আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি।
এসাইনমেন্ট এর উওর দেওয়ার ধারাবাহিকতায় আমি অষ্টম শ্রেণীর বাংলাদেশ এবং বিশ্ব পরিচয় এসাইন্টমেন্ট এর সমাধান নিয়ে এসেছি। আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।
অষ্টম শ্রেণী বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইন্টমেন্টঃ
প্রশ্ন:বাংলার নব জাগরণ এবং তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তনা প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন ব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ অবদান বর্ণনা কর।
উত্তর:উনিশ শতকে বাংলায় নব জাগরণ সৃষ্টিতে বেশ কিছু মনীষি অবদান রাখেন। ডিরোজিও,বিদ্যাসাগর প্রমুখ অবাধে মুক্তমনে জ্ঞানচর্চার ধারা তৈরী করেন। আবার ঈশ্বরচন্ডর বিদ্যাসাগর ,মাইকেল মধুসূদন দত্ত ,বঙ্কিমচন্দ্র ,রবীন্দ্রনাথের হাতে বাংলার ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ ঘটেছিলো। বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলাম ,শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ,মীর মোশাররফ হোসেনের অবদান ও ব্যাপক।
রাজা রামমোহন রায়
সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধেঃ আন্দোলন:সমাজসংসারকের ক্ষেত্রে রাজা রামমোহন রায় এর সবচেয়ে বড় অবদান সতিদাহ প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা।তৎকালীন হিন্দুসমাজে উচ্চবর্ণে অমানবিক সতীদাহ প্রথা চালু ছিল। এই প্রথায় মৃত স্বামীর চিতার পাশে জীবিত স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারা হতো। রাজা রামমোহন রায় তীব্র আন্দলোনের ফলে তিন্নি ব্রিটিশ সরকারের কাছে এই প্রথা উঠিয়ে নেবার তীব্র অনুরোধ করেন। সবশেষে তিনি এই প্রথা সমাজ থেকে দূর করতে সক্ষম হউন।
কৌলিন্য প্রথা ও বাল্যবিবাহের বিরোধিতা:
রামমোহন কৌলিন্য প্রথাবিরোধী ছিলেন। কারণ শুধুমাত্র এই প্রথায় আলোকে সমাজচ্চ্চুত হবার অবক্ষয় অল্প বয়স্ক মেয়েদের বৃদ্ধ লোকের সাথে বিবাহ দেওয়া হত।
বহুবিবাহের বিরুদ্ধে আন্দোলন :
রামমোহন র্রায় বহুবিবাহের বিরুদ্ধেও আন্দোলন কোয়েক্সহেরন। তিনি শাস্ত্র বেক্ষা করে দেখিয়েছেন যে প্রাচীন শাস্ত্রে পুরুষদের বহু বিবাহের জন্য অধিকার দেওয়া হয় নি। তবে প্রাচীনকালে স্ত্রী ব্যভিচারিনী ,বন্ধ্যা হলে স্বামী পুনুরায় বিবাহ করার বিধান ছিল।
২.ওয়ারিং হেটিংস:ওয়ারেন হেটিংস ছিলেন ভারতবর্ষের প্রথম গভরনর জেনারেল। ১৭৫০ সালে তিনি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে যোগ দেন এবং কলকাতা আসেন। তৎকালীন সময়ে অনেক মুসলিম তাদের রাজ্য হারিয়েছিল। তাই তিনি মুসলিমদের রাজ্য হারানোর কষ্ট দূর করার জন্য ১৭৮১ সালে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন এবং এতে মুসলিমদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়। তিনি ১৭৯১ সালে হিন্দুদের জন্য সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এরই পরিস্থিতিতে সতিদাহ প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়ে এবং বিধবা বিবাহের মতো আন্দোলন মতো তৈরি হয়।
৩,ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর:
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ঊনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্টি বাঙ্গালী শিক্ষাবিদ ,সমাজ সহ্স্কারক,গদ্যকার। বাংলায় নারী শিক্ষায় প্রসারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন ঈশরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন নারী শিক্ষা বিস্তরে একজন পথিকৃৎ ব্যক্তি।
নারী মুক্তির আন্দোলনের প্রবল সমর্থক তিনি। তারই আন্দোলনের ফলে হিন্দু বিধবা বিবাহ আইন পাস হয়।
৪.কাজী নজরুল ইসলাম:
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন বিদ্রোহ কবি। তার গান কিংবা কবিতায় সবসময়ে বিদ্রোহের ভাব ফুটে উঠতো। এই জন্য ইংরেজরা তার বিরুদ্ধে ফোমান জারি করেন তাকে অনেকবার কারাবরণ করতে হয়েছিল। তার সময়কালে বাংলা সাহিত্য কর্মে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছিলো।
২.২.মহান মুক্তিযুদ্ধে ৭ মার্চ ঐহাসিক ভাষণের তাৎপর্য বর্ণনা কর ;
উত্তর:৭ সে মার্চ বাঙালি জাতির জীবনের এক ঐতিহাসিক দিন ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্দানে এক বিশাল সমাবেশে ভাষণ দিয়ে অভুদয়ের পথ রচণা করেন।বঙ্গবন্ধুর ৭ এ মার্চের ঐটিহাসিক ভাষনকে বিশ্বের ঐতিহ্য প্রামান্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল।ভাষনটিকে “দ্যা ম্যামোরি অফ দ্যা ওয়ালড ইন্টারন্যাশানাল রেজিস্ট্রিতে অন্তর্ভুক্ত করে।বিশ্বজুড়ে যেসকল তথ্যভিত্তিক ঐতিহ্য রয়েছে সেগুলোকে সংরক্ষণ করে পরবর্তী প্রজন্ম যাতে উপকার পেতে পারেন সেই জন্য এ তালিকা সংরক্ষন করে থাকে।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এসেছিল এক ধারাবাহিক
রাজনৈতিক আনদোলনের পটভূমি।পাকিস্তানের চল্লিশ বছরের ইতিহাস ছিলো শোষন এবং বঞ্চনার। এমন এক কঠিন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান তার অমূল্য ভাষনটি প্রদান করেন।সেই ভাষনে তিনি পাকিস্তানি সামরিক শক্তিরে চারটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ভাষনের শেষ এর দিকে বজ্রকন্ঠে ঘোষনা দেন”।
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধিনতার সংগ্রাম
মুলত সেইদিন থেকে রচির হয় আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।
এ ভাষনটি আজও আমাদের জাতীয় জীবনের অনুপ্রেরণা । বঙ্গবন্ধু আর নেই কিন্তু তার অনুপ্রেরণা আজও রয়ে গেছে।আমাদের জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্র এই ভাষনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন
Related keyphrase: অষ্টম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর, অষ্টম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট ৮ম শ্রেণির উত্তর, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ৮ম শ্রেণির উত্তর