আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি।
অষ্টম শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইন্টমেন্ট
প্রশ্ন:ইসলামের সাথে ঈমানের সম্পর্কটি খুব নিবিড় ব্যাখ্যা করো.
উত্তর:ঈমানের শাব্দিক অর্থ বিশ্বাস,স্বীকার ,আস্থা,মান্য কৃতজ্ঞ।মুমিন হবার মূলশর্ত হলো ঈমান আনা। আর ঈমানের তিনটি দিক হলো অন্তরে বিশ্বাস করা ,মুখে শিকার করা ,আমল করা। আর এই তিনটি দিক সরাসরি ইসলামের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। ইসলাম শব্দের শাব্দিক অর্থ হলো বশ্যতা ,আনুগত্য ও আত্নসমর্পন করা.
ঈমানের ৭ টি স্তরের সাথে প্রথম স্তরটি হলো আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও ঈমান আনা। তিনি আমাদের রব। বিচার দিনের মালিক ,সর্ব ক্ষমতার ও পরম দয়ালু।আল্লাহর যে ৯৯ টি গুনবাচক নাম রয়েছে সবহুলোর উপর ঈমান আনতে পারে। এই ঈমান অন্তর থেকে আনতে হবে। মোট কথা নিজেকে,নিজের সব ইচ্ছাকে আল্লাহর নিকট সমর্পন করার নাম হলো ঈমান। এবং তা ঈমানের তিনটি দিক থেকে আমাদের অনুধাবন করতে হবে।
ঈমানের দ্বিতীয় স্তরটি হলো ফেরেশতাগনের প্রতি বিশ্বাস করা। ফেরেশতাগণ নূরের তৈরী এবং অদৃশ্য। তারা পুরুষ নন নারীও নন।
প্রশ্ন:কপটতার নিদর্শন গুলো কি কি ?
উত্তর:কপটতা মানে হলো ভণ্ডামি ,দ্বিমুখী নীতি ,প্রতারণা করা। ইসলামী পরিভাষায় একে বলা হয় “নিফাক”আর যে ব্যক্তি নিফাক করে তাকে বলা হয় মুনাফিক।
কপটতার নিদর্শনগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
১,যখন কথা বলে তখন মিথ্যা কথা বলে।
২.ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে
৩.আমানত রাখলে তার খিয়ানত করে এবং
প্রশ্ন:নবী রাসূলের মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:আল্লাহ তা য়ালা মানব জাতির হিদায়াতের জন্য বহু নবী রাসূল দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন “আর প্রত্যেকে জাতির জন্য পথপ্রদর্শক থাকে “.(সূরা আর রা’দ ১৩,আয়াত ৭).
কুরআন মাজীদে ২৫ জন নবী রাসূলের নাম রয়েছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নবী রাসূলের
সংখ্যা লক্ষাধিক।
নবী ও রাসূলের অর্থের দিক থেকে দুইটি শব্দের পার্থক্য রয়েছে। যেমন:
যাদের উপর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে তাদেরকে রাসূল সেই কিতাবের অনুসরণ করে মানুষের হেদায়েত করেছেন তাদেরকে নবী বলে। প্রত্যেক রাসূল নবী ছিলেন কিন্তু প্রত্যেক নবী রাসূল নন।
আমাদের প্রিয়নবী বিশ্বনবী হজরত মোহাম্মদ (সাঃ )আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল
।
প্রশ্ন:হাশরের ময়দানে কয় ধরণের শাফায়াত কার্যকর হবে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:কিয়ামতের পরের ধাপটি হলো হাশর ,সেদিন পৃথিবী সৃষ্টি থেকে শুরু করে ধংস হবার আগে পর্যন্ত সমস্ত মানুষকে জামায়াত করা হবে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে
“সেদিন পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে এবং পরিবর্তিত করা হবে আসমানকে এবগ লোকেরা পরাক্রমশালী এক আল্লাহর পথে হাজির হবে। (সূরা ইব্রাহিম :৪৮)
হাশরের কার্যাবলী হবে সুক্ষ এবং সাফায়াত হলো এরই একটি অংশ। হাশরের ময়দানে আল্লাহর হুকুম ব্যতীত আল্লাহর হুকুম ব্যতীত কেউ কথা বলার সাহস পারে না। মূলত দুটি কারণে শাফায়েত করা হবে ,যথা:
১,পাপীদের ক্ষমা করা বা পাপ মার্জন করার জন্য
২.পুণ্যবানদের মর্যাদার বৃদ্ধির পুরুষ্কার দেবার জন্য।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন
Related keyphrase: অষ্টম শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর, অষ্টম শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট ৮ম শ্রেণির উত্তর, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট ৮ম শ্রেণির উত্তর