আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। দেখতে দেখতে আমরা ২০২২ সালে পদার্পন করলাম। বিগত বছরগুলো আমাদের জন্য বেশ চমকপ্রদ ছিল। টেকনোলজিক্যাল এডভান্সমেন্ট আমাদের দৈনন্দিন কাজ গুলোকে সহজ থেকে সহজতর করে দিচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে আমাদের হাতে ব্যবহার করা এন্ড্রয়েড ফোনটি কোন অংশেই কম ভূমিকা পালন করছে না।
টেলিফোন থেকে শুরু হওয়া সেই যাত্রা এখন স্মার্টফোন অব্দি পৌঁছেছে। স্মার্টফোন বর্তমানে আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পূর্বে যে সকল কাজ করতে কম্পিউটার ব্যবহার করা হত তার অনেকগুলো কাজই বর্তমানে করা সম্ভব হচ্ছে আমাদের এই স্মার্টফোনের সাহায্য। এই স্মার্টফোনকে সাধারণভাবে দুই অংশে ভাগ করা যায়। প্রথম অংশটি হচ্ছে হার্ডওয়ার এবং তৃতীয় অংশটি হচ্ছে সফটওয়্যার। এ
কটি স্মার্টফোনের সাহায্যে সঠিকভাবে কাজ করতে চাইলে এবং কাজটিকে উপভোগ করতে চাইলে এই দুইটি অংশেরই ভালো হওয়া বেশি জরুরি। আজকে আপনাদের সাথে যে অংশটি নিয়ে হালকা আলোচনা করব সেটি হল এর সফটওয়্যার অংশের আরেকটি ক্ষুদ্রতম অংশ নিয়ে যাকে আমরা সবাই অ্যাপ হিসেবে জানি। আমরা আমাদের এন্ড্রয়েড ফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করে থাকি।
আর এই সকল কাজ সম্পাদন করার জন্য আমরা ব্যবহার করি বিভিন্ন ধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ। আর এক একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যবহার করা হয় নির্দিষ্ট সংখ্যক কিছু কাজ সম্পাদন করার জন্য। একটি অ্যাপের সাহায্যে সব রকমের কাজ সম্পাদন করা সম্ভব নয়। আর এই অ্যাপ গুলো আমরা গুগোল হতে অথবা যে কোন অ্যাপ স্টোর হতে আমাদের ফোনে ইন্সটল করে থাকি।
কিন্তু ইন্সটল করার পর যখন আমরা অ্যাপ গুলোর ব্যবহার করে কাজ করি তখন অনেক সময়ে আমাদের অ্যাপটি আপনার আপনি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। অনেক সময় ওই অ্যাপ দ্বারা কাজ করা আর সম্ভব হয় না অথবা কাজ করার সময় বা এপে প্রবেশ করলে বারবার অ্যাপ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে আমরা সবাই অ্যাপ ক্রেশিং বলে জানি। এই ঘটনাটি বিভিন্ন কারণে আমাদের সাথে ঘটে থাকে।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ক্রাশ সমস্যার আরো কিছু বেসিক কারণ নিচে দেওয়া হল:
১. ইন্সটলকৃত অ্যাপটি যদি আগে থেকেই ত্রুটিযুক্ত হয় অর্থাৎ এটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি করার সময় যদি কোনো ত্রুটি হয়ে থাকে প্রোগ্রামারের দ্বারা তখন অ্যাপটি চালানোর সময় ক্রাশ করে।
২. এন্ড্রয়েড মোবাইলে ইন্সটলকৃত অ্যাপটি যদি অনিচ্ছাকৃত শাটডাউনের সম্মুখীন হয় অর্থাৎ যদি বেশিরভাগ সময়ই অ্যাপটির মাধ্যমে কার্য সম্পাদন করার সময় যদি অ্যাপটি থেকে বারবার বের হয়ে যাওয়া হয় তখন এই সমস্যার উদ্ভব হয়।
৩. অ্যাপটিতে যদি প্রচুর পরিমাণ ক্যাস ফাইল তৈরি হয় তখন একটি তার কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন করতে অক্ষম হয়। তখন অ্যাপটি একসময় কাজ সম্পাদন রত অবস্থায় আপনা আপনি কাজ করা থামিয়ে দেয় এবং অ্যাপটি থেকে বের করে দেয়।
৪. অ্যাপটি ইনস্টল হওয়ার পর যেসকল পারমিশন চাওয়া হয় ফোন করতে সেই সকল পারমিশন এলাও না করলে অ্যাপ্লিকেশনটি রান করতে ব্যর্থ হয়। তখনো এটি কাজ করতে অক্ষম হয়ে পড়ে।
৫. কোন অ্যাপ কে ফোর্স স্টপ করলে অ্যাপটি মিস বিহেভ করা শুরু করে এবং শেষে ক্রাশ করে।
উপরোক্ত কারণগুলোর কারণে সাধারণত একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ক্রাশ করে। সব অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এর ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি সমাধান করা সম্ভব নয়। পরবর্তীতে আপনাদের সামনে হাজির হব আর একটি আর্টিকেল নিয়ে যেখানে সমস্যাটি সমাধান করার জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ।