কাল ও সময়ের পরিবর্তনে মানুষ দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে। দিন যতো বেশি বদলে যাচ্ছে তেমনি মানুষও ততবেশি স্মার্ট হচ্ছে আর তাই মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। এর কারন হিসেবে এর গঠনগত দিক। এটি আকারে ছোট, সহজে বহনযোগ্য ও স্মার্ট একটি ডিভাইজ। এর ব্যবহার মাধ্যমে মানুষ খুব সহজে বিভিন্ন সেবা গ্রহন করতে পারে। দিন বদলের সাথে স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতাকে আরও বৃদ্ধি করতে ব্যবহার করা হয় অপারেটিং সিস্টেম। এদের মধ্যে এমনি একটি অপারেটিং সিস্টেম, যার নাম হলো অ্যান্ড্রয়েড। বর্তমানে পুরো বিশ্বে এই সিস্টেমটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। অ্যান্ড্রয়েডের ডেভেলপারগন বিভিন্ন এপ্লিকেশন তৈরী করে থাকে। তাদের অবদান হিসেবে গুগল প্লে স্টোরে এখন প্রায় ৩৫ লাখের বেশি এপ রয়েছে। ফোন কেনার আগে আমরা কোন ভার্সনের ফোনটি কিনবো এ বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় থাকি। আবার হয়তো আমরা অনেকে জানিনা অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন সম্পর্কে।
আর তাই আজকে আমার আলোচনার বিষয় অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন নিয়ে। চলুন শুরু করা যাক।
অ্যান্ড্রয়েড ফোন কি?
যে সকল ফোন অ্যান্ড্রয়েড আপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যেমে চালানে হয় সেগুলোই হলো অ্যান্ড্রয়েড ফোন। বিশ্বব্যাপী কিছু অ্যান্ড্রয়েড ফোনের নাম হলো- স্যামসাং, সনি, শাওমী, হোয়াওয়ে, এসার, ডেল, এইচটিসি, এলজি, নেক্সাস, মটোরোলা,তোসিবা, ভোডাফোন, মাইক্রোম্যাক্স, জেডটিই ইত্যাদি। অনেক নাম করা বড় বড় কোম্পানী এসব ফোন তৈরি ও বিপনন করে থাকে। তবে, এর সবই বাংলাদেশে সমানভাবে জনপ্রিয় নয়। বাংলাদেশের কিছু জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড ফোনের নাম স্যামসাং, সনি, মাইক্রোম্যাক্স, সিম্ফোনি, ওয়ালটন ইত্যাদি।
সহজে বলতে গেলে, বর্তমান সময়ে আমরা যে স্মার্টফোন ব্যাবহার করছি এর বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোন। এটি স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য তৈরি এক ধরনের অপারেটিং সিস্টেম।
আমরা দেখি যে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে চলে, যেমনঃ উইন্ডোজ ভিসতা, এক্সপি, উইন্ডোজ ৭, লিনিক্স ইত্যাদি। স্মার্টফোনও তেমনি একটি অপারেটিং সিস্টেম যার নাম অ্যান্ড্রয়েড। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুগল স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য এই অপারেটিং সিস্টেমটি বাজারে এনেছে।
আমি আশা করি, অ্যান্ড্রয়েড সম্পর্কে কিছুটা হলেও আলোচনা করতে পেরেছি। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থকবেন। আল্লাহ হাফেজ।