চাকরি, ব্যবসা আরও কত কিছুই না করি আমরা টাকা ইনকাম করতে। ঐরকম ই একটা আর্থিক ব্যাবস্থাপনা হলো অনলাইন ইনকাম (online income)। চলমান সময়ে খুবই আলচ্য একটা বিষয় ফ্রিল্যাসিং এবং আউটসোর্সিং (Freelancing and Outsourcing)।
ব্যাপারটা শুনতে খুব সহজ মনে হলেও সফল হওয়ার জন্য প্রচুর ধৈর্য ও নিজের যোগ্যতার প্রতি আত্মবিশ্বাস এবং নিয়মিত কাজের অগ্রগতি বিষয়ক আপডেট না থাকলে এই সম্ভবনাময় সাইটটি হয়ে যায় প্রচুর বিরক্তিকর ও কষ্টকর।
প্রতিনিয়ত পড়াশুনা, রিসার্চ, ও অভীজ্ঞদের সংস্পর্শে থাকলে খুব সহজেই সফলতা পাওয়া সম্ভব। চলমান সময়ে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোসিং (Freelancing and Outsourcing in bangladesh) এ অনেক এগিয়ে গেছে। দিন দিন অগ্রগতি বেড়েই চলেছে। অনেকেই বিরক্তহয়ে ফিরে গেছেন অনেকেই সফল হয়ে টিকে আছেন।
আধুনিক সময়ে অফলাইন মার্কেটিং এর থেকে অনলাইন মার্কেটিং অনেক বেশি জনপ্রিয়। তাই অনলাইনে আয় করার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। সাধারণত চুক্তিভিত্তিক ভাবে কোনো কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করাকেই সাধারণত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে।
আপনাকে যদি একটা উদাহরণ দাওয়া হয় তাহলে আপনি আরও ভাল ভাবে বুঝতে পারবেন। যেমন ধরুণ, আপনার শরীরের কোনো সমস্যায় আপনি ডাক্তারের কাছে গেলেন। সাধারণত ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা করানোর জন্য আপনাকে একটা প্রেসক্রিপশন দিলেন। তবে খেয়াল করলে দেখবেন ডাক্তার এসব পরীক্ষা করানোর জন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার কিংবা হাসপাতালের নাম বলবে। আপনি যদি ডাক্তারের কথা মত ঐ ডায়াগনস্টিক সেন্টার কিংবা হাসপাতাল থেকে আপনার পরীক্ষা করান তাহলে ডাক্তার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে থাকে। সাধারণত ডাক্তার রোগী পাঠানোর মাধ্যমে যে টাকা আয় করলেন এই বিষয়টিকে সহজ ভাষায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।
এবার মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে যদি বলতে যায় তাহলে একটা উদাহরণ দিব। যেমন – যদি আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের মার্কেটার হিসেবে নিয়োগ কৃত হয়ে থাকেন,তাহলে আপনি কমিশন পাবেন ঠিক তখন, যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভিজিটর পাঠাবেন তাদের সাইটে পণ্য কেনার জন্য এবং ক্রেতা সেই পণ্যটি কিনবে, তখন এটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।