2019 সালে বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স সাত রানের ব্যবধানে জেতার পর সবাই ড্রেসিংরুমের দিকে ফিরছিলেন। তখন ইমরুল কায়েস মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। প্রশ্ন করলেন,” ভাই কি খবর। সামনে তো নিউজিল্যান্ড ট্যুর। ” ইমরুল কায়েদ বললেন, রাখা না রাখা নির্বাচকদের ব্যাপার। নির্বাচকরা যদি আমাকে ভালো বুঝে থাকেন, তাহলে রাখবেন। আর না বুঝে থাকলে রাখবেন না।”
খুব ক্ষোভ নিয়েই কথাগুলো বলছিল ইমরুল কায়েস। তবে পরের দিন সকালেই দেখা গেল যে, ইমরুল কায়েসকে স্কোয়াডে রাখা হয়নি। কি আর করার? বিচারকদের ব্যাপার এটা।
তবে পরের দিন মিনহাজুল নান্নু অবশ্য বলেছিলেন যে,” ইমরুল কায়েস নিউজিল্যান্ড এ নেই তাতে কোন সমস্যা নেই। সে যে বিশ্বকাপে থাকবে না এমন কোন কথা নেই।”
একবার ভেবে দেখুন তো নিউজিল্যান্ড এ নেই কিন্তু বিশ্বকাপে আছে। এ আবার কেমন কথা। তবে বিশ্বকাপে রাখা হয়েছিল না ইমরুল কায়েসকে।
শেষ দশ ম্যাচে 500 রান করা ইমরুল কায়েসের কপাল এভাবেই পুড়ছিল। এক দশক ধরে দলকে সার্ভিস দিয়ে আসছে ইমরুল কায়েস। তবে কখনো নিয়মিতভাবে নয় সবসময় অনিয়মিতভাবে তাকে দলে রাখা হতো।
2011 সালে কিছু সিনিয়র ক্রিকেটারদের ইনজুরির পর ইমরুল কায়েসকে দলে নেয়া হল। বেশ ভালই পারফরম্যান্স করেছিলেন 2011 সালের বিশ্বকাপে। তবে বিশ্বকাপ চলাকালীন করে কেন জানিনা ইমরুল কায়েসকে দল থেকে বাদ দেওয়া হল।
এরপর 2015 সালের বিশ্বকাপে বিজয়ের ইনজুরির পর তিনি দলে সুযোগ পান। কিন্তু তার আগেও 2011 সালের বিশ্বকাপের পর তিন বছর ধরে আন্তর্জাতিক দলে ফিরতে পারেননি। সেজন্য 2015 বিশ্বকাপে তিনি খুব মানিয়ে নিতে পারেননি। এজন্য অবশ্য তাকে দল থেকে বাদ রাখা হয়েছিল। তবুও 2015 সালে একটি সিরিজে তাকে সুযোগ দেয়া হলে সেখানে দারুণ পারফর্মেন্স করেন তিনি। কিন্তু তবুও কোনো না কোনো কারণে তাও থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে।
এইভাবে চলছে ইমরুল কায়েসের দিনকাল।
জানেন তো একটি ছবি দেখেছিলাম। ছবিতে জিত, জিতের ভাবি এবং ভাইয়ের সাথে থাকতেন। কিন্তু যেখানে সেখানে অকাজ করে বেড়ানোর জন্য জিতের পরিবার সব সময় প্রস্তুত থাকত। যে যখনই কোন খারাপ কাজের খবর আসবে তখনই তারা সে বাড়ি থেকে পালাবে।
ইমরুল কায়েসের অবস্থাটাও তেমনই!
যখনই কেউ ইনজুরিতে পড়ে তখনই দিনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যান বাংলাদেশ দলের সেই জায়গা পূরণ করতে।
এইভাবে অবহেলার মাঝে দিনকাল কাটছে তার।
এবার ইমরুল কায়েস সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জানা যাক।
ইমরুল কায়েসের জন্ম হয়েছিল খুলনার মেহেরপুরে। কিন্তু তার দাদার জন্ম হয়েছিল ভারতের সাহেব পাড়ায়।5 এর দশকে তার দাদা খুলনার মেহেরপুরে চলে আসেন।কিন্তু 1971 সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার দাদা আবার ফিরে যান ভারতে । তবে তারা বাংলাদেশে ফিরে আসে বছর দুয়েকের মাথায়।
বন্ধুরা আপনাদের যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য আমন্ত্রণ রইল।
ধন্যবাদ….