আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নিরাপত্তা বিষয়ক একটা পোস্ট করব। দিন যত বাড়ছে প্রযুক্তি তত উন্নত হচ্ছে। তার সাথে বাড়ছে প্রযুক্তির অপব্যবহার।
keylogger হ্যাকিং হচ্ছে কোন কিছু হ্যাক করার অনেক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমে। এটা ব্যবহার করে সহজেই আপনার সকল তথ্য হ্যাক হতে পারে । পোস্ট এর প্রথম অংশে বলন এটা কিভাবে কাজ করে। আর তারপর বলব এটা থেকে বাঁচার উপায়।
keylogger আপনার কিবোর্ড এর উপর সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। এটা আপনার মোবাইল ও পিসি তে কাজ করে। আপনি আপনার মোবাইল বা পিসি দিয়ে যা যা টাইপ করবেন সবকিছু হ্যাকার পেয়ে যাবে keylogger এর মাধ্যমে।
প্রায় ৮০% keylogger এর কাজ করা হয় সফটওয়্যার এর মাধ্যমে। অনেক সময় নিজে নিজে কিছু আননুন সফটওয়্যার আপনার মোবাইল এ নিজে নিজে ইনস্টল হয়ে যাবে। এগুলো আপনার সকল তথ্য হ্যাকার এর কাছে পৌঁছে দিবে।
কিছু কিছু সময় আমরা ওয়েবসাইট ভিজিট করলে অনেক কিছু এলাও করতে হয়। অনেক সময় বাধ্য হয়ে করতে হয়। এমন সত্য থাকে যে আপনি যদি পরবর্তী পেজ এ যেতে চান অ্যাপ টা ডাউনলোড করুন। অথবা আপনি যদি পরবর্তী পেজ এ যেতে চান এটা এলাও করুন। এগুলো করলে আমাদের মোবাইল বা পিসি keylogger এ আক্রান্ত হতে পারে।
আবারো অনেক সময় হার্ডওয়্যার এ ও keylogger ব্যবহার করা হয়। এগুলো বেশি করা হয় পিসিতে। মনে করেন আপনি অনেক কালারফুল একটা কিবোর্ড ব্যবহার করছেন। বা সুন্দর একটা পেনড্রাইভ ব্যাবহার করছেন। কিন্তু এটাতে কি লগার আছে কিনা আপনি জানেন না।
এভাবে আপনি keylogger এ আক্রান্ত হতে পারেন। এটার কাজ এর পদ্ধতি টা একটু সুন্দর ভাবে বলা যাক। মনে করেন আপনি বিকাশ অ্যাপ অপেন করছেন। তারপর নাম্বার ডায়াল করছেন তারপর পাসওয়ার্ড দিচ্ছেন।
- এই সবগুলো তথ্য keylogger হ্যাকার এর সামনে সুন্দর ভাবে পৌঁছে দিবে। এবং সে সহজে একাউন্ট হ্যাক করতে পারবে। হার্ডওয়্যার এ ও একই পদ্ধতি তে keylogger কাজ করে।
এখন আশি keylogger হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায়। এটা থেকে বাঁচার জন্য সবার প্রথম এ আমাদের অপ্রয়োজনীয় বা কোন ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেক সময় পপুলার ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা যেতে পারে। কিন্তু হঠাৎ করে কোন ওয়েবসাইটে ডোকে অ্যাপ ডাউনলোড করতে যাবেন না।
এরপর হচ্ছে কোন ওয়েবসাইটে যদি কোন কিছু এলাও করতে বা কোন স্ক্রীপ ডাউনলোড করতে জোর করে এটা করা যাবে না। এটা অনেক সময় আপনার তথ্য হ্যাকিং এর কারন হতে পারে।
সর্বশেষ হার্ডওয়্যার এর ব্যবহার ক্ষেত্রে ও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সব সময় ভালো বেন্ড এর হার্ডওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।
এসব বিষয় এর প্রতি একটু লক্ষ রাখলে আপনার তথ্য হয়তো হ্যাক হওয়া থেকে বেঁচে যাবে। আজকের পোস্ট এই পযন্ত। ভালো থাকবেন সবাই আল্লাহ হাফেজ।