14 টা ম্যাচ, 510 রান, 204.54 স্ট্রাইক রেট, 52 টি 6, 4 টি হাফ সেঞ্চুরি। এটি আন্দ্রে রাসেল এর 2019 সালের আইপিএলের স্ট্যাটিস্টিক। যার বিধ্বংসী ব্যাটিং এর মাধ্যমে উড়ে যাচ্ছেন বাঘা বাঘা বোলাররাও।
প্ৰিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো ওয়েস্টইন্ডিজের একজন বিধ্বংসী বোলার এবং ব্যাটসম্যান সম্পর্কে। এখন তার কাছে টাকা পয়সা, ফ্যানস, ঘর বাড়ি গাড়ি সব কিছু থাকলেও তাকে একসময় খুবই দারিদ্রতার মধ্যে কাটাতে হয়েছে।
ঘটনাটা 29 শে নভেম্বর 1988 সালে। যখন জ্যামাইকায় জন্মগ্রহণ করেন আন্দ্রে রাসেল। ছোটবেলায় রাসেল এর পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তার বাবার অর্থে পরিবার চলত না বলে তার মা শিক্ষকতা করতেন। তার মা শিক্ষকতা করায় তাকে সব সময় পড়াশোনার জন্য খুব চাপ দিত। সে সব সময় বলতো যে ভালো করে পড়াশোনা করে একটি ভালো চাকরি পেলে জীবনে উন্নতি করতে পারবে। শিশুকালে সরকারি স্কুলে পড়া অবস্থায় সে অধিকাংশ সময় স্কুল বাদ দিয়ে বাইরের মাঠে ক্রিকেট খেলে বেড়াতো। পরিবারের পারিবারিক অবস্থা এবং তার পড়াশোনার অবস্থা দেখে সে বুঝতে পেরেছিল যে তাকে ক্রিকেট ক্যারিয়ার করতে হবে। কিন্তু তার পরিবার তার সাথে সাথ দেয়নি। সে তার মায়ের কাছ থেকে 2 বছর সময় চেয়েছিল। সে যদি দুই বছরের মতো সফলতা অর্জন করতে না পারে তাহলে তার মা যা চান, তার সাথে তাই করতে পারেন। কিন্তু বলে না, ভাগ্য খুবই নিষ্ঠুর হয়।সে দুই বছরে কোন রকমের উন্নতি করতে পারেনি। তাই তার বাবা-মার কাছে হার স্বীকার করে। তবে তার বাবা-মা তার ক্রিকেটের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখে তাকে ক্রিকেট খেলার অনুমতি দেন।
মাত্র 19 বছর বয়সে তিনি জামাইকার হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। সেখানে তার দারুণ বোলিং এবং ব্যাটিং পারফরম্যান্স সবাইকে মুগ্ধ করে। এরপর তিনি বহু ক্লাবের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। ক্রিকেট খেলা অবস্থায় তিনি ক্যারাবিয়ান নির্বাচকদের নজরে আসেন। তার পর 2010 সালে তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামার মাধ্যমে জাতীয় দলে যাত্রা শুরু করেন। এরপর 2011 সালে তিনি বিশ্বকাপের জন্য সিলেক্ট হন। সেখানে তিনি দারুন ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখাতে না পারলেও বোলিং করে সবাইকে মুগ্ধ করে দেন।
ধীরে ধীরে তার ব্যাটিং লাইন খুবই মজবুত হতে থাকে। 2012 সালে তিনি প্রথম দিল্লিতে ভিলিয়ার্সের হয়ে মাঠ কাঁপাতে শুরু করেন তখন তাকে মাত্র (বাংলাদেশি টাকায়) তিন কোটি টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া হয়েছিল। এরপর তিনি 2012 এবং 2013 সালে দিল্লি ডিভিলিয়ার্সের হয়ে খেলে যাচ্ছিলেন। তবে 2014 থেকে আজ পর্যন্ত তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্স এর সঙ্গে রয়ে গেছেন। তিনি শুধু আইপিএল নয় পিএসএল, বিপিএল এ, এফ এল এর মত বড় বড় টুর্ণামেন্টে তাক লাগানোর মতো পারফর্মেন্স করেন। তবে তাকে এক বছরের জন্য অ্যান্টি ডোপিং অর্গানাইজেশন তাকে ব্যান করে রাখেন। তো বন্ধুরা আপনারা এন্ড রাসেলের জীবন থেকে কি শিখলেন?
আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর্টিকেলটি শেয়ার করে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকবেন এবং আমাদের অন্য পোস্টগুলো করার জন্য আপনার আমন্ত্রণ রইল
ধন্যবাদ…