 বছরের ডিগ্রি প্রাপ্ত হতে হবে। অবশ্যই আপনাকে প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকতে হবে। বাস্তব জগতে তা প্রযোগ করার দক্ষতা আপনার অবশ্যই থাকতে হবে।

আপনি যখন অধ্যয়নরত অবস্থায় থাকেন,তাহলে কিছু র্কোস গুলিতে ফোকাস করুন, যা আপনার নলেজকে অনেকাংশে বৃদ্ধি করবে।যেমন: Python,HTML,Flack, Asana, Salesforce

2. ডিগ্রি ছাড়া আইটির কাজ পেতে পারেন কিনা?

আপনাকে অবশ্যই র্সািটফিকেট প্রাপ্ত হতে হবে। আইটি ক্ষেত্রে একটি এন্ট্রিলেভেল অবস্থান পেতে পারেন, তখনই যখন আপনি সার্টিফিকেশন পরীক্ষা পাশ করতে পারে।বেছে নেওয়ার জন্য প্রযুক্তিগত সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম আছে। আপনার ইতিমধ্যে থাকা জ্ঞান এবং আপনি যে ক্যারিয়ারের পথ আনুসরণ করতে চান,তার সাথে মেলে এমন একটা সন্ধান করুন।

শুরু করার জন্য একটি হেল্পডেস্ক কাজ পাওযার চেষ্টা করুন:

আনেক লোক গ্রাহক সেবার জন্য আইটিতে কাজ করে থাকে,এখানেই তাদের কর্ম্ জীবন শুরু করে।কিছু কিছু ক্ষেত্র আছে যেখানে স্নাতক অবশ্যই প্রযোজন আছে। আবার কোন ক্ষেত্রে আছে যাতে শুধুমাত্র কলেজ স্তরের কম্পিউটার ক্লাস নেওয়ার জন্য প্রয়োজন হতে পারে।

সেখান থেকে আপনি Network Administrator হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন।বা অন্যান্য আইটি অবস্থানে কাজ করার যোগ্যতা পেতে পারেন।

3.আপনার আইটিতে কাজ করার জন্য কেমন ব্যক্তিগত যোগ্যতা থাকতে হবে?

আপনাকে অবশ্যই প্রযুক্তিকে ভালবাসতে হবে।পরিবর্তনের সাথে নিজেকে মানাতে হবে। অবশ্যই নিজেকে যুগোপযুগী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

আপনি যদি আইটিতে কাজ করতে চান,তবে আপনার কম্পিউটারের সাথে কাজ করা অবশ্যই উপভোগ্য করা উচিত। সেটা প্রোগ্রামিং নেটওর্য়াক হতে পারে বা ওয়েবসাইট তৈরী করা।প্রতিদিন আইটিক্ষেত্র প্রকাশিত হচ্ছে।তাই আপনাকে অবশ্যই যুগোপযুগী হতে হবে। আপনি প্রাতিদিন কিছু না শিখবেন, সেইজন্য আপনাকে আপডেট হতে হবে। আর আপনি যাদের সাথে কাজ করবেন. তাদের সাথে প্রাতিনিয়ত আপনাকে যোগাযোগ রাখতে হবে।

4.তথ্য প্রযুক্তিতে কিকি ক্যারিয়ার আছে?

আইটি শিল্পে বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে। একজন আইটি কর্মী হিসাবে, আপনি গ্রাহক সহায়তায় কাজ করা বা ডাটাবেস বা নেটওয়ার্ক পরিচালনা করার মতো কাজগুলি শুরু করতে পারেন।আপনি যদি অভিজ্ঞতা অর্জ্ন রেতে পারেন,তবে সফটওয়্যার,ওয়েবসাইট তৈরি, Network Administrator, Computer Network Administratior, তথ্য সুরক্ষা বিশ্লেষক হিসাবে কাজ করতে পারেন।

আপনি যদি কোডিং এর উপর বেশি ফোকাস করেন তাহলে আপনি একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার, সফটওয়্যার ডেভেলপার বা ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পারেন।

আপনি যদি প্রযুক্তির অত্যাধুনিক বিষয়ে কাজ করতে চান তবে আপনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন এবং কম্পিউটার ও তথ্য গবেষণা বিজ্ঞানী হিসাবে কাজ করতে পারেন।

5. একটি সাধারণ আইটি চাকরির বেতন কী?

এ খাতে বেতন ও সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি প্রতিষ্ঠানভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে একজন ফ্রেশার বা এন্ট্রি লেভেলে মাসিক বেতন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো হতে পারে। এক-দুই বছরের অভিজ্ঞদের জন্য মাসিক ৫৫ থেকে ৮৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তিন-পাঁচ বছরের অভিজ্ঞদের মাসিক বেতন এক লাখ টাকার ওপরে হতে পারে। ৮-১০ বছরের অভিজ্ঞদের প্রতিষ্ঠানভেদে মাসিক বেতন দুই লাখ টাকা হতে পারে।

6) আইটি ক্ষেত্র কি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে?

হ্যাঁ, আগামী দশকে এই শিল্পের বিকাশ অব্যাহত রাখা উচিত।

আজ এই র্পযন্তই। আশা করি তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে আপনারা কিছু হলে ও জানতে পেরেছেন। যারা মুলত: এ বিষয় সম্পর্কে ধারণা কম, এই পোস্ট তাদের কিছুটা হলে ও উপকারে আসবে। সবাই ভাল থাকবেন। তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত আরো কিছু পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো।

Related Posts

25 Comments

মন্তব্য করুন