আসসালামু আলাইকুম
কোভিড ১৯ এর কারনে বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় হচ্ছেনা শিক্ষার্থীদের মুল্যায়ন পরিক্ষা। তাই ব্যবস্থা করা হয়েছে অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহনের। তারই আলোকে অ্যাসাইনমেন্টগুলোর সহায়ক হিসেবে আমার আজকের লেখা।
আজকের লেখায় আমরা অষ্টম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রথম অধ্যায়ের অ্যাসাইনমেন্ট দেখব।
অ্যাসাইনমেন্ট এর বিষয়ঃ
একজন ব্যাক্তি সরকারের গ্রহীত তথ্য অ যোগাযোগ ভিত্তিক সেবা থেকে কিভাবে সহযোগিতা নিতে পারেন? বিষয়টির একটি শিরোনাম দিয়ে (২৫০ শব্দের )মদ্ধে একটি প্রবন্ধ লিখ।
প্রবন্ধে যা যা থাকবে –
-ভুমিকা
-সেবাসমূহের তালিকা
-ডিজিটাল বাংলাদেশ অ প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা
-প্রযুক্তিভিত্তিক সেবার গুরুত্ব
-উপসংহার
নিচে প্রবন্ধটি আলোচনা করা হল –
ভুমিকাঃ
তথ্য অ প্রযুক্তির ব্যাপক বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্ত্ন সূচিত হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তির প্রসারের ফলে একজন ব্যক্তি অনেক বেশি দক্ষ হয়ে ওঠে। বেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রসার। আমাদের দেশেও সরকার বিভিন্নরকম তথ্য ও যোগাযোগভিত্তিক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এতে করে জিবনযাপনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই, যেমন- কর্মসংস্থান, শিক্ষা, যোগাযোগ, চিকিৎসা প্রভৃতি সেবা নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
সেবাসমূহের তালিকাঃ
সরকার গৃহীত বিভিন্ন সেবাসমূহের তালিকা নিচে দেয়া হলঃ-
১। সরকারি তথ্যাদি প্রকাশ
২। আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন ও সংশোধন
৩। বিশেষ বিশেষ দিবস ও ঘটনা সম্পর্কে প্রকাশ
৪। ই-পর্চা
৫। ই-বুক
৬। ই-পুর্জ়ি
৭। পাবলিক পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ
৮। ই-স্বাস্থসেবা
৯। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকরণ
১০। টাকা স্থানান্তর
১১। পরিসেবার বিল পরিশোধ
১২। পরিবহন
১৩। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন
ডিজিটাল বাংলাদেশ ও প্রযুক্তিভিত্তিক সেবাঃ
ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রায় সমস্ত খাতে তথ্য ও প্রযুক্তিগত সেবা চালু রয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে কর্মসৃজন ও কর্মপ্রাপ্তিতে দারুন প্রসার এসেছে। বৃদ্ধি পেয়েছে উৎপাদনশীলতা। তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন কাজের সুযোগ। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের বিকাশের ফলে অনেক মানুষ এখন ঘরে বসেই আয় করতে পারছে। তথ্য ও প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বরং পুরো পৃথিবীর সাথেই সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে চালু হয়েছে বিভিন্ন ই-সেবা। যেমন- ই-বুক, ই-পর্চা, ই-স্বাস্থসেবা প্রভৃতি।
প্রযুক্তিভিত্তিক সেবার গুরুত্বঃ
জিবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে প্রযুক্তিভিত্তিক সেবার গুরুত্ব। নিচে তার আলোচনা করা হলোঃ-
১) কর্মসৃজন ও কর্মপ্রাপ্তিতেঃ তথ্য ও প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে উৎপাদনশীলতা বাড়ে। ফলে কাজের সুযোগ বেড়েছে অনেক। মোবাইল আর ইন্টারনেটের প্রসারের ফলে প্রচুর কাজের ক্ষে্ত্র তৈরি হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘরে বসেও কাজের সুযোগ তৈরি করেছে।
২) যোগাযোগঃ বর্তমানে আমরা এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গার খবর খুব সহজেই পেতে পারি। সামাজিক যোগাযোগের উপায় এখন হাতের মুঠোয়। এসব সম্ভব হয়েছে তথ্য ও প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে।
৩) ব্যবসাঃ উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, তত্থ্য সংরক্ষণ, বিক্রয় ব্যাবস্থাপনা এই বিষয়গূলোর বিশদ প্রসার ঘটেছে তথ্য ও প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে।
৪) সরকারি কর্মকান্ডেঃ সরকারি কর্মকান্ডে তথ্য ও প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে বিভিন্ন সেবা চালু হয়েছে। যেমন- সরকারি তথ্যাদি প্রকাশ, আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন ও সংশোধন, বিশেষ বিশেষ দিবস ও ঘটনা সম্পর্কে প্রকাশ, ই-পর্চা, ই-বুক, ই-পুর্জ়ি, পাবলিক পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ, ই-স্বাস্থসেবা, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকরণ, টাকা স্থানান্তর, পরিসেবার বিল পরিশোধ, পরিবহন, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন।
৫) চিকিৎসাঃ চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির প্রয়োগ অভূতপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সঠিক রোগ নির্ণয়, পর্যবেক্ষন, নিয়ন্ত্রন এবং বিভিন্ন চিকিৎসা গবেষণা সম্ভব হচ্ছে তথ্য ও প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে।
৬) গবেষণাঃ তথ্য ও প্রযুক্তির কারনে গবেষণা জগতের শুধু যে উন্নতি হচ্ছে তা নয়, বরং যোগ হয়েছে নতুন্ মাত্রার।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে, তথ্য ও প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে আমরা দিনদিন এগিয়ে যাচ্ছি নতুন পৃথিবীতে। জিবনের প্রতিটি কাজ়ে আমরা তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে চলেছি। তথ্য ও প্রযুক্তির প্রয়োগে ফলে আমাদের কাজ অনেক সহজ এবং কম সময়সাপেক্ষ হয়েছে। আমাদের দেশের সরকার গৃহিত তথ্য ও প্রযুক্তির সেবা সমুহ আমাদের জীবন কে সহজে পরিচালিত করতে সাহায্য করছে।