অনলাইনে কাজ করে আয় করা সম্ভব। খুব সম্ভবত এই ধারনাটি বর্তমান যুগে প্রায় সবারই জানা। এমন একজন মানুষ পাওয়া যাবে না যার চলতে ফিরতে খরচ নেই। এই খরচ যোগানোর জন্য চাহিদা অনুযায়ী সবাই আয় করতে চায়। হোক সেটি অফিসিয়ালি বা অানঅফিসিয়ালি কাজ। আমাদের দেশের জনসংখ্যার তুলনায় অফিসিয়াল কাজের পরিমান কম।
তাই ইচ্ছে থাকলেও সবাই সুযোগ পায় না। আবার সব কাজ সবাই জানেও না।তাই ঘরে বসে অানঅফিসিয়াল অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিংয়ের গ্রহনযোগ্যতা দিন দিম বেড়েই চলেছে। সামর্থ্য অনুযায়ী এখানে কিছু প্রশ্ন এসে দাঁড়ায়। যেমন- ফ্রিল্যান্সিংয়ের সকল কাজ মোবাইল ফোন দিয়ে করা যায়? সবার কাছেতো আর ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ থাকেনা।
এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর অনেকেই জানতে চান। সঠিক উত্তরটি না পাওয়ায় অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী হন না। অনেকেই আছেন যারা ফ্রিল্যান্সিং অনেক ধরনের কাজ করতে আগ্রহী। যথেষ্ট প্রতিভাও রয়েছে অনেকের। কিন্তু সামর্থ্য বলে অনেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সরঞ্জাম কিনতে পারেন না। যে কারনে তারা ফ্রিল্যান্সিং শুরুও করতে পারেন না। এখানে জেনে রাখবেন যে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জগৎ অনেক বেশি বিস্তৃত। এই জগতে বাহ্যিক জগতের মতো অনেক ধরনের কাজ রয়েছে।
যদি আপনি চান, আপনার প্রবল ইচ্ছা যদি থাকে তবে আপনার যোগ্যতার সাথে মিলিয়ে ছোট ছোট কিছু কাজ দিয়ে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। যোগ্যতার কথাটি বলার কারন হচ্ছে, আপনিও জানেন সবাই সব ধরনের কাজে পারদর্শী হয় না। নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী আপনি যে কাজটি করবেন সে কাজটিই ভালোভাবে করতে হবে। ফ্রিলান্সিংয়ে আপনার সফলতা ও ব্যর্থতা নির্ভর করে এটার উপরেই।
যদি ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছুক হন তবে মোবাইল ও ডেক্সটপ এই দুটি ডিভাইস নিয়ে ভাবতে হবে।আপনি যদি শুধু মোবাইলে কাজ করতে চান তাহলে আপনি হয়তো এই জগতের ১০% কাজ করতে পারবেন। ৯০% কাজই আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন না। কারন ফ্রিলান্সার জগতের সফটওয়্যারগুলোর প্রায় সবগুলোই শুধু ডেক্সটপে লোড হয়।
আবার এ জগতের প্রায় সকল সাইট মোবাইলে সাপোর্টও করে না। হলেও সেখানে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। সকল সমস্যা ও অসুবিধাসমূহকে মেনে নিয়ে হয়তো আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শুরু করতে পারবেন। তবে এটা হবে ফ্রিল্যান্সিং জগতের প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু ছোট ছোট কম মূল্যের কাজ। এক্সপার্ট ও হাই লেভেলের কাজ করতে হলে আপনাকে আগে কাজগুলো শিখতে হবে পরে ডেক্সটপ দিয়ে করতে হবে।
মোবাইল দিয়ে কাজ করতে চাইলে ব্লগ সাইট বা অনলাইন নিউজ পোর্টালে লিখতে পারেন। কন্টেন্ট রাইটিং, ফটো এডিটিং করা, পিটিসি সাইটের কাজ, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্সের কাজ ও অনলাইন সার্ভের মতো করতে পারেন। এ ধরনের প্রাথমিক কাজগুলো করে কিছু টাকা জমা হলে সেই টাকা দিয়ে একটি ডেক্সটপ কিনে হাই লেভেলের এক্সপার্ট কাজগুলো করতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, তাহলে চলুন আর দেরী না করে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রাথমিক কাজগুলো শুরু করা যাক। সবাই ভালো থাকবেন।